-নও কাজেই সঙ্গে সঙ্গে সাফল্য অর্জন করা যায় কো না। তার জন্য প্রয়োজন দীর্ঘদিনের কঠোর অনুশীলন এবং অসীম ধৈর্য। ব্রিটিশ ভারতের নারী আন্দোলনের অন্যতম সদস্য হিসেবে সেটাই করে দেখিয়েছিলেন মুথুলক্ষ্মী রেড্ডি। শুধু নিজের নয়। দেশের বহু মেয়ের জীবন চিরকালের জন্য বদলে দিয়েছিলেন এই দেবদাসীকন্যা। দেবদাসীর মেয়ে হয়েও প্রত্যাখ্যান করেছিলেন এই কুপ্রথাকে। শিক্ষাকেই করেছিলেন জীবনের পরম সঙ্গী। সকল বাধা বিপত্তিকে জয় করে হয়েছিলেন ভারতের প্রথম মহিলা বিধায়ক। মহিলাদের উন্নতির জন্য লড়াই করেছেন দিনরাত। সফল ডাক্তার হওয়ার পাশাপাশি সমাজ সংস্কারকও ছিলেন তিনি। এই কাজে তাঁর সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা ছিলেন মহাত্মা গান্ধী ও অ্যানি বেসান্ত। তাঁদের দেখানো পথেই নারী সমাজে আনতে পেরেছিলেন পরিবর্তনের বিপ্লব। নারীমুক্তির জন্য এই নিরন্তর সংগ্রামের স্বীকৃতি হিসেবে তাঁকে পদ্মভূষণে সম্মানিত করেছিল ভারত সরকার।
মুথুলক্ষ্মীর জন্ম ১৮৮৬ সালের ৩০ জুলাই ব্রিটিশ ভারতের মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সির পুদুকোত্তাইয়ে। দক্ষিণ ভারতে তখন সগৌরবে চলছে ‘দেবদাসী প্রথা’। দেবতার সঙ্গে বিয়ে দেওয়ার অজুহাতে কম বয়সি সুন্দরী মেয়েদের আজীবন মন্দিরের সেবাদাসী করে রাখা হতো। লজ্জা এবং ঘৃণার এই জীবনকে স্বীকৃতি দেওয়া হতো দেবতার নামে। মুথুলক্ষ্মীর মা চন্দ্রান্মালও ছিলেন একজন দেবদাসী। তবে তাঁকে আজীবন এই লাঞ্ছনা সহ্য করতে হয়নি। চন্দ্রান্মালের জীবন চিরকালের জন্য পাল্টে দিয়েছিলেন মহারাজা কলেজের অধ্যক্ষ এস নারায়ণস্বামী আইয়ার। সমস্ত কুসংস্কারকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বিয়ে করেছিলেন এই দেবদাসীকে। বিষয়টি মোটেই ভালো চোখে দেখেনি তখনকার গোঁড়া সমাজ। নিয়মের বিরোধিতা করায় তাঁদের একঘরে হতে হয়েছিল। এমনকী নারায়ণস্বামীর পরিবারও তাঁর সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক শেষ করে দিয়েছিল।
This story is from the May 2023 edition of Sarir O Sasthya.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Sign In
This story is from the May 2023 edition of Sarir O Sasthya.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Sign In
জীবনশৈলী বদলান, ব্যথাও কমে যাবে
সম্ভব হলে সকালের দিকে গায়ে একটু রোদ লাগান। এক্সারসাইজ করুন। তাতে শরীরে ভিটামিন ডি তৈরি হবে। ফলে পেশি, হাড়গুলি ক্রমশ শক্ত হয়ে উঠবে।
অফিসে বসেই ব্যায়াম করে ব্যথা তাড়ান
অফিসে বসেই ব্যায়াম করে ব্যথা তাড়ান। পরামর্শে বিশিষ্ট যোগ বিশারদ আশিস সেন
বিকল্প শক্তির সন্ধানে: বায়ু—শক্তি
