• ডাক্তার হতে চেয়েছিলেন? কী চেয়েছিলাম আর কী চাইনি, তখন এই বিকল্প ভাবার অধিকার আমাদের ছিল না। নিম্নমধ্যবিত্ত ঘরের ছেলে। ডাক্তারি পড়ার সুযোগ পেয়েছি, এটাই ঢের। সালটা ছিল ১৯৭০। হায়ার সেকেন্ডারি পাশ করলাম। বেলেঘাটার স্কুলে পড়তাম। জানেন তো নকশাল আমলে কী ঘটেছিল ওখানকার গলিগুলিতে। পাড়ার দাদাদের পাল্লায় পড়ে বলুন, অনুসরণ করতে গিয়ে বলুন, ক্লাস
নাইন থেকে টুয়েলভ পর্যন্ত চোখের সামনে অনেক কিছু দেখেছি...। তখন বিনোদন বলতে ছিল মোহনবাগানইস্টবেঙ্গলের ম্যাচ দেখতে যাওয়া। ৩এ বাস সদ্য চালু হয়েছে। আমাদের পাড়া ছিল মোহনবাগানের সাপোর্টার। দলবেঁধে ক্লাবের ম্যাচ দেখতে ওই বাসে উঠতাম। মাঠে যাব বললেই আর টিকিট লাগত না। পড়াশোনা, খেলা আর ম্যাচ দেখা— এই ছিল জগৎ। ডাক্তার হব কি হব না, এই ভাবনার স্বাধীনতা আমাদের ছিল না। তবে হ্যাঁ, বাড়ির লোকজন চাইতেন ডাক্তার হই। আমিও তাই সুযোগ পাওয়ার পর দ্বিতীয় কিছু ভাবিনি। পাঁচ বছরের এমবিবিএস আর এক বছরের প্রি মেডিক্যাল— সবমিলিয়ে ৬ বছরের পাঠ্যক্রম শেষ করা অবশ্য আমাদের ভাগ্যে ছিল না। নকশাল আন্দোলন। বারবার পরীক্ষা পিছল। ৬ বছরের কোর্স শেষ হল ৮ বছরে!
• তারপর? ডাক্তারি ছাত্র হিসেবে নতুন জীবন শুরু হল আমার। কত রকমের আর্থসামাজিক পরিবেশ থেকে উঠে আসা মানুষজনের সঙ্গে আলাপ হল। কীভাবে তাঁদের কাছে চিকিৎসক হিসেবে নিজেকে গ্রহণযোগ্য করে তোলা যায়, কীভাবে দরদ দিয়ে রোগী দেখা উচিত, তার পাঠ শুরু হয়ে গেল মাস্টারমশাইদের কাছে।
This story is from the April 2023 edition of Sarir O Sasthya.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Sign In
This story is from the April 2023 edition of Sarir O Sasthya.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Sign In
ফল রস করে খাবেন নাকি চিবিয়ে খাবেন?
পরামর্শে আর এন টেগোর হাসপাতালের ডায়েটেশিয়ান সঞ্চিতা শীল
রূপচর্চায় লেবু!
পরামর্শে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সিনিয়র আয়ুর্বেদিক মেডিক্যাল অফিসার ডাঃ সত্য স্মরণ অধিকারী ও রূপবিশেষজ্ঞ কেয়া শেঠ
শুচিবায়ুগ্রস্ত স্ত্রী ও অসহায় এক স্বামীর গল্প
হঠাৎ বিপদে বাড়ির পাশে ডাক্তার পান ক’জন! কিছু ক্ষেত্রে প্রতিটা সেকেন্ড হতে পারে জীবনদায়ী, মূল্যবান। ডাক্তারখানা বা হাসপাতালে যাওয়ার আগে চটজলদি কী করবেন ? পরামর্শে ডাঃ শুভেন্দু বাগ।
হাতে হাতে রোগ ছড়ানো আটকান
শরীরের অন্দরে জীবাণুর অনুপ্রবেশ করানোর ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ‘হাত' আমাদের হস্তযুগলের! লিখেছেন বিভাষচন্দ্র মজুমদার।
কেনিয়ার জলে জঙ্গলে
ওয়াইফাই, সভ্যতার উচ্চনাদ থেকে বহু ক্রোশ দূরে কেনিয়ার অরণ্য এখনও বেঁচে আছে আদিম নীরবতাকে আশ্রয় করে। লিখেছেন ডঃ সঞ্জীব রায়।
ডায়াবেটিসে আক্রান্ত বয়স্ক রোগীর ত্বকের যত্ন!
পরামর্শে এন আর এস মেডিক্যাল কলেজের ডার্মাটোলজি বিভাগের প্রধান ডাঃ অরুণ আচার।
শিল্পই তার জিয়নকাঠি
শ্রেয়া ব্রহ্মর বয়স বেশি নয়। তবু তার জীবনীশক্তি, শিল্পকে আঁকড়ে ধরে লড়াইয়ের অদম্য মানসিকতা বহু মানুষকেই হার মানার আগে একবার জেতার কথা ভাবতে বাধ্য করবে। লিখেছেন স্বরলিপি ভট্টাচার্য।
মানুষকে সবচেয়ে বেশি কষ্ট দিচ্ছে সম্পর্ক! ...
নিজেকে কিছু করতে হবে। নিজের পরিচয় তৈরি করতে হবে। কিন্তু কীভাবে? সেটাই জানেন না অধিকাংশ। এদিকে বাবা-মা বা প্রিয়জনের নামে পরিচিত হতে চাইছেন না অনেকেই। চাইছেন অমুকের ছেলে, তমুকের মেয়ে নয়, তাঁর নামই ‘নাম' হয়ে উঠুক। ছটফটানির সঙ্গে বাড়ছে অস্তিত্ব সঙ্কট। কয়েক দশকের বাঙালি মনে উঁকি দিলেন বিশিষ্ট মনোবিদ ডঃ অমিত চক্রবর্তী। কথা বললেন বিশ্বজিৎ দাস।
গুন্টার ব্লোবেল
এক নাছোড়বান্দা গবেষকের বিস্ময়কর জীবনের কথা লিখেছেন বিভাস মজুমদার।
গেঁটে বাতে নাজেহাল ? সমাধান কী?
পরামর্শে বিশিষ্ট অস্থিরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়