লক্ষ্মীর ভান্ডার কি এক জাদুর ঝাঁপি? সে কি ম্যাজিক দেখাতে পারে— রাজনীতিতে, সামাজিক প্রেক্ষিতে? রাজনীতি-সচেতন মানুষ ইভিএম-এ এই তথাকথিত সোনার কাঠির স্পর্শের প্রভাব নিয়ে চর্চায় ব্যস্ত। সত্যি বলতে কী, সেই প্রভাবকে অস্বীকার করার উপায় তো নেই-ই। তবে কিনা নির্বাচনের মতো বহুমাত্রিক কর্মকাণ্ডে একটা লক্ষ্মীর ভান্ডারের প্রভাব ঠিক কতটা, তার সঠিক পরিমাপ করা সত্যিই কঠিন। এই প্রকল্প পশ্চিমবঙ্গে শুরু হলেও অন্য কয়েকটি রাজ্যও আইডিয়াটা নিজেদের ছাঁচে ফেলেছে ইতিমধ্যেই। যেমন, মধ্যপ্রদেশে চালু হয়েছে ‘লাডলি বেহনা যোজনা'। তামিলনাড়ু ঘোষণা করেছে ‘কালাইগনার মাগালির উরিমাই থোগাই' প্রকল্প, যা করা হয়েছে কালাইগনারের নামে, যিনি মহিলাদের অধিকার উদ্যাপন ও প্রচার করেছিলেন। এমনকি, বিধানসভা ভোটের আগে শেষ বাজেটে এবার মহারাষ্ট্রেও বাংলার লক্ষ্মীর ভান্ডারের আদলে ২১ থেকে ৬০ বছরের মহিলাদের জন্য নগদ টাকার ভাতা ঘোষণা করেছে একনাথ শিন্ডে সরকার। প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়েছে ‘মুখ্যমন্ত্রী মাঝি লড়কি বহিন যোজনা'। তাই এ ধরনের প্রকল্পের পরিধি যে ক্রমেই বিস্তৃত হচ্ছে, সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। কিন্তু কেন? রাজনীতি না সামাজিক উন্নয়নের প্রয়াস, এ সবের পিছনে প্রধান চালিকাশক্তি কী, তা নিয়ে তর্ক চলতেই পারে। তবে আমরা মূলত এ ধরনের প্রকল্পের সম্ভাব্য সামাজিক প্রভাবের মধ্যেই আমাদের আলোচনা সীমাবদ্ধ রাখব।
This story is from the July 17, 2024 edition of Desh.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Sign In
This story is from the July 17, 2024 edition of Desh.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Sign In
সন্দেহ প্রশাসককেই
গণক্ষোভের মূলে আছে এই ধারণা যে, সরকার তড়িঘড়ি কিছু একটা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছে।
এত বিদ্রোহ কখনও দেখেনি কেউ
এ দেখা সহজে ভোলার নয়। আগুন ছাইচাপা থাকে, কিন্তু জ্বলে ওঠার কারণ অপসারিত না-হলে তা নিঃশেষে নেভে না—ইতিহাস সাক্ষী।
স্বাস্থ্য সুরক্ষা, নিরাপত্তার নিশ্চয়তা
তাই আজ বলতে হবে, গ্রাম থেকে নগর পর্যন্ত, প্রতিটি মানুষের জন্য স্বাস্থ্য-প্রযত্নের ব্যবস্থার দাবি হোক আন্দোলনের অভিমুখ।
নজরদারি-খবরদারি-ফাঁসির দাবি পেরিয়ে
যে-মেয়েটি গাড়ি চালান, তাঁর শেষ প্যাসেঞ্জার নামিয়ে বাড়ি ফিরতে রাত দুটো বাজলে বা যে-মেয়েটি খাবার পৌঁছে দেওয়ার কাজ করেন, তাঁকে কি বলা হবে যে, রাতে আপনি কাজ করলে প্রশাসন আপনাকে সুরক্ষা দেবে না?
অন্ধকার রাতের দখল
তালিকা আরও প্রলম্বিত হয়ে চলবে, যাঁদের কেউ কর্মক্ষেত্রে অত্যাচারিতা হননি। তাঁদের নিরাপত্তার কী ব্যবস্থা হবে?
বিচার, বিবেক এবং রাষ্ট্র
সমষ্টি যেখানে সৎ বুদ্ধিসম্পন্ন, কয়েকজন মানুষরূপী অমানুষের জন্য আমরা কি আবার আমাদের কষ্টার্জিত সভ্যতা ভেঙেচুরে অসভ্যে পরিণত হব? নাকি আস্থা রাখব রাষ্ট্রের ওপর? এ ছাড়া আর কি কোনও দ্বিতীয় পন্থা আছে?
এবার সরাসরি বাক্যালাপ হোক
এই রাজ্যের যাঁরা উপদেষ্টা, তাঁরা হাওয়ায় পা দিয়ে চলেন। নারীর অধিকার, নারীর বিচরণের ক্ষেত্র, নারীর সম্মান ও নিরাপত্তা এগুলো সম্বন্ধে তাঁরা ওয়াকিবহাল নন, তাঁরা অনাধুনিক। মানুষ কী চাইছে, পশ্চিমবঙ্গবাসীর প্রয়োজনগুলি কী, মেয়েদের দরকারগুলি কী—এসব নিয়ে তাঁরা ভাবিত নন।
পারাবারে সংসার
দূর মহাদেশের মধ্যে যোগাযোগ গড়ে দেয় জাহাজ, কিন্তু সেটি নিজেই এক ভাসমান মহাদেশ। সেখানে সংসার গড়ে তোলার অভিজ্ঞতাও যেন এক গল্প।
পারম্পরিক প্রবাহের সুনির্মিত প্রয়াস
ভবানীপুর বৈকালী অ্যাসোসিয়েশনের এই প্রয়াস ‘অজানা খনির নূতন মণি'-র আবিষ্কারের মতো ভাল লাগার আবেশ সৃষ্টি করে।
শমীবৃক্ষের নীচে
আলোচ্য বইয়ের পুরোটা জুড়েই লেখক মাধব গ্যাডগিল উপযুক্ত বারুদ ছড়িয়ে রেখেছেন।