একটি ভালবাসার পরিসর
Desh|January 17, 2024
এই উপন্যাস লেখকের নিজের অন্তরের কাহিনি। তিনি আত্মজীবনী লেখেননি, কিন্তু আপন চেতনাকে মন্থন করেই তিনি রচনা করেছেন এই কাহিনি। আপন বোধ দিয়েই নির্মাণ করেছেন কাহিনির কেন্দ্রীয় চরিত্র।
অনি বা ণ চট্টো পা ধ্যা য়
একটি ভালবাসার পরিসর

মেয়েটির নাম ইয়ংচু। খুব ছোটবেলায় বইয়ের সঙ্গে ভালবাসা হয়েছিল তার। বাবার কাছে কেবলই বায়না করত, গল্পের বই চাই। পেলেই গোগ্রাসে পড়ে ফেলবে, তার পরে সাজিয়ে রাখবে তার বইয়ের তাকে। ঘরের দেওয়ালে বইয়ের সারিগুলো ডানা মেলতে মেলতে গোটা দেওয়াল জুড়ে ফেলবে, যখন যাকে মন চায় টেনে নিয়ে পাতা ওল্টাবে, এই ছিল তার স্বপ্ন। বায়নাধারী মেয়েকে বাবা বকতেন, ‘কোনও জিনিসের জন্য লোভ ভাল নয়, বইয়ের জন্যও নয়, আবার বই এনেও দিতেন ঠিক।

মেয়ে বড় হয়, চাকরি পায়, পায় ভালবাসার মানুষও। তার পর বিয়ে। ব্যস্ত দম্পতির আধুনিক জীবনযাপন এগিয়ে চলে সফল কেরিয়ারের সিঁড়ি বেয়ে। এবং ক্রমশ মেয়ের মনের মধ্যে জমতে থাকে অস্থিরতা, অতৃপ্তি, অশান্তি। সেই জমে ওঠা অ-সুখ অবশেষে গ্রাস করে তার মন এবং মগজ, এক দিন সকালে সে জানিয়ে দেয়, ‘আর চাকরি করব না।' নিজের কাজে অতিব্যস্ত এবং সদামগ্ন জীবনসঙ্গী তার এই মনোবৈকল্যের অর্থ বোঝে না। সে বুঝতে পারে না, এত ভাল অফিসে দশ বছরের বেশি সময় ধরে গড়ে তোলা এমন সফল কেরিয়ার কেউ স্বেচ্ছায় ছেড়ে দেয়? কিন্তু সে তো আর সাফল্য চায় না, নিজের মতো করে বাঁচতে চায়। সে বলে, ‘চলো না, আমরা এ বার অন্য ভাবে জীবন কাটাই, নিজেদের মতো।' তার সঙ্গী তেমনটা চায় না। অতএব, সে একা হয়ে যায়। ঘরে ও বাইরে একেবারে একা। কেবল দাম্পত্য ভাঙে না, অবুঝ এবং খামখেয়ালি মেয়ের প্রতি অপার বিরক্তিতে মুখ ঘুরিয়ে নেন তার মা-ও। এবং, এত দিন পরে, সেই ইচ্ছেটার মুখোমুখি দাঁড়ায় সে, যা তার মন জুড়ে রেখেছিল, ছোটবেলার দেওয়াল-জোড়া বইয়ের সারির মতো, কিন্তু যাকে সে এতকাল মনের মধ্যেই ঘুম পাড়িয়ে রেখেছিল। নিজের একটা বইয়ের দোকান করার ইচ্ছে। এখন, ঝাড়াহাত-পা জীবনে মধ্যবয়সের চৌকাঠে দাঁড়িয়ে সেই সাধ মেটানোর সময় হয়েছে তার, এবার শুরু করতেই হবে। সুতরাং, একটা ঠিকঠাক জায়গার খোঁজে শহরের পথে নামে ইয়ংচু, ইতিমধ্যে কফি বানানোর প্রশিক্ষণও নিয়ে রাখে— বইয়ের সঙ্গে কফির ব্যবস্থাও রাখতে হবে বইকি। দেখতে দেখতে জায়গা পছন্দ হয়, দোকানের জন্য মনের মতো বাড়িও মিলে যায় সেখানে, ইন্টিরিয়রের কাজ, আসবাব, বইপত্র কেনাকাটা, অন্য নানা আয়োজন, সব সেরে এক দিন শান্ত নিরুত্তাপ মধ্যবিত্ত এক এলাকার একটি রাস্তার উপরে শুরু হয় তার নিজস্ব পুস্তক বিপণি। পাড়ার নাম হিউনাম-দং, সেই নামেই দোকানের পরিচয়।

Bu hikaye Desh dergisinin January 17, 2024 sayısından alınmıştır.

Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.

