জলবায়ুর কথা ভাবছে কে? রাজনীতির অনুপ্রবেশ, আন্তর্জাতিক ক্ষমতায়ন প্রবেশ করেছে পরিবেশ-ভাবনার বিভিন্ন দিক ও উন্নয়নে।

পৃথিবী বিপন্ন। এই কথাটা যতটা একজন পরিবেশ সচেতন মানুষ ভাবে, সেই ভাবে একজন সাধারণ মানুষ ভাবে না। ভাবার মধ্যে বেশ কিছু প্রতিবন্ধকতাও কাজ করে। কারণ, যে-রাজনৈতিক সমাজ আমাদের সচেতন করে তুলতে পারত, তা সেই দায়িত্ব থেকে অনেক দূরে। রাজনৈতিক অ্যাজেন্ডা যতটা মানুষের কাছে পৌঁছে যায়, পরিবেশ-উষ্ণায়ন এই সব কথা জীবনকে ঘিরে থাকলেও তা পৌঁছোতে পারে না। কেন? সাধারণের বোধগম্য করে তা বলা কিংবা বোঝানোর চেষ্টা কোনওটাই হয় না তার পিছনের মূল কারণ হল উষ্ণায়নের মতো বিষয় ভোটবাক্সে কোনও প্রভাব ফেলে না। কিন্তু এই পৃথিবীতে বাঁচার শর্তের জন্য পৃথিবীর গড় উষ্ণতাকে যে করে হোক কমিয়ে ১.৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডে বেঁধে রাখার লক্ষ্যমাত্রা স্থির হয়েছিল। গবেষণায় আন্তর্জাতিক স্তরে উঠে এসেছে নতুন কিছু তথ্য। আন্টার্কটিকার বরফের উপরে কার্বন ডাইঅক্সাইডের ছাপ যথেষ্ট স্পষ্ট ভাবে পড়েছে। তার মানে গ্রিন হাউস গ্যাসের পরিমাণ বাড়ছে। ফলে বাড়ছে পৃথিবীর উষ্ণতা। ২০২৩ সালের শেষের দিকে পৃথিবীর তাপমাত্রা বেড়েছে, পৌঁছে গেছে ১.৪৯ সেন্টিগ্রেডে। অষ্টাদশ শতকের তাপমাত্রাকে মানদণ্ড হিসেবে ধরে নিলে পৃথিবীর বর্তমান তাপমাত্রা বিপদসীমা পেরিয়ে গেছে। তার প্রভাব আমরা হাতে নাতে পাচ্ছি। বৃষ্টি খামখেয়ালিপনা দেখাচ্ছে। অল্প সময়ে দীর্ঘকালীন বৃষ্টি বার বার বিপর্যয় নিয়ে আসছে। সমুদ্রের উষ্ণতার তারতম্যে সমুদ্রঝড় উপকূলবর্তী এলাকাকে তছনছ করে দিচ্ছে। সমুদ্রের জলস্ফীতিতে ডুবে যাচ্ছে উপকূলভাগ। উপকূল এলাকায় ভাঙন বাড়ছে। ছয় ঋতু আজ অমিল। খুব গরম, আর না হলে তীব্র ঠান্ডা। এমন ভাবেই পাল্টে যাচ্ছে আমাদের চারপাশের পরিবেশ।
প্যারিস জলবায়ু চুক্তির হাত ধরে (২০১৫ সালে) গোটা বিশ্ব পৃথিবীর তাপমাত্রাকে ধরে রাখতে বদ্ধপরিকর হলেও, পৃথিবীর তাপমাত্রাকে ১.৫ ডিগ্রিতে আটকে রাখা যাচ্ছে না। বাকুর আজারবাইজানে অনুষ্ঠিত জলবায়ু সম্মেলন (কপ-২৯)-এ প্রথম দিনেই প্রকশিত ওয়ার্ল্ড মেটিরিওলজিক্যাল অর্গানাইজেশন প্রকাশিত রিপোর্ট থেকে উঠে আসছে সেই কথায়। রিপোর্টটিতে পরিষ্কার ভাবে লেখা হচ্ছে প্যারিস চুক্তির লক্ষ্যমাত্রা প্রবল বিপদের সামনে দাঁড়িয়ে। এই রিপোর্ট আরও জানাচ্ছে ২০২৩ সাল উষ্ণতম বছর হিসেবে রেকর্ড গড়তে চলেছে। বিগত এক দশক ইতিহাসের সবচেয়ে উষ্ণতম দশক হিসেবেও রেকর্ড গড়ছে।
This story is from the December 02, 2024 edition of Desh.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Sign In
This story is from the December 02, 2024 edition of Desh.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Sign In

