একটানা চব্বিশ বছর ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন নবীন পট্টনায়ক। তাঁর বাবা বিজু পট্টনায়কের কথা সকলেই জানেন। তিনি উড়োজাহাজ চালাতে পারতেন। দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে যেমন তিনি অংশগ্রহণ করেছিলেন, তেমনই ইন্দোনেশিয়ার ক্ষেত্রেও তাঁর অসাধারণ অবদান। তিনি এবং তাঁর স্ত্রী জ্ঞানবর্তী যুদ্ধবিমান নিয়ে ঢুকে পড়েছিলেন। ইন্দোনেশিয়ায়। নেহরুর সঙ্গে গোপন বৈঠক করতে আসবেন ইন্দোনেশিয়ার স্বাধীনতাকামী নেতারা। আর সেটা চায় না সেখানকার ঔপনিবেশিক ডাচ শাসক। প্লেন নিয়ে বিজু নেমে পড়েন জাকার্তার একটি এয়ার স্ট্রিপে। সে দেশের বেশ কয়েক জন বড় মাপের নেতাদের সেই বিমানে চাপিয়ে সিঙ্গাপুর হয়ে ভারতে ফিরে আসেন তিনি। এর মধ্যে সুলতান জারহির এবং আখমাদ সুকর্ণও ছিলেন। সময়টা ভারতের স্বাধীনতার ঠিক আগে, জুলাই ১৯৪৭। পরবর্তী কালে ভারত স্বাধীন হওয়ার পরেই কাশ্মীর থেকে ভারতীয় সেনাদের উদ্ধারে একাধিকবার অসাধারণ দায়িত্ব এবং কৃতিত্বের পরিচয় দিয়েছেন জাতীয়তাবাদী বিজু পট্টনায়ক। আসলে হিন্দু রাষ্ট্রবাদ নিয়ে আজকের দিনে ভারতে যে নেতাদের রমরমা, তাঁরা এক বার নেতাজি কিংবা বিজুর সাহস এবং অবদান ফিরে দেখতে পারেন। সেই বিজুর কনিষ্ঠ পুত্র নবীন। একাধিক বার ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন বিজু। প্রথম বার ২৩ জুন ১৯৬১। ইন্দিরা গান্ধীর জরুরি অবস্থা জারির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে জেলে যেতে হয় তাঁকে। অর্থাৎ উগ্র জাতীয়তাবাদ নয়, বরং সংসদীয় গণতন্ত্রের ওপরেও পূর্ণ আস্থা ছিল তাঁর। নবীনের মা জ্ঞানবতী ছিলেন পঞ্জাবের মানুষ, দেশের প্রথম মহিলা পাইলট।
This story is from the June 17, 2024 edition of Desh.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Sign In
This story is from the June 17, 2024 edition of Desh.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Sign In
সন্দেহ প্রশাসককেই
গণক্ষোভের মূলে আছে এই ধারণা যে, সরকার তড়িঘড়ি কিছু একটা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছে।
এত বিদ্রোহ কখনও দেখেনি কেউ
এ দেখা সহজে ভোলার নয়। আগুন ছাইচাপা থাকে, কিন্তু জ্বলে ওঠার কারণ অপসারিত না-হলে তা নিঃশেষে নেভে না—ইতিহাস সাক্ষী।
স্বাস্থ্য সুরক্ষা, নিরাপত্তার নিশ্চয়তা
তাই আজ বলতে হবে, গ্রাম থেকে নগর পর্যন্ত, প্রতিটি মানুষের জন্য স্বাস্থ্য-প্রযত্নের ব্যবস্থার দাবি হোক আন্দোলনের অভিমুখ।
নজরদারি-খবরদারি-ফাঁসির দাবি পেরিয়ে
যে-মেয়েটি গাড়ি চালান, তাঁর শেষ প্যাসেঞ্জার নামিয়ে বাড়ি ফিরতে রাত দুটো বাজলে বা যে-মেয়েটি খাবার পৌঁছে দেওয়ার কাজ করেন, তাঁকে কি বলা হবে যে, রাতে আপনি কাজ করলে প্রশাসন আপনাকে সুরক্ষা দেবে না?
অন্ধকার রাতের দখল
তালিকা আরও প্রলম্বিত হয়ে চলবে, যাঁদের কেউ কর্মক্ষেত্রে অত্যাচারিতা হননি। তাঁদের নিরাপত্তার কী ব্যবস্থা হবে?
বিচার, বিবেক এবং রাষ্ট্র
সমষ্টি যেখানে সৎ বুদ্ধিসম্পন্ন, কয়েকজন মানুষরূপী অমানুষের জন্য আমরা কি আবার আমাদের কষ্টার্জিত সভ্যতা ভেঙেচুরে অসভ্যে পরিণত হব? নাকি আস্থা রাখব রাষ্ট্রের ওপর? এ ছাড়া আর কি কোনও দ্বিতীয় পন্থা আছে?
এবার সরাসরি বাক্যালাপ হোক
এই রাজ্যের যাঁরা উপদেষ্টা, তাঁরা হাওয়ায় পা দিয়ে চলেন। নারীর অধিকার, নারীর বিচরণের ক্ষেত্র, নারীর সম্মান ও নিরাপত্তা এগুলো সম্বন্ধে তাঁরা ওয়াকিবহাল নন, তাঁরা অনাধুনিক। মানুষ কী চাইছে, পশ্চিমবঙ্গবাসীর প্রয়োজনগুলি কী, মেয়েদের দরকারগুলি কী—এসব নিয়ে তাঁরা ভাবিত নন।
পারাবারে সংসার
দূর মহাদেশের মধ্যে যোগাযোগ গড়ে দেয় জাহাজ, কিন্তু সেটি নিজেই এক ভাসমান মহাদেশ। সেখানে সংসার গড়ে তোলার অভিজ্ঞতাও যেন এক গল্প।
পারম্পরিক প্রবাহের সুনির্মিত প্রয়াস
ভবানীপুর বৈকালী অ্যাসোসিয়েশনের এই প্রয়াস ‘অজানা খনির নূতন মণি'-র আবিষ্কারের মতো ভাল লাগার আবেশ সৃষ্টি করে।
শমীবৃক্ষের নীচে
আলোচ্য বইয়ের পুরোটা জুড়েই লেখক মাধব গ্যাডগিল উপযুক্ত বারুদ ছড়িয়ে রেখেছেন।