টাকা থাকলেই কি সুখী হওয়া যায়?

পরামর্শে অ্যাপোলো হাসপাতালের মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ জয়রঞ্জন রাম।

সবাই তো সুখী হতে চায়...

জহর মজুমদার লেখা গান, মান্না দে-এর কণ্ঠে এই গান আমরা গুনগুনিয়েছি কতশত বার। সুখী আমরা সকলেই হতে চাই। তবু কেউ সুখ পায় কেউ পায় না? কেন পান না? সুখ পাওয়ার উপায় কী? এই প্রশ্নের উত্তরে বেশিরভাগ মানুষই বলবেন, ‘সুখ পাওয়ার একমাত্র উপায় হল অর্থ উপার্জন। টাকাই মোক্ষ। ব্যাঙ্ক ব্যালেন্সই একমাত্র |-2000 22000 হবে সুখের সংজ্ঞা ঠিক কী? তৃপ্তি। যে মানুষে ধন সম্পদ নেই, তিনি কোনওদিন সুখী হতে পারেন না। অর্থ না থাকলে সারা জীবনই দুঃখে কাটাতে হয়।” সত্যিই কি তাই? অর্থই কি পারে সর্বসুখ এনে দিতে? বিশেষজ্ঞরা কী বলছেন? সেই নিয়ে আলোচনা হবে। তবে তার আগে জানতে

সুখের বোধ সুখের অনুভূতিতে নেতিবাচক আবেগের তুলনায় অনেক বেশি ইতিবাচক আবেগ উপস্থিত থাকে। এককথায় মানসিক তৃপ্তি, আনন্দ, সন্তোষ, এবং পূর্ণতার অনুভূতি হল সুখ। তাহলে কীভাবে আমরা প্রকৃত সুখ লাভ করতে পারি? জার্নাল অব হ্যাপিনেস স্টাডিজের প্রতিষ্ঠাতা এডওয়ার্ড ডিয়েনার খুঁজে পেয়েছেন ৫টি বিষয় যা একজন মানুষকে ‘সুখী’ করে তুলতে পারে। সেগুলি হল— ১. সামাজিক সম্পর্ক ২. পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার মানসিকতা ৩. অর্থ ৪.

সমাজ এবং সংস্কৃতি ৫. ইতিবাচক ভাবনা।

T মুশকিল হল, সুখ তো আবার দুই ধরনের হয়— ক্ষণস্থায়ী সুখ এবং দীর্ঘস্থায়ী সুখ। আমরা কোন সুখের কথা বলছি? অবশ্যই দীর্ঘস্থায়ী সুখ।

দীর্ঘস্থায়ী সুখ লাভের জন্য কোন কোন বিষয়ের অবদান থাকতে পারে, তা নিয়ে সুদীর্ঘ গবেষণার পর ২০০৫ সালে 'রিভিউ অব জেনারেল সাইকোলজি' জার্নালে প্রবন্ধ প্রকাশ করেছিলেন সোনজা লিউবোমিরস্কি, কেনন শেলডন এবং ডেভিড শকেড।

গবেষকত্রয়ী সুখকে ১০০ শতাংশ হিসেবে ধরে তাকে ৫০:১০:৪০ – এই অনুপাতে ভাগ করেছেন। তাঁরা বলছেন, প্রত্যেকেরই আপন সুখ সম্পর্কে একটা ‘সেট পয়েন্ট’ বা ‘স্থির অনুভব’ রয়েছে। আর এই ভালো থাকার অনুভব যেহেতু বংশগত, তাই পরিবর্তন করাও অসম্ভব। মজার ব্যাপার হল, সুখ সম্পর্কে এই স্থির অনুভব আমাদের সেন্ট পার্সেন্ট সুখের প্রায় ৫০ শতাংশ অবধি অধিকার করে থাকে। অর্থাৎ কোনও ব্যক্তি হঠাৎ নিখরচায় পাঁচতলা মলে গিয়ে যা খুশি, কেনাকাটার অফার পেলে তাঁর নিশ্চয় খুব আনন্দ হবে, তবে কেনাকাটার পরেও ধীরে ধীরে তিনি পুনরায় তাঁর সেট পয়েন্টে এসে স্থির হবেন।