হাঁটু ও কোমরের ব্যথার সমাধান

হাঁটু ও কোমর, শরীরের এই দুই অংশ বিট্রে করতে শুরু করে বয়স ৪০ পেরলেই। কীভাবে সুস্থ রাখবেন তাদের? পরামর্শে বেলভিউ হাসপাতালের বিশিষ্ট অস্থিরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ সন্তোষ কুমার

• বর্তমানে ঘরে ঘরে হাঁটু-কোমরে ব্যথা। তরুণরাও বাদ নেই। রোগীরা সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন কোন ব্যথায়? •• বাতের রোগীর সংখ্যা ধীরে ধীরে বাড়ছে। এখন তরুণ প্রজেন্মের মধ্যেও বাতের ব্যথা আগের তুলনায় বেড়েছে। প্রদাহজনিত বিভিন্ন রোগ থেকে এই ব্যথাবেদনার অসুখ হতে পারে। কমবয়সিদের ক্ষেত্রে জুভেনাইল রিউম্যাটয়েড আর্থ্রাইটিস, অ্যাঙ্কাইলোজিং স্পন্ডাইলোসিস, প্রাইমারি অস্টিও আর্থ্রাইটিস দেখা দেয়। বয়স্কদের বেলায় রিউম্যাটয়েড আর্থ্রাইটিস, অস্টিওপোরোসিস ইত্যাদি থেকে ব্যথা হতে পারে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মাস কয়েক পর ওষুধ খেয়ে ও ব্যায়াম করে এইসব ব্যথা কমলেও, পরে সেই ব্যথা আবার ফিরে আসে। বয়স বাড়লে হাত-পায়ের আঙুলের গাঁটেও রিউম্যাটয়েড আর্থ্রাইটিস দেখা যেতে পারে। পরবর্তীকালে শরীরের অন্যান্য সন্ধিতেও এই ধরনের আর্থ্রাইটিস ছড়িয়ে পড়ে। তরুণদের মধ্যে এক ধরনের ব্যথার প্রবণতা বাড়ছে। সেটি কন্ডোম্যালেশিয়া প্যাটেলা। তবে ওষুধ খেয়ে এই ব্যথা কমিয়ে ফেলা সম্ভব। বয়স্করা বেশি ভোগেন অস্টিওআর্থ্রাইটিসে।

• ছোটবেলা থেকে বা একটা বয়স পর্যন্ত এই ধরনের ব্যথা দেখা দেয় না কেন? • বয়সকালেই কেন হাঁটুর ব্যথা বাড়ে, এ নিয়ে বিস্তর গবেষণা হয়েছে। আমাদের হাঁটুর মধ্যে একটি মসৃণ পর্দা থাকে, যার নাম আর্টিকুলার কার্টিলেজ। দু’টি অস্থিসন্ধিকে যে কোনও ঘর্ষণজনিত আঘাত থেকে রক্ষা করাই এই পর্দার অন্যতম কাজ। ছেলেবেলায় এই পর্দা অক্ষুণ্ন থাকে। তার ফলে হাঁটতে গেলে আমরা কোনওরকম ব্যথা অনুভব করি না। বয়স ৪০ পেরলে এই কার্টিলেজ ধীরে ধীরে ক্ষয়প্রাপ্ত হয়। ফলে হাঁটতে গেলে ব্যথা অনুভূত হয় এবং হাঁটুতে বাত হয়। একেই বলে অস্টিওআর্থ্রোসিস। এই কারণের ফলে হাঁটুতে যে ব্যথা শুরু হয়, তাকে বলা হয় অস্টিওআর্থ্রাইটিস।