‘বিশল্যকরণী’ কোনও গাছ, না শাস্ত্র চিকিৎসার (সার্জারির) কোনও পদ্ধতির নাম? মাথার মধ্যে এই খটকাটি ঘুরপাক খাওয়ার কারণ রামায়ণের সেই লঙ্কাকাণ্ড। রাবণের গুষ্টির সঙ্গে রাম-লক্ষ্মণের যুদ্ধ, সঙ্গে হনুমান সহ বানর সেনা। বর্তমানকালের মতো সেকালেও যুদ্ধক্ষেত্রের অদূরে অসুস্থ-আহত-মৃত সৈনিকদের জন্য সেবা ও চিকিৎসাকেন্দ্র থাকত। লঙ্কার যুদ্ধে রামের পক্ষে চিকিৎসক ছিলেন বৈদ্যরাজ সুষেণ, যিনি ছিলেন সুগ্রীবের শ্বশুরমশায়। তিনি হনুমানকে সঞ্জীবকরণী ও বিশল্যকরণী বনৌষধি সংগ্রহ করতে বলেন। নামে কারণ তখন ইন্দ্রজিতের বাণের আঘাতে রাম-লক্ষ্মণ অজ্ঞান হয়ে গিয়েছে। যাই হোক জাম্ববানের নির্দেশমতো হনুমান হিমালয় চষে বেড়িয়েও কোনও গাছের সন্ধান পেলেন না। এদিকে সময় বয়ে যাচ্ছে। আতঙ্কিত হনুমান। শেষ পর্যন্ত রেগে ঘেমে ত্রিকূট পাহাড়ের চূড়াটিকেই তুলে নিয়ে এলেন। এসব কথা রামায়ণের লঙ্কাকাণ্ডে বলা হয়েছে।
এরপর দেখুন, লঙ্কাকাণ্ডের ৭৪ সর্গের ৩৩ শ্লোকে কী উল্লেখ আছে— মৃত সঞ্জীবনীঞ্চেব বিশল্যকরণীসপি।
সুবর্ণ (সবর্ণ) করণীংচৈব সন্ধানীং চ মহৌষধিম্।। এর অর্থ হল, মৃত সঞ্জীবনী, বিশল্যকরণী, সুবর্ণকরণী এবং সন্ধানকরণী। এই চারটি ধারায় চিকিৎসা শুরু করলেন বৈদ্যরাজ সুষেণ। পরের ঘটনা আমরা জানি। রাম-লক্ষ্মণ সহ যুদ্ধে আমৃত, মূর্ছিত ও জর্জরিত সকলে সুস্থ হয়ে উঠলেন। উপরিউক্ত ৪টি মহৌষধি হল, শল্যশালাক্য চিকিৎসার মূল চারটি ধারা। দেখা যাক ধারাগুলোতে কী রয়েছে। হনুমানকে বৈদ্যরাজ সুষেণ সঞ্জীবকরণী ও বিশল্যকরণী নামক দুটি বনৌষধি আনতে বলেছিলেন, যে দু’টির মধ্যে শক্তিশালী ঔষধিগুণ রয়েছে। পরে ৪টি ধারায় চিকিৎসার প্রয়োজন হয়েছিল। প্রথমে এই দুটিকে দিয়েই আলোচনাটা শুরু করা যাক।
১. সঞ্জীবকরণী (সঞ্জীবনকরণী): অসাড় বা মূর্ছিত ব্যক্তির মধ্যে প্রাণবায়ুর সঞ্চার করিয়ে (বর্তমানের পরিভাষায় রোগীকে অক্সিজেন দিয়ে) তার প্রাণসঞ্চার করা বা সুস্থ করে তোলা। এমন অনেক ভেষজ আছে, যা দিয়ে মূর্ছিত ব্যক্তিকে সজাগ করা যায়।
২. বিশল্যকরণী: শরীরের মধ্যে কোনও
This story is from the April 2023 edition of Sarir O Sasthya.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Sign In
This story is from the April 2023 edition of Sarir O Sasthya.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Sign In
ফল রস করে খাবেন নাকি চিবিয়ে খাবেন?
পরামর্শে আর এন টেগোর হাসপাতালের ডায়েটেশিয়ান সঞ্চিতা শীল
রূপচর্চায় লেবু!
পরামর্শে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সিনিয়র আয়ুর্বেদিক মেডিক্যাল অফিসার ডাঃ সত্য স্মরণ অধিকারী ও রূপবিশেষজ্ঞ কেয়া শেঠ
শুচিবায়ুগ্রস্ত স্ত্রী ও অসহায় এক স্বামীর গল্প
হঠাৎ বিপদে বাড়ির পাশে ডাক্তার পান ক’জন! কিছু ক্ষেত্রে প্রতিটা সেকেন্ড হতে পারে জীবনদায়ী, মূল্যবান। ডাক্তারখানা বা হাসপাতালে যাওয়ার আগে চটজলদি কী করবেন ? পরামর্শে ডাঃ শুভেন্দু বাগ।
হাতে হাতে রোগ ছড়ানো আটকান
শরীরের অন্দরে জীবাণুর অনুপ্রবেশ করানোর ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ‘হাত' আমাদের হস্তযুগলের! লিখেছেন বিভাষচন্দ্র মজুমদার।
কেনিয়ার জলে জঙ্গলে
ওয়াইফাই, সভ্যতার উচ্চনাদ থেকে বহু ক্রোশ দূরে কেনিয়ার অরণ্য এখনও বেঁচে আছে আদিম নীরবতাকে আশ্রয় করে। লিখেছেন ডঃ সঞ্জীব রায়।
ডায়াবেটিসে আক্রান্ত বয়স্ক রোগীর ত্বকের যত্ন!
পরামর্শে এন আর এস মেডিক্যাল কলেজের ডার্মাটোলজি বিভাগের প্রধান ডাঃ অরুণ আচার।
শিল্পই তার জিয়নকাঠি
শ্রেয়া ব্রহ্মর বয়স বেশি নয়। তবু তার জীবনীশক্তি, শিল্পকে আঁকড়ে ধরে লড়াইয়ের অদম্য মানসিকতা বহু মানুষকেই হার মানার আগে একবার জেতার কথা ভাবতে বাধ্য করবে। লিখেছেন স্বরলিপি ভট্টাচার্য।
মানুষকে সবচেয়ে বেশি কষ্ট দিচ্ছে সম্পর্ক! ...
নিজেকে কিছু করতে হবে। নিজের পরিচয় তৈরি করতে হবে। কিন্তু কীভাবে? সেটাই জানেন না অধিকাংশ। এদিকে বাবা-মা বা প্রিয়জনের নামে পরিচিত হতে চাইছেন না অনেকেই। চাইছেন অমুকের ছেলে, তমুকের মেয়ে নয়, তাঁর নামই ‘নাম' হয়ে উঠুক। ছটফটানির সঙ্গে বাড়ছে অস্তিত্ব সঙ্কট। কয়েক দশকের বাঙালি মনে উঁকি দিলেন বিশিষ্ট মনোবিদ ডঃ অমিত চক্রবর্তী। কথা বললেন বিশ্বজিৎ দাস।
গুন্টার ব্লোবেল
এক নাছোড়বান্দা গবেষকের বিস্ময়কর জীবনের কথা লিখেছেন বিভাস মজুমদার।
গেঁটে বাতে নাজেহাল ? সমাধান কী?
পরামর্শে বিশিষ্ট অস্থিরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়