মহাভারতে ভীষ্ম পর্বে বর্ণিত কুরুক্ষেত্র যুদ্ধে শরশয্যায় শায়িত ভীষ্মের তেষ্টা মেটাতে অর্জুন ভূমিতে তির ছুঁড়ে তাৎক্ষণিক ফোয়ারা সৃষ্টি করেছিলেন। সেই উত্থিত জলে মহামতি ভীষ্ম তাঁর তৃষ্ণা নিবারণ করেন। কিন্তু ভূগর্ভের জলস্তর গত কয়েক দশকে এতটাই নীচে নেমে গেছে যে, কোন মহাশক্তিশালী তির ছুঁড়েও ভৌম জলের নাগাল পাওয়া এখন প্রায় অসম্ভব। নীতি আয়োগের রিপোর্ট আমাদের চোখকান খুলে দিয়েছে। ভয়ঙ্কর অবস্থা এখন ভূগর্ভস্থ জলের ভাণ্ডারের। রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাম্প্রতিক ‘বিশ্বের জল বিকাশ প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে, পৃথিবীতে প্রাপ্ত টাটকা তরল জলের পরিমাণ ১০৬ লক্ষ ঘন কিলোমিটার যার ৯৯ শতাংশ ভূগর্ভস্থ। জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে মাটির তলা থেকে জল
উত্তোলনের পরিমাণ বছরে ৩ শতাংশ করে বৃদ্ধি পাচ্ছে। পৃথিবীর মানবসম্পদের ১৭.৫ শতাংশ মানুষ থাকেন ভারতে। এই মাটির নীচের জলের পরিমাণ ধীরে ধীরে আমাদের সকলের অলক্ষ্যে লুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। হিমশৈল থেকে সৃষ্ট নদীগুলোয় I | 1 (ভারতে যেমন গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র) সারা বছর কিছু না কিছু বরফ-গলা জল এসেই যায়, কিন্তু অন্যান্য নদীগুলোয় (যেমন দক্ষিণ ভারতের নর্মদা-কৃষ্ণা-কাবেরী) আর পুকুর-খাল-বিলে জল আসে কোথা থেকে! অবশ্যই বৃষ্টি থেকে। মাটির ঠিক নীচে থাকে ভূগর্ভস্থ জলের একটা স্তর, যাকে আমরা বলি ‘ওয়াটার টেবল'। মূলত বৃষ্টির জল জমে তৈরি এই জলতল আমাদের বিভিন্ন জলাশয়ে জলের জোগান দেয়। এর নীচে থাকে ভূগর্ভস্থ জলের সম্ভার যাকে আমরা ‘অ্যাকুইফার’ বলে জানি, যার অবস্থান কোথাও জলতলের কাছাকাছি আবার কোথাও মাটির অনেক গভীরে, প্রায় বিচ্ছিন্ন অবস্থায় বিরাজ করে। ভূতলে উন্মুক্ত যে জলভাণ্ডার যেমন নদী, পুকুর ইত্যাদি রয়েছে, সেখান থেকে যেমন জল তুলে নেওয়া হয় এবং জল বাষ্প হয়ে যায় (ডিসচার্জ), তেমনই বৃষ্টির সময় সেই জলভাণ্ডার ফের পূর্ণ হয়ে ওঠে (রিচার্জ)। বৃষ্টির জল চুঁইয়ে ঢুকে জলতল অবধিও সহজেই পৌঁছে যায়। সুতরাং এই জলতলের জলের সম্ভার অফুরন্ত না হলেও পুনর্নবীকরণযোগ্য। ওয়াটার টেবলের নীচের মাটি জলে সম্পৃক্ত হলে সেই জল চুঁইয়ে ভূগর্ভস্থ জলভাণ্ডার অবধি পৌঁছে তাকেও রিচার্জ করতে পারে। কিন্তু যে
Esta historia es de la edición November 2022 de Sarir O Sasthya.
Comience su prueba gratuita de Magzter GOLD de 7 días para acceder a miles de historias premium seleccionadas y a más de 9,000 revistas y periódicos.
Ya eres suscriptor ? Conectar
Esta historia es de la edición November 2022 de Sarir O Sasthya.
Comience su prueba gratuita de Magzter GOLD de 7 días para acceder a miles de historias premium seleccionadas y a más de 9,000 revistas y periódicos.
Ya eres suscriptor? Conectar
ছানি পড়েছে বুঝবেন কীভাবে?
পরামর্শে রিজিওনাল ইনস্টিটিউট অপথ্যালমোলজির অধিকর্তা ডাঃ অসীমকুমার ঘোষ
দিনরাত এসিতে? ডেকে আনছেন ড্রাই আই
পরামর্শে বিশিষ্ট চক্ষুবিশেষজ্ঞ ডাঃ হিমাদ্রি দত্ত
সমস্যা যখন ক্ষীণদৃষ্টি
পরামর্শে বিশিষ্ট চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞ ও দিশা আই হসপিটালের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ডাঃ দেবাশিস ভট্টাচার্য
গ্লকোমা থেকে মুক্তির উপায়
পরামর্শে সুশ্রুত আই ফাউন্ডেশন এবং রিসার্চ সেন্টারের অপথ্যালমোলজিস্ট ডাঃ রতীশচন্দ্র পাল
বিপদ যখন রেটিনোপ্যাথি
পরামর্শে শঙ্করজ্যোতি হাসপাতালের বিশিষ্ট চক্ষুবিশেষজ্ঞ ডাঃ শিবাশিস দাস
ট্যারা চোখ কেন হয় ? প্রতিকারই বা কী?
পরামর্শে বিশিষ্ট চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডাঃ ইপ্সিতা বসু
নজর থাক শিশুর চোখে
সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে স্কুলের ডিজিটাল ক্লাসও। তার জেরে মায়োপিয়া হওয়ায় চোখে পাওয়ার আসছে।
নিখরচায় নকল চোখ!
বিদ্যালয়ে প্রবেশের পর তাদের স্কুলে অন্য শিশু দ্বারা হেনস্থা হওয়ার ভয় থাকে। এমন ক্ষেত্রে এই বাচ্চাদের রক্ষা করতে পারে ডেঞ্চার। তাও তৈরি হয় আর আহমেদ ডেন্টাল কলেজে।
কৃত্রিম চোখ গবেষণা কতদূর?
বা ক্ষীণ, তাঁরা আলো-অন্ধকারের প্রভেদ করতে পারেন। আবছা দেখতেও পারেন। তবে বায়োনিক চোখেরও আরও অগ্রগতি প্রয়োজন রয়েছে।
কখন করা হয় কর্নিয়া প্রতিস্থাপন?
জানালেন রিজিওনাল ইনস্টিটিউট অব অপথ্যালমোলজির চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞ বিশিষ্ট চিকিৎসক প্রফেসর ডাঃ সঞ্জয় চট্টোপাধ্যায়