খেলা হবে, মেয়েদের নিয়ে

রাজনীতিবিদদের কাছে মেয়েরাই শেষ পর্যন্ত হয়ে ওঠে প্রধানতম ব্যবহার্য অস্ত্র। বা পণ্য।

- শাশ্বতী ঘো ষ

সন্দেশখালি থেকে রাজভবন। সব জায়গাতেই কি মেয়েরা ব্যবহৃত হয়েছেন রাজনৈতিক প্রয়োজনে? রাজনীতিতে বিরোধিতা করলেই সেই মানুষটিকে বা সেই মেয়েদের সততা, তথাকথিত চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন চলে আসবে? সন্দেশখালি মানেই তো অনেক অনেক রোগাসোগা শাঁখা-পলা পরা মেয়েরা লাঠি-ঝাঁটা নিয়ে উচ্চকিত প্রতিবাদ জানাচ্ছেন, তাঁদের জমি কেড়ে নেওয়া হয়েছে, তাঁদের চাষের জমিতে নোনাজল ঢুকিয়ে ক্ষমতাশালীরা মাছ চাষের ব্যবস্থা করেছে, কিন্তু কোনও ক্ষতিপূরণের অর্থ দেওয়া হয়নি। তাঁরা সবাই তৃণমূল দলটাই করতেন। কিন্তু তৃণমূলের দোর্দণ্ড প্রতাপশালী শেখ শাহজাহান, যে কিনা পরিচয়ে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলা পরিষদের মৎস্য কর্মাধ্যক্ষ, কিন্তু আসলে যে কিনা সন্দেশখালির আসল শাসক, তার বিরুদ্ধে অভিযোগের স্রোত। শাহজাহানের চেলাচামুণ্ডারা মিলে জমি কেড়ে সাম্রাজ্য বিস্তার করেছে। শোষণের পরাকাষ্ঠা। তাই পুরুষরা বাইরে চলে যান কাজে আর জীবিকার সন্ধানে।