রান্নাঘরে লক্ষ্মীলাভ

জীবনের ছোটখাট অভ্যেসগুলি সামান্য বদলালেই অর্থের সাশ্রয় হবে। পরিবেশ বাঁচবে। স্বাস্থ্যও ঠিক থাকবে। শুরু হল নতুন বিভাগ ‘মিশন বসুন্ধরা'। লিখছেন সুদীপ্ত মোদক।

পৃথিবীর বুকে রোজ আমাদের কার্বন | ফুটপ্রিন্ট বেড়েই চলেছে। আমাদের প্রত্যেক পদক্ষেপের উপরে নির্ভর করছে কার্বন ফুটপ্রিন্ট বাড়বে না কমবে। কার্বন ফুটপ্রিন্ট বলতে কী বুঝি, সেটা একবার বলে নিই। আমরা আমাদের প্রতি দিনের কাজ, অভ্যেস, খাবারদাবার, বর্জ্য, পরিবহণ, বিদ্যুৎ ব্যবহার ইত্যাদি কাজের দ্বারা পৃথিবীতে যে পরিমাণ গ্রিন হাউস গ্যাস ত্যাগ করি বা আমাদের জীবন যাপনের জন্য যতটুকু কার্বন ডাইঅক্সাইড নির্গত হয় বাতাসে, তাকে বোঝাতে কার্বন ফুটপ্রিন্ট শব্দটি ব্যবহার করা হয়। কোন অনুপাতে গ্রিন হাউস গ্যাস সৃষ্টি হয়, তার ভিত্তিতে কার্বন ফুটপ্রিন্ট পরিমাপ করা হয় এবং একক হিসেবে কার্বন ডাই অক্সাইডকে ব্যবহার করা হয়। জীবনযাত্রার পরিবর্তন করে, অভ্যেসগুলিকে একটু পরিবর্তন করে নিলেই কার্বন ফুটপ্রিন্ট কমানো যাবে। তার ফলে বিশ্বের ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রা বৃদ্ধি নিশ্চয় কমানো যাবে, পৃথিবী আবার ঠান্ডা হবে।

বাড়ির রান্নাঘর এক গুরুত্বপূর্ণ জায়গা, গৃহিণীরা, বধূরা, কিচেনের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিটি চাইলে অনেকটাই কার্বন নিঃসরণ কমাতে পারেন। ভাত মোটামুটি সব বাঙালি বাড়িতেই হয়, আর তার সঙ্গে থাকে একটা ডাল, তরকারি। রান্নার ব্যাপারটা এখানে আনছি না। কারণ এক একজন এক একরকম পদ খান। ২ কাপ ভাত আর ১ কাপ ডাল রান্না করা হচ্ছে ডেকচিতে এবং কড়াইতে, একসঙ্গে দু’টি আলাদা বার্নারে। বছরভর এই একই রান্না এলপিজি গ্যাসে যদি করা যায় তাহলে ৭০ কেজির মতো