Bu hikaye Desh dergisinin January 17, 2024 sayısından alınmıştır.

Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.

DESH DERGISINDEN DAHA FAZLA HIKAYETümünü görüntüle
কবিতার খাতা
Desh

কবিতার খাতা

দিন শেষ হয়ে যায়। অন্ধকার নেমে আসে আকাশ থেকে। কিন্তু রোজকার মতো ঝলমলিয়ে ওঠে না তাঁর পাড়া। দোকান-বাজার। শব্দ ওঠে জেনারেটরের। বড় বড় আলো পড়ে ধ্বংসস্তূপের ওপর। যেন সেটাই মঞ্চ।

time-read
8 dak  |
January 02, 2025
কলের গাড়ি
Desh

কলের গাড়ি

এক দিন আবিষ্কার হল অগ্ন্যাশয়ে বাসা বেঁধেছে কর্কট ব্যাধি, অন্তিম পর্যায়। পারিবারিক আবহাওয়ায় দ্রুত পরিবর্তন দেখা দিল। রোগশয্যায় শুয়ে সবই টের পায় শান্তিলাল। এক দিন হীরালাল সামনে এসে দাঁড়ায়।

time-read
10+ dak  |
January 02, 2025
উপেনবাবুর মেয়ে
Desh

উপেনবাবুর মেয়ে

গোকুলপিঠে খেতে খেতে ছেলেবেলার স্মৃতি জাগিয়ে তোলে, যখন শীতের সকালে মায়ের হাতে বানানো গরম গরম পিঠে ছিল সবচেয়ে বড় সুখ।

time-read
10 dak  |
January 02, 2025
ভালবাসার গল্প
Desh

ভালবাসার গল্প

বাদামি চুলের এলা কাঁদছিল। কিন্তু অমল যেন দেখতে পাচ্ছিল বাসবকাকার মুখ। দেখতে পাচ্ছিল আবছায়া একটা ঘর। আর তার মধ্যে ছোট্ট একটা পুঁটলির মতো পড়ে আছে ওর অসহায় বাবা।

time-read
9 dak  |
January 02, 2025
তিনি নক্ষত্র হতে জানতেন
Desh

তিনি নক্ষত্র হতে জানতেন

জাকির হুসেন, তবলার অতুলনীয় জাদুকর, যাঁর স্পর্শে তবলা খুঁজে পেয়েছিল নতুন ভাষা। তাঁর প্রতিভা ও ক্যারিশমা আজও সঙ্গীতজগতে এক আলোকবর্তিকা।

time-read
4 dak  |
January 02, 2025
সুখলালের কিস্সা
Desh

সুখলালের কিস্সা

সন্ধের ভিজিটিং আওয়ারে সুখলাল দেখেছিল, ফিমেল ওয়ার্ডের আঠাশ নম্বর বেডে সাদা কাপড়ে ঢাকা একটা দেহ। মন মানতে চাইছিল না। এখনও বারবার মনে হয়, ফুলমণি বলেছিল, আজ কোথাও যেয়ো না।

time-read
10+ dak  |
January 02, 2025
১৯৬৪
Desh

১৯৬৪

শৈশবের সেই যাত্রার মধ্যে মধ্যে মিশে ছিল রোমাঞ্চ; গোয়ালন্দে গাদার মাছের কাঁটা গলায় বিঁধে যাওয়ার পর দলা করে মাখা শুকনো ভাত মুখে পুরে গিলে দেওয়ার ভিতর থেকেও আনন্দই জেগে উঠেছিল সেবার।

time-read
10 dak  |
January 02, 2025
রক্ষক
Desh

রক্ষক

আরিয়ানাকে নিয়ে চলে গেছে লুকাস। একা বসে আছে রাফায়েল। ভাবছে, আজ যদি ওর নিজের সন্তান বেঁচে থাকত, তবে তো কুড়ি বছর বয়স হত তার। সে হয়তো কোনও ইউনিভার্সিটিতে আন্ডার গ্র্যাড করত এখন।

time-read
10+ dak  |
January 02, 2025
ফুলের তোড়া
Desh

ফুলের তোড়া

বাবুই মায়ের দিকে বিষণ্ণ চোখে তাকিয়ে বলল, “মা, তুমি তো রোজ দুটো খবরের কাগজ আদ্যোপান্ত পড়ো। বাবা সারা বিশ্বের খবর রাখে। একটি মেয়ে রাজনীতি করছে, এ কি খুবই বিস্ময়কর?”

time-read
9 dak  |
January 02, 2025
সমাজের শিকড়ে
Desh

সমাজের শিকড়ে

মানুষ যে ভাবে ৯ অগস্টের পর একটা সমাজে সন্নিবিষ্ট হতে পেরেছিল, তার পিছনে ছিল হৃদয়ের জোরালো টান।

time-read
5 dak  |
January 02, 2025