রসুনের উপর মানুষের ভরসা সেই চরক, সুশ্রুতের আমল থেকেই। বরং বলা ভালো আয়ুর্বেদের উৎপত্তির সময় থেকেই রসুন নামক ভেষজকে সমাদরে স্থান দেওয়া হয়েছে এই শাস্ত্রে। আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকরা বিভিন্ন ধরনের অসুখের নিরাময়ে ব্যবহার করেন গুণবান রসুন। একঝলকে দেখে নেওয়া যাক, কোন কোন রোগে সরাসরি রসুন প্রয়োগ করা হয়-
বাতব্যাধি: এখন শীতকাল। অনেকেই এখন ভোগেন হাঁটুর ব্যথায়। এই ব্যথা সন্ধিবাতের অন্তর্গত অসুখ। তবে শুধু সন্ধিবাত নয়, আমবাতের ব্যথাতেও ভোগেন বহু রোগী। আমবাতের সমস্যায় রোগীর দেহের ছোট ছোট অস্থিসন্ধিতে তীব্র বেদনা হয়। আমবাতের সঙ্গে রিউম্যাটয়েড আর্থ্রাইটিসের মিল রয়েছে। এই দুই ধরনের বাতের সমস্যায় রসুন নানাভাবে কাজে আসে।
হৃদরোগ: হৃৎপিণ্ড সংক্রান্ত যে কোনও অসুখে রসুনের ব্যবহার হয়। জ্বর: সাতদিনের বেশি জ্বর থাকলে, জ্বরের প্রকোপ কমাতে রসুন খুব ভালো কাজ করে।
ত্বকের অসুখ: ত্বকের নানাবিধ সমস্যায় রসুন অত্যন্ত উপকারী। নানা ত্বকরোগের চিকিৎসায় রসুন ব্যবহারের চল রয়েছে দীর্ঘদিন।
কৃমি: বাচ্চা থেকে বয়স্ক— সকলেরই কৃমির সমস্যায় রসুন দারুণ উপকার করে। কনস্টিপেশনে: অরুচি এবং কনস্টিপেশনের সমস্যা দূর করতে রসুন কার্যকরী। বিশেষত সালফার যৌগের উপস্থিতির কারণে হজমের উন্নতিতে ও কোষ্ঠকাঠিন্য সারাতে রসুন অত্যন্ত ফলদায়ক।
সর্দি কাশি ও শ্বাসকষ্ট: মরশুমি নানা রোগে বিশেষত সর্দি, কাশি এবং শ্বাসকষ্টের সমস্যাতেও রসুন খাওয়া বিশেষ কার্যকরী প্রমাণিত হতে পারে।
রসুন ও আয়ুর্বেদিক ওষুধ রসুনকে আয়ুর্বেদিক ওষুধ হিসেবে তিনভাবে প্রয়োগ করা যায়• রসুনের স্বরস বা রস: রসুন থেঁতো করে তার রস বের করে, ৫ থেকে ১০ মিলিলিটার রস রোগী দিনে দু'বার গ্রহণ করতে পারেন।
• কল্ক: রসুনকে থেঁতো করে বা রসুনের কল্কও খাওয়া যায় নানা রোগের উপশমে। ৩ থেকে ৬ গ্রাম করে রসুনের কল্ক দিনে দু’বার গ্রহণ করা যায়।
This story is from the December 2022 edition of Sarir O Sasthya.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Sign In
This story is from the December 2022 edition of Sarir O Sasthya.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Sign In
ছানি পড়েছে বুঝবেন কীভাবে?
পরামর্শে রিজিওনাল ইনস্টিটিউট অপথ্যালমোলজির অধিকর্তা ডাঃ অসীমকুমার ঘোষ
দিনরাত এসিতে? ডেকে আনছেন ড্রাই আই
পরামর্শে বিশিষ্ট চক্ষুবিশেষজ্ঞ ডাঃ হিমাদ্রি দত্ত
সমস্যা যখন ক্ষীণদৃষ্টি
পরামর্শে বিশিষ্ট চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞ ও দিশা আই হসপিটালের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ডাঃ দেবাশিস ভট্টাচার্য
গ্লকোমা থেকে মুক্তির উপায়
পরামর্শে সুশ্রুত আই ফাউন্ডেশন এবং রিসার্চ সেন্টারের অপথ্যালমোলজিস্ট ডাঃ রতীশচন্দ্র পাল
বিপদ যখন রেটিনোপ্যাথি
পরামর্শে শঙ্করজ্যোতি হাসপাতালের বিশিষ্ট চক্ষুবিশেষজ্ঞ ডাঃ শিবাশিস দাস
ট্যারা চোখ কেন হয় ? প্রতিকারই বা কী?
পরামর্শে বিশিষ্ট চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডাঃ ইপ্সিতা বসু
নজর থাক শিশুর চোখে
সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে স্কুলের ডিজিটাল ক্লাসও। তার জেরে মায়োপিয়া হওয়ায় চোখে পাওয়ার আসছে।
নিখরচায় নকল চোখ!
বিদ্যালয়ে প্রবেশের পর তাদের স্কুলে অন্য শিশু দ্বারা হেনস্থা হওয়ার ভয় থাকে। এমন ক্ষেত্রে এই বাচ্চাদের রক্ষা করতে পারে ডেঞ্চার। তাও তৈরি হয় আর আহমেদ ডেন্টাল কলেজে।
কৃত্রিম চোখ গবেষণা কতদূর?
বা ক্ষীণ, তাঁরা আলো-অন্ধকারের প্রভেদ করতে পারেন। আবছা দেখতেও পারেন। তবে বায়োনিক চোখেরও আরও অগ্রগতি প্রয়োজন রয়েছে।
কখন করা হয় কর্নিয়া প্রতিস্থাপন?
জানালেন রিজিওনাল ইনস্টিটিউট অব অপথ্যালমোলজির চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞ বিশিষ্ট চিকিৎসক প্রফেসর ডাঃ সঞ্জয় চট্টোপাধ্যায়