অসুরক্ষিত এক চিকিৎসা ক্ষেত্র

শরৎ এল, কিন্তু হাওয়ার পরে হিমের পরশ লাগল না। বাতাস উষ্ণ এবং আর্দ্র। দিনগুলো ঘর্মস্রাবী, রাত্রিগুলোও কি নয়? যদি না আপনার ঘরে থাকে বাতানুকুল যন্ত্র। আপনার খরচ করার ক্ষমতা আপনার হুকুমে বাতাসকে করে তুলবে আপনার অনুকুল। খরচ করার ক্ষমতা যদি বাতাসের মতো পঞ্চভূতের অন্যতম উপাদানকে আপনার দাস করে তুলতে পারে, আপনি তো তখন ভাবতেই পারেন, এই ক্ষমতায় পৃথিবীর অধীশ্বর হয়ে ওঠা যায়। অতিকথন নয়, এ ভাবেই গত চার শতকে মনুষ্য সমাজের ক্ষুদ্র একটি অংশ খরচ করার ক্ষমতা অর্জনে এতটাই মত্ত যে, মাতা ধরিত্রীর যাবতীয় নিয়ম-নৈতিকতাকে সে ভুলিয়ে দিয়েছে। প্রতিবেশীর শুভ হলে আমারও শুভ হবে, এই নৈতিকতায় গড়ে ওঠা সভ্যতার দর্শনকে সে করে তুলেছে হাসি-ঠাট্টার বস্তু: যারা প্রতিবেশীর ভাল চায়, তারা বোকা। আর, এ ভাবেই মানুষের বহু সহস্র বছরের সাধনায় গড়ে ওঠা মানবদেহকে সুরক্ষিত রাখার মতো পবিত্র জ্ঞানকে পরিণত করেছে টাকা রোজগারের হাতিয়ারে। চিকিৎসাবিজ্ঞানের মতো লোকশাস্ত্র হয়ে উঠল লোকপীড়নের আয়ুধ। স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা সংক্রান্ত যে-দুর্নীতি নিয়ে আজ পশ্চিমবঙ্গবাসী বিচলিত, তার মূলেই আছে, এই বিপরীত বুদ্ধি।
একটু খোলসা করে বলা যাক। সরকারি চিকিৎসা ব্যবস্থাটা তৈরি হয়েছিল কেন? পাটলিপুত্রের বিখ্যাত অশীতি-স্তম্ভ-বিশিষ্ট মৌর্য রাজসভার অদূরেই নির্মিত হয়েছিল যে-হাসপাতাল, যেখানে রাজকোষ থেকে ব্যয় করে ‘রোগীদের জন্য চিকিৎসা, পথ্য ও থাকার ব্যবস্থা' ছিল, তার পিছনে কী দর্শন কাজ করেছিল? সেটা ছিল, এক ধরনের সামাজিক চুক্তির দর্শন: অসুস্থ মানুষ নিজেই নিজেকে সারিয়ে তুলতে পারে না, তার সাহায্য দরকার হয়, প্রজাসমুদয়ের প্রতিনিধি হিসেবে রাজা এই সাহায্যকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেন। এই ব্যবস্থায় চিকিৎসক যেহেতু অন্যদের সুস্থ ও জীবিত রাখার ভার নিচ্ছে, তাঁর ভরণপোষণের ভার নিতে হয় অন্যদের। সেই অন্যদের হয়ে ভার নেয় সরকার। আমাদের কালেও ব্যবস্থাটা একই। মানুষের স্বাস্থ্যের ব্যবস্থা করবে মানুষের নির্বাচিত সরকার।
This story is from the October 17, 2024 edition of Desh.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Sign In
This story is from the October 17, 2024 edition of Desh.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Sign In

বাঙালির কতটুকু মনমোহন?
গত বছর আমরা হারালাম বেশ কয়েকজন গুণী রাজনীতিবিদকে, যাঁদের মধ্যে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য এবং সীতারাম ইয়েচুরির মতো নেতাদের স্মরণ করা অত্যন্ত জরুরি। মনমোহন সিংহের মতো নেতার অবদান অমূল্য, যদিও তিনি জনগণের কাছে তেমন পরিচিত ছিলেন না।

সংস্কারক
মনমোহন খোলাখুলি জানিয়ে দিলেন, সঙ্কট থেকে মুক্তির জন্য কিছু পদক্ষেপ করতে হবে। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে দুই থেকে তিন বছর সময় লেগে যাবে। রাজকোষ ঘাটতিতে লাগাম পরাতে, শিল্পনীতিতে আমূল পরিবর্তন, অর্থনীতির উদারীকরণের জন্য যা যা করার, সব করা হবে।

রত্নগর্ভা
প্রবালের প্রশ্নে শান্ত, স্থির কিন্তু গভীর ছিল কিছু একটা। রত্না একদমই বিরক্তি অনুভব করলেন, তবে আজ আর কিছু বললেন না।

এক মেধাবী রাজনীতিক
সাউথ ব্লকের সামনে রাইসিনা হিলে পরমাণু চুক্তি নিয়ে সাংবাদিকদের হইচইয়ের মধ্যে দেশের রাজনীতি বদলে গিয়েছিল। মনমোহন সিংহের দৃঢ় নেতৃত্বে ভারত-আমেরিকা পরমাণু চুক্তি ইতিহাস সৃষ্টি করে, যা বিশ্বমঞ্চে ভারতের অবস্থান দৃঢ় করে।

একটি প্রস্তাব এবং
গ্রীষ্মের দুপুরে নিউটাউনের ফ্ল্যাটে একাকী বসে মোবাইলে ওয়েবসাইট ঘাঁটছিল বর্ষা। ইমেইলে হঠাৎ নির্ঝরের মেসেজ পেয়ে তার মনে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ল, যেন পুরনো প্রেম ফিরে এসেছে।

খাদকদেবতা
পৌষের হিমেল অন্ধকারে গৌড়বঙ্গের এক পল্লিগ্রামে কালকেতুর তীক্ষ্ণ চোখে ফুটে ওঠে এক ক্রূর হাসি, আর অন্ধকারে প্রবেশের অপেক্ষা। এক গভীর বাসনার প্রভাবেই তার শরীর থেকে মুক্তি পেয়ে সূক্ষ্ম অবস্থানে ধীরে ধীরে চলে যাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়।

চালচিত্র
ভাল অভিনয় ও স্মার্ট মেকিং ছবিটিকে এগিয়ে নিয়ে যায়। হত্যাকারীর মনস্তত্ত্বের গভীরে প্রবেশ করেন দর্শক।

স্বাস্থ্য ক্রমশ অস্বাস্থ্যকর
স্বাস্থ্যক্ষেত্রে এই রাজ্যের ঘটনাপরম্পরা আবারও ইঙ্গিত করছে যে, অবস্থার অবনতি হয়েই চলেছে।

দুই সংস্কৃতির সংলাপ
আলোচ্য গ্রন্থে বাংলা গদ্যের অনুবাদ-সঙ্কলনে ধরা পড়ে ঐতিহাসিক গভীরতা, বিষয় বৈচিত্র এবং বিন্যাস-বৈচিত্র।

বাস্তুভিটে
বাস্তুভিটে নাটকে সময়ের খেলার মাঝে গজমাধব মুকুটমণির ফিরে আসার এক চিত্র। পুরনো স্মৃতি, বর্তমান বাস্তবতা আর ভবিষ্যতের অনিশ্চয়তার দোলাচলে গড়ে ওঠে একটি হৃদয়স্পর্শী গল্প।\"