১৩-১৪ হাজার ফিট উচ্চতার লাদাখও ৩০ জুলাই পার করল ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস! পৃথিবী জ্বলছে। দূষণে আরও অন্ধকার হচ্ছে পৃথিবী। তাহলে? তাহলে কিছু তো একটা করতে হবে। যাতে বাঁচে পরিবেশ, স্বাস্থ্য, জীবিকা ও জীবন। শুরু হল বিকল্প শক্তি ও সাধনের খোঁজে নতুন বিভাগ।
চলো মন মধুবন
সামনে সবুজ পাহাড় পায়ের নীচে তিরতিরে নদী। কোথাও কোনও কোলাহল নেই, নেই অহেতুক উচ্ছ্বাস। আছে সরল মানুষ। তাদের জীবনের গল্প। লিখেছেন জগন্নাথ ঘোষ।
জীবনদায়ী খনিজ ফসফরাস
ফসফরাস আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি খনিজ পদার্থ। এটি হাড়, দাঁত, স্নায়ু, পেশি এবং কিডনির সুস্থতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। দুধ, মাছ, ডিম, বাদামসহ প্রোটিন জাতীয় খাবারে ফসফরাস পাওয়া যায়। তবে মাত্রার অতিরিক্ত ফসফরাসও স্বাস্থ্যঝুঁকি সৃষ্টি করতে পারে। শরীরে সঠিক ভারসাম্য বজায় রাখাই সুস্থ জীবনের চাবিকাঠি।
মাম্পস-অর্কাইটিস
হঠাৎ বিপদে বাড়ির পাশে ডাক্তার পান ক’জন! কিছু ক্ষেত্রে প্রতিটা সেকেন্ড হতে পারে জীবনদায়ী, মূল্যবান। ডাক্তারখানা বা হাসপাতালে যাওয়ার আগে চটজলদি কী করবেন ? পরামর্শে ডাঃ শুভেন্দু বাগ।
বুদ্ধিতে সেরা বিজ্ঞানীরাই...
সমাজে একজন মানুষ আর একজনের সঙ্গে কেমন আচরণ করেন, কেন হঠাৎ অদ্ভুত আচরণ করেন ? সেই থেকেই সাইকোলজি নিয়ে জানার ইচ্ছের শুরু। মানুষকে জানার চেষ্টা তাঁর আজও অব্যাহত। একইসঙ্গে যাঁরা নিজের মনের গোলকধাঁধায় হারিয়ে গিয়েছেন, তাঁদের ফের দিশা দেখানোর কাজটাও করে যাচ্ছেন মনোবিদ ডঃ অমিত চক্রবর্তী। কথা বললেন বিশ্বজিৎ দাস।
হিমোফিলিয়া ও ইউরোপীয় নীলরক্ত
বিজ্ঞানের ভাষায় এটি হল ‘এক্স লিংকড় রিসিসিভ হেমারেজিক ডিজিজ৷' এর ‘বাহক জিন’ থাকে মহিলাদের দেহে, কিন্তু উপসর্গে আক্রান্ত হয় প্রধানত পুরুষেরা।
খাবারে অনীহা
বাড়ির খুদে সদস্যটিকে নিয়ে সকলের চিন্তা। তার শরীর বিগড়লেই বড়দের নাওয়া-খাওয়া শিকেয় ওঠে। একটু সচেতন হলেই এড়ানো সম্ভব বড়সড় বিপদ। এই পর্বে শিশুদের খাবারে অনীহা নিয়ে বললেন বিশিষ্ট ডায়েটিশিয়ান সুদেষ্ণা মৈত্র নাগ। শুনলেন অয়নকুমার দত্ত।
আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্টেরও অ্যাজমা আছে, অযথা ভয় পাবেন না
হিমেল মাসে অ্যাজমাকে শায়েস্তা করতে চাইলে জানতে হবে রোগের খুঁটিনাটি। স্টেরয়েড দেওয়া ইনহেলার আদৌ বন্ধু কি না, তা ব্যবহারের নিয়ম কী বুঝতে হবে সেসবও। জানালেন বয়স্ক রোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ ধীরেশকুমার চৌধুরি ও বিশিষ্ট শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ সুজয় চক্রবর্তী।