যোগাসনে কোলেস্টেরল বিয়োগ

হার্টের শত্রু কোলেস্টেরল। নিয়মমাফিক জীবনযাপনে যাকে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। সঙ্গে দরকার প্রয়োজনীয় যোগাসন। পরামর্শে যোগ বিশেষজ্ঞ পরিতোষ হাজরা

• কোলেস্টেরল কী? •• আমাদের শরীরে রক্তের মধ্যে ভাসমান তেল বা চর্বিজাতীয় উপাদানকেই বলে কোলেস্টেরল।

• কোলেস্টেরল দেহের কী কী ক্ষতি করতে পারে? •• রক্ত সংবহন তন্ত্র বা ব্লাড সার্কুলেশন সিস্টেম অক্সিজেন এবং নানা পুষ্টি উপাদান পৌঁছে দেয় শরীরের নানা অঙ্গে। কোনও ভাবে রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়লে তা দেহের নানা রক্তবাহী নালীতে জমা হতে থাকে। ফলে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলিতে অক্সিজেন ও পুষ্টি উপাদান সঠিকভাবে পৌঁছতে পারে না। এখানেই শেষ নয়। দেখা গিয়েছে, রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি পেলে তার সঙ্গে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যাও দেখা যায়। উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকলে একাধিক অঙ্গের কার্যকারিতায় বিঘ্ন ঘটে। দেখা দিতে পারে হার্ট অ্যাটাক, শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি সমস্যা।

• রক্তে কোলেস্টেরল বাড়ে কী কী কারণে? •• মাত্রাতিরিক্ত তেল, ঘি, মাখন, চিজ, ফুল ফ্যাট মিল্ক, রেডমিট-এর মতো খাদ্য খাওয়ার কারণে রক্তে বাড়তে থাকে কোলেস্টেরলের মাত্রা। এছাড়া প্যাকেটজাত যে কোনও খাদ্যে থাকে প্রিজারভেটিভ বা ট্রান্স ফ্যাট। ট্রান্স ফ্যাট থেকে শরীর দ্রুত কোলেস্টেরল তৈরি করে। ট্রান্স ফ্যাট যুক্ত

হার্টের শত্রু কোলেস্টেরল। নিয়মমাফিক জীবনযাপনে যাকে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। সঙ্গে দরকার প্রয়োজনীয় যোগাসন। পরামর্শে যোগ বিশেষজ্ঞ পরিতোষ হাজরা

খাদ্যের উদাহরণ হিসেবে রেডি টু ইট-এর মতো ফুড, সংরক্ষিত মাংস, চিপস, কেক, পেস্ট্রি—অনেক কিছুর কথাই বলা যায়। ধূমপানের অভ্যেসেও বাড়ে কোলেস্টেরল। আর সবচাইতে বড় কথা, অলস জীবনযাপনের অন্যতম ফলাফল হল রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি।

• কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে যোগা, আসন কীভাবে সাহায্য করে? •• অষ্টাঙ্গ যোগের অনুশাসন অনুযায়ী, রোজ ১৫ থেকে ৩০ মিনিট যোগা অভ্যেস করতে হবে। হাতে সময় থাকলে আরও বেশি সময় ধরে যোগাসন করা যায়। যোগাসন অভ্যেসে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। শারীরবৃত্তীয় নানা কার্যকলাপও ক্রমশ স্বাভাবিক হতে থাকে। বিশেষ করে বিপাকক্রিয়ার হার বাড়ে। ফলে কোলেস্টেরল তো কমেই, সঙ্গে সুগার, প্রেশারের মতো অন্যান্য অসুখও নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়।