রুখে দিন আচমকা স্ট্রোক

স্ট্রোক হলে কী করবেন? কতক্ষণের মধ্যে হাসপাতালে নিয়ে যাবেন রোগীকে? পরামর্শ দিলেন বিশিষ্ট নিউরোলজিস্ট ও স্ট্রোক বিশেষজ্ঞ ডাঃ দীপেশ মণ্ডল

পরিসংখ্যান যখন কথা বলে সকালেই যে মানুষকে দিব্য হেঁটে-চলে বেড়াতে দেখেছেন, রাতে খবর পেলেন আচমকা স্ট্রোকে তিনি হাসপাতালে ভর্তি। করোনা পরবর্তী বিশ্বে এমন ঘটনা প্রায়শই ঘটছে। বরাবরই আমাদের দেশে স্ট্রোকের চিত্র বেদনাদায়ক। ওয়ার্ল্ড স্ট্রোক অর্গানাইজেশনের সমীক্ষা অনুসারে, বিশ্বে প্রায় ৯-১০ কোটি স্ট্রোকের রোগী আছেন। এঁদের মধ্যে স্ট্রোক পরবর্তী প্যারালাইসিসে আক্রান্তের সংখ্যাটিও বেশ আশঙ্কাজনক। স্টোকে আক্রান্ত প্রায় ৫-৬ কোটি মানুষই চিরকালীন পঙ্গুত্বের শিকার। করোনার পর এদেশে স্ট্রোকের সমস্যাও অনেক গুণ বেড়েছে। ভারতে প্রতি বছর প্রায় ২৫-৩০ লক্ষ মানুষ স্ট্রোকের শিকার হন। তার মধ্যে প্রায় ৭০-৭৫ শতাংশের ক্ষেত্রেই মাঝারি থেকে বড় ধরনের পঙ্গুত্ব ধেয়ে আসে। তাবলে এই অসুখের সামনে অসহায় আত্মসমর্পণ করতে হবে এমন কিন্তু নয়। বরং একটু সচেতন হলে ও কিছু বিষয় খেয়াল রাখলে স্ট্রোকের সঙ্গে লড়াই অনেক সহজ হয়। স্ট্রোক প্রতিরোধেও বেশ কয়েক যোজন এগিয়ে থাকা যায়।

টেম্পোরাল লোব ৩. প্যারাইটাল লোব ৪. অপটিক লোব৷ প্রতিটি প্রকোষ্ঠেরই নির্দিষ্ট কিছু কাজ আছে। মানুষের চিন্তাভাবনা, শব্দের ব্যবহার, আচার-আচরণ ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণ করে ফ্রন্টাল লোব। শব্দের অর্থ তৈরি, স্মৃতিশক্তির দিকটি খেয়াল রাখে টেম্পোরাল লোব। ঘটনার বিশ্লেষণ, তথ্য যাচাই, ব্যথাবেদনা ও স্পর্শের বিভাগে কর্তৃত্ব করে প্যারাইটাল লোব। দৃষ্টিশক্তির দিকটি সামলায় অপটিক লোব। ব্রেনকে যদি অফিসঘর ধরা হয়, তাহলে সেই অফিসের যাবতীয় কাজকর্ম চালায় এই চার লোব। এদের কাজ চালাতে কাঁচামাল হিসেবে রক্তের প্রয়োজন। রক্তই মস্তিষ্কের প্রতিটি প্রান্তে অক্সিজেন এবং গ্লুকোজ পৌঁছে দেয়। ফলে মস্তিষ্কের কাজও মসৃণভাবে চলতে থাকে। কিন্তু এই ‘কাঁচামাল’ রক্ত যদি চলাচলের পথে বাধা পায়, তাহলেই বিপদ! মস্তিষ্কের স্নায়ুকোষগুলির কাজ তো বন্ধ হবেই, ঘটবে স্ট্রোক।

স্ট্রোকের প্রকারভেদ স্ট্রোক দু'ধরনের। ১. ইস্কিমিক স্ট্রোক ২.হেমারেজিক স্ট্রোক। রক্ত আদানপ্রদান করার জন্য মাথায় অনেক ধমনী থাকে। ইস্কিমিক স্ট্রোকে এই রক্তবাহী ধমনীগুলিতে রক্ত জমাট বেঁধে যায়। ফলে এই জমে যাওয়া রক্তের ডেলা পেরিয়ে মাথার বিভিন্ন অংশে তরল রক্ত পৌঁছতে পারে