অফিসযাত্রীদের ডায়েট

পরামর্শে পিয়ারলেস হাসপাতালের চিফ ডায়েটিশিয়ান সুদেষ্ণা মৈত্ৰনাগ৷

সো -ম থেকে শনি, সংসারের | সব ঝক্কি সামলে, অফিসের গুরুদায়িত্ব পালন করে নিজেকে সুস্থ রাখা সত্যিই একটা চ্যালেঞ্জ। আর এই চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা তখনই করা সম্ভব, যখন দৈনন্দিন খাদ্যাভ্যাস সবই স্বাস্থ্যকর হয়। অনেকসময় দেখা যায় সারাদিন অফিস সামলে, বাড়ি ফিরে ঘরের কাজ করার পরে বাচ্চাকে হোমওয়ার্ক করাতে গিয়ে বেঁধে যায় কুরুক্ষেত্র! এর পিছনেও কাজ করে সেই পুষ্টিকর খাদ্যের ঘাটতি। এইসকল ঝামেলা সামলে নিজেকে উদ্দীপনায় ভরপুর রাখার জন্য, কী ধরনের খাবার প্রয়োজন তা দেখে নেওয়া যাক।

ব্রেকফাস্ট বয়স, নারী-পুরুষ নির্বিশেষে রোজকার কাজকর্ম চালানোর জন্য দরকার এনার্জির। এই এনার্জির সবচাইতে বড় উৎস হল কার্বোহাইড্রেট। তাই প্রত্যহ গৃহীত খাদ্যের মধ্যে রুটি, আটা, ওটস, মিলেট-এর মতো কিছু সিরিয়াল বা শস্যদানাজাতীয় খাদ্য অবশ্যই রাখা দরকার। সেজন্য সকালে কখনওই খালি পেটে অফিস না বেরনই উচিত। কারণ অফিসে ঢুকেই কাজের যে চাপ, তা সামাল দেওয়ার জন্য দরকার পড়ে অনেকখানি এনার্জির। সকালে ঘুম থেকে উঠে সুষম প্রাতরাশ করলে সারাদিনে কাজ করার এনার্জি মিলবে সহজেই। অনেকেই সকালে ভাত খেয়ে কাজে বেরন। এমনটি করতে কোনও বাধা নেই। ভাতের সঙ্গে খান মাছ বা মাংস কিংবা ডিম। খান সব্জি এবং ডাল। অবশ্য অনেকের ভারি ব্রেকফাস্ট পছন্দ নয়। এমন ব্যক্তিরা আটার রুটি, সব্জির সঙ্গে মাংস বা ডিম খেতেই পারেন। খেতে পারেন মাছ। এছাড়া ওটস অথবা দালিয়ার খিচুড়ি খেয়েও বেরনো যায়। খেতে পারেন সুজি, কিনোয়া ইত্যাদি।