ঘূর্ণিঝড়ে বিধ্বস্ত ভারত

নিউ জিল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্টে সিরিজে ভরাডুবির পর ভারতের বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ওঠার সম্ভাবনা অনেকটাই ফিকে হয়ে গিয়েছে। দলের সমর্থকদের দেশের মাঠে এমন আত্মসমর্পণ
দেখার অভ্যেস নেই। সেই ৯০-এর দশকে বা ২০১২-১৩ নাগাদ ভারত যখন বিদেশে প্রচুর টেস্ট হারত, তখনও অনেক শক্তিশালী দল ভারতে এসে মুখ থুবড়ে পড়েছে। এ বার প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৪৬ অল আউট হলেও বিশেষজ্ঞরা ধরে নিয়েছিলেন যে, টসে হেরে পেস বোলিং সহায়ক পরিবেশে ব্যাট করাটা দুর্ভাগ্য ছিল। অনেকেই আশাবাদী ছিলেন, পরের দুটো টেস্টে জেতা শুধু সময়ের অপেক্ষা। কারণ, অদূর অতীতেই ভারতের প্রথম টেস্টে হেরেও সিরিজ জেতার নজির আছে। বছরের গোড়ার দিকে ইংল্যান্ড সিরিজে যেমন। এর পর পছন্দের পিচে খেলেও হেরে যাওয়াটা ক্রিকেট মহলে পাগলা ঘণ্টি বাজিয়ে দিয়েছে!
লিটল উওম্যান উপন্যাসে অন্যতম চরিত্র এমি মার্চ দাবি করেছিলেন যে, তিনি ঝড়ে ভয় পান না, কারণ তিনি নৌকা বাইতে শিখছেন। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়-জন রাইট যুগে ভারত দেশের মাঠে ঝুঁকি নিয়ে সবুজ পিচ বানিয়ে বিদেশে জেতার প্রস্তুতি নিয়েছে। কোহলিশাস্ত্রী যুগে পাঁচ বোলার খেলিয়ে জেতার জন্য প্রতিপক্ষের ওপর লাফিয়ে পড়েছে। শর্মা-গম্ভীর জুটির ঘূর্ণি উইকেট নিয়ে বাড়াবাড়ি এখন পর্যন্ত বেশ যন্ত্রণা দিয়েছে। গম্ভীর সবে জাতীয় দলের কোচ হয়েছেন, কিন্তু ভারতীয় দলের শক্তি বা অক্ষমতা তাঁর অজানা নয়। ওয়ার্ন বা মুরলির মতো স্পিনারকে পেটানো তো স্বপ্নের মতো; ২০১৩ থেকে ২০১৭-র মধ্যে স্পিনারকে বিরুদ্ধে পূজারা-কোহলি-রাহানের সাবলীল পায়ের কাজ আর নিয়ন্ত্রিত ড্রাইভও এখন স্মৃতি। ২০২০-র পরে দেশের মাঠে ভারতীয় ব্যাটারদের গড় ৩২.৪২, যেটা ২০১০-এর দশকে ছিল ৪৪.৭৮। অশ্বিন-জাডেজার সৌজন্যে ভারত একের পর এক লো-স্কোরিং ম্যাচ জিতেছে, কিন্তু নিউ জিল্যান্ড সিরিজের ঝড় অনেক নতুন প্রশ্ন তুলছে। ভারত কি স্পিনের গাঙে নৌকা বাইতে শিখবে?
This story is from the November 17, 2024 edition of Desh.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Sign In
This story is from the November 17, 2024 edition of Desh.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Sign In

বাঙালির কতটুকু মনমোহন?
গত বছর আমরা হারালাম বেশ কয়েকজন গুণী রাজনীতিবিদকে, যাঁদের মধ্যে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য এবং সীতারাম ইয়েচুরির মতো নেতাদের স্মরণ করা অত্যন্ত জরুরি। মনমোহন সিংহের মতো নেতার অবদান অমূল্য, যদিও তিনি জনগণের কাছে তেমন পরিচিত ছিলেন না।

সংস্কারক
মনমোহন খোলাখুলি জানিয়ে দিলেন, সঙ্কট থেকে মুক্তির জন্য কিছু পদক্ষেপ করতে হবে। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে দুই থেকে তিন বছর সময় লেগে যাবে। রাজকোষ ঘাটতিতে লাগাম পরাতে, শিল্পনীতিতে আমূল পরিবর্তন, অর্থনীতির উদারীকরণের জন্য যা যা করার, সব করা হবে।

রত্নগর্ভা
প্রবালের প্রশ্নে শান্ত, স্থির কিন্তু গভীর ছিল কিছু একটা। রত্না একদমই বিরক্তি অনুভব করলেন, তবে আজ আর কিছু বললেন না।

এক মেধাবী রাজনীতিক
সাউথ ব্লকের সামনে রাইসিনা হিলে পরমাণু চুক্তি নিয়ে সাংবাদিকদের হইচইয়ের মধ্যে দেশের রাজনীতি বদলে গিয়েছিল। মনমোহন সিংহের দৃঢ় নেতৃত্বে ভারত-আমেরিকা পরমাণু চুক্তি ইতিহাস সৃষ্টি করে, যা বিশ্বমঞ্চে ভারতের অবস্থান দৃঢ় করে।

একটি প্রস্তাব এবং
গ্রীষ্মের দুপুরে নিউটাউনের ফ্ল্যাটে একাকী বসে মোবাইলে ওয়েবসাইট ঘাঁটছিল বর্ষা। ইমেইলে হঠাৎ নির্ঝরের মেসেজ পেয়ে তার মনে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ল, যেন পুরনো প্রেম ফিরে এসেছে।

খাদকদেবতা
পৌষের হিমেল অন্ধকারে গৌড়বঙ্গের এক পল্লিগ্রামে কালকেতুর তীক্ষ্ণ চোখে ফুটে ওঠে এক ক্রূর হাসি, আর অন্ধকারে প্রবেশের অপেক্ষা। এক গভীর বাসনার প্রভাবেই তার শরীর থেকে মুক্তি পেয়ে সূক্ষ্ম অবস্থানে ধীরে ধীরে চলে যাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়।

চালচিত্র
ভাল অভিনয় ও স্মার্ট মেকিং ছবিটিকে এগিয়ে নিয়ে যায়। হত্যাকারীর মনস্তত্ত্বের গভীরে প্রবেশ করেন দর্শক।

স্বাস্থ্য ক্রমশ অস্বাস্থ্যকর
স্বাস্থ্যক্ষেত্রে এই রাজ্যের ঘটনাপরম্পরা আবারও ইঙ্গিত করছে যে, অবস্থার অবনতি হয়েই চলেছে।

দুই সংস্কৃতির সংলাপ
আলোচ্য গ্রন্থে বাংলা গদ্যের অনুবাদ-সঙ্কলনে ধরা পড়ে ঐতিহাসিক গভীরতা, বিষয় বৈচিত্র এবং বিন্যাস-বৈচিত্র।

বাস্তুভিটে
বাস্তুভিটে নাটকে সময়ের খেলার মাঝে গজমাধব মুকুটমণির ফিরে আসার এক চিত্র। পুরনো স্মৃতি, বর্তমান বাস্তবতা আর ভবিষ্যতের অনিশ্চয়তার দোলাচলে গড়ে ওঠে একটি হৃদয়স্পর্শী গল্প।\"