বাঙালির কতটুকু মনমোহন?
গত বছর আমরা হারালাম বেশ কয়েকজন গুণী রাজনীতিবিদকে, যাঁদের মধ্যে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য এবং সীতারাম ইয়েচুরির মতো নেতাদের স্মরণ করা অত্যন্ত জরুরি। মনমোহন সিংহের মতো নেতার অবদান অমূল্য, যদিও তিনি জনগণের কাছে তেমন পরিচিত ছিলেন না।

সংস্কারক
মনমোহন খোলাখুলি জানিয়ে দিলেন, সঙ্কট থেকে মুক্তির জন্য কিছু পদক্ষেপ করতে হবে। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে দুই থেকে তিন বছর সময় লেগে যাবে। রাজকোষ ঘাটতিতে লাগাম পরাতে, শিল্পনীতিতে আমূল পরিবর্তন, অর্থনীতির উদারীকরণের জন্য যা যা করার, সব করা হবে।

রত্নগর্ভা
প্রবালের প্রশ্নে শান্ত, স্থির কিন্তু গভীর ছিল কিছু একটা। রত্না একদমই বিরক্তি অনুভব করলেন, তবে আজ আর কিছু বললেন না।

এক মেধাবী রাজনীতিক
সাউথ ব্লকের সামনে রাইসিনা হিলে পরমাণু চুক্তি নিয়ে সাংবাদিকদের হইচইয়ের মধ্যে দেশের রাজনীতি বদলে গিয়েছিল। মনমোহন সিংহের দৃঢ় নেতৃত্বে ভারত-আমেরিকা পরমাণু চুক্তি ইতিহাস সৃষ্টি করে, যা বিশ্বমঞ্চে ভারতের অবস্থান দৃঢ় করে।

একটি প্রস্তাব এবং
গ্রীষ্মের দুপুরে নিউটাউনের ফ্ল্যাটে একাকী বসে মোবাইলে ওয়েবসাইট ঘাঁটছিল বর্ষা। ইমেইলে হঠাৎ নির্ঝরের মেসেজ পেয়ে তার মনে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ল, যেন পুরনো প্রেম ফিরে এসেছে।

খাদকদেবতা
পৌষের হিমেল অন্ধকারে গৌড়বঙ্গের এক পল্লিগ্রামে কালকেতুর তীক্ষ্ণ চোখে ফুটে ওঠে এক ক্রূর হাসি, আর অন্ধকারে প্রবেশের অপেক্ষা। এক গভীর বাসনার প্রভাবেই তার শরীর থেকে মুক্তি পেয়ে সূক্ষ্ম অবস্থানে ধীরে ধীরে চলে যাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়।

চালচিত্র
ভাল অভিনয় ও স্মার্ট মেকিং ছবিটিকে এগিয়ে নিয়ে যায়। হত্যাকারীর মনস্তত্ত্বের গভীরে প্রবেশ করেন দর্শক।

স্বাস্থ্য ক্রমশ অস্বাস্থ্যকর
স্বাস্থ্যক্ষেত্রে এই রাজ্যের ঘটনাপরম্পরা আবারও ইঙ্গিত করছে যে, অবস্থার অবনতি হয়েই চলেছে।

দুই সংস্কৃতির সংলাপ
আলোচ্য গ্রন্থে বাংলা গদ্যের অনুবাদ-সঙ্কলনে ধরা পড়ে ঐতিহাসিক গভীরতা, বিষয় বৈচিত্র এবং বিন্যাস-বৈচিত্র।

বাস্তুভিটে
বাস্তুভিটে নাটকে সময়ের খেলার মাঝে গজমাধব মুকুটমণির ফিরে আসার এক চিত্র। পুরনো স্মৃতি, বর্তমান বাস্তবতা আর ভবিষ্যতের অনিশ্চয়তার দোলাচলে গড়ে ওঠে একটি হৃদয়স্পর্শী গল্প।\"