ধারণত বাতের রোগ বলতে সা আমরা যা বুঝি, সেগুলি মূলতঃ আধুনিক পরিভাষায় আর্থ্রাইটিস শ্রেণিভুক্ত। যেমন— ১. সাধারণ গেঁটেবাত ২. আমবাত ৩. অস্থিসন্ধিগত বাত ৪. অস্থিক্ষয়জনিত সন্ধিবাত (অস্টিওপোরোসিস)। এছাড়া কোমরের বাত বা কটিবাত (লাম্বাগো), মেরুদণ্ড শূল (স্পন্ডিলাইটিস), গৃধ্রসী বাত (সায়াটিকা) প্রভৃতি ৬-৭ রকমের বাত দেখা যায়।
না প্রথমোক্ত ৪টি বাতের ক্ষেত্রে সরাসরি স্নায়ুতন্ত্র বা নাড়িতন্ত্র বা নার্ভাস সিস্টেম ধযুক্ত নয়। বাকি বাতব্যাধির প্রায় সবকটিতে নার্ভাস সিস্টেম জড়িত। সেগুলিকে দ আজকের বিশেষ আলোচনার মধ্যে রাখা ক হচ্ছে না। আলোচ্য বাতরোগগুলির লক্ষণ, ঘরোয়া চিকিৎসা, পথ্যাপথ্য আলোচিত হবে। বাতরোগের উপশম ছাড়াও রোগ সঙ্গে নিয়ে G
দীর্ঘায়ু ও কর্মক্ষম থাকার টোটকাও থাকবে। ১. সাধারণ গেঁটেবাত (আর্থ্রাইটিস) গাঁটে গাঁটে যন্ত্রণা, সামান্য ফোলা ও আড়ষ্টতা থাকতে পারে। হাঁটাহাঁটি বেশি করলে, সামান্য ব্যায়ামাদি না করলে প্রায় ক্ষেত্রে এই অবস্থার সৃষ্টি হয়। কখনও কখনও রোগে ভোগার পরে অথবা অলস জীবনযাপন করলে হতে পারে।
২. আমবাত (রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস) সাধারণত গাঁটে গাঁটে ব্যথা, ফোলা ও যন্ত্রণা দিয়ে শুরু হয়। উভয়দিকের গাঁট আক্রান্ত হয়। ফোলা, ব্যথা, প্রদাহ, আড়ষ্টভাব থাকে। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর হাতের ওপরের আক্রান্ত সন্ধিগুলোতে আড়ষ্টভাব দেখা দেবেই। কিছুক্ষণ নাড়াচাড়ার পর স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে। একে বলে মর্নিং স্টিফনেস। বাতরক্ত-এর সঙ্গে বা অস্টিও আর্থ্রাইটিসের সঙ্গে আমবাতের অনেকটা সাদৃশ্য থাকায় চিকিৎসার পূর্বে একটু বিচার বিশ্লেষণ করে নেওয়া দরকার। রক্তপরীক্ষা ও এক্সরে প্রভৃতির সাহায্যে তা সহজেই করা যায়। প্রথম থেকেই সঠিক চিকিৎসা ও খাওয়াদাওয়া এবং ব্যায়ামাদির নিয়মকানুন না মানতে পারলে অথবা চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ব্যথানাশক ও স্টেরয়েড ঘটিত ওষুধ দীর্ঘদিন খেতে থাকলে পরিণতিতে গাঁটগুলো শক্ত হয়ে যাবে, হাত-পা বেঁকে যেতেও পারে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে হয়ও তাই। তখন বাড়িতে রেখে চিকিৎসা করানো দুরূহ হয়ে পড়ে। সাধারণত মেয়েরাই বেশি ভোগেন। আমি এক হাজার আমবাতের রোগীকে বছর দশেক ধরে নাড়াচাড়ার পর দেখেছি, তাঁদের মধ্যে আটশত রোগী মায়েরাই। পুরুষ রোগী মাত্র ২০ শতাংশ।
This story is from the July 2023 edition of Sarir O Sasthya.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Sign In
This story is from the July 2023 edition of Sarir O Sasthya.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Sign In
ছানি পড়েছে বুঝবেন কীভাবে?
পরামর্শে রিজিওনাল ইনস্টিটিউট অপথ্যালমোলজির অধিকর্তা ডাঃ অসীমকুমার ঘোষ
দিনরাত এসিতে? ডেকে আনছেন ড্রাই আই
পরামর্শে বিশিষ্ট চক্ষুবিশেষজ্ঞ ডাঃ হিমাদ্রি দত্ত
সমস্যা যখন ক্ষীণদৃষ্টি
পরামর্শে বিশিষ্ট চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞ ও দিশা আই হসপিটালের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ডাঃ দেবাশিস ভট্টাচার্য
গ্লকোমা থেকে মুক্তির উপায়
পরামর্শে সুশ্রুত আই ফাউন্ডেশন এবং রিসার্চ সেন্টারের অপথ্যালমোলজিস্ট ডাঃ রতীশচন্দ্র পাল
বিপদ যখন রেটিনোপ্যাথি
পরামর্শে শঙ্করজ্যোতি হাসপাতালের বিশিষ্ট চক্ষুবিশেষজ্ঞ ডাঃ শিবাশিস দাস
ট্যারা চোখ কেন হয় ? প্রতিকারই বা কী?
পরামর্শে বিশিষ্ট চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডাঃ ইপ্সিতা বসু
নজর থাক শিশুর চোখে
সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে স্কুলের ডিজিটাল ক্লাসও। তার জেরে মায়োপিয়া হওয়ায় চোখে পাওয়ার আসছে।
নিখরচায় নকল চোখ!
বিদ্যালয়ে প্রবেশের পর তাদের স্কুলে অন্য শিশু দ্বারা হেনস্থা হওয়ার ভয় থাকে। এমন ক্ষেত্রে এই বাচ্চাদের রক্ষা করতে পারে ডেঞ্চার। তাও তৈরি হয় আর আহমেদ ডেন্টাল কলেজে।
কৃত্রিম চোখ গবেষণা কতদূর?
বা ক্ষীণ, তাঁরা আলো-অন্ধকারের প্রভেদ করতে পারেন। আবছা দেখতেও পারেন। তবে বায়োনিক চোখেরও আরও অগ্রগতি প্রয়োজন রয়েছে।
কখন করা হয় কর্নিয়া প্রতিস্থাপন?
জানালেন রিজিওনাল ইনস্টিটিউট অব অপথ্যালমোলজির চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞ বিশিষ্ট চিকিৎসক প্রফেসর ডাঃ সঞ্জয় চট্টোপাধ্যায়