সিগারেটের চেয়েও ক্ষতিকর আলস্য!

১০০ বছর নীরোগ বাঁচা উচিত মানুষের। শুনতে অবাক লাগলে এমনই বিশ্বাস করেন পদ্মশ্রীপ্রাপক হোমিওপ্যাথ ডাঃ মুকেশ বাটরা। বলেও দিলেন কীভাবে সম্ভব হতে পারে তা। সোজাসাপ্টা কথা বললেন বিশ্বজিৎ দাস-এর সঙ্গে। এবারে দ্বিতীয় পর্ব।

• সারাদেশে আপনার হোমিওপ্যাথিক আউটলেটগুলো ছড়িয়ে দিলেন কীভাবে? মুম্বইয়ে প্রথম শুরু করার পর বেঙ্গালুরুতে প্র্যাকটিস শুরু করি। ২০ দিন মুম্বই আর ১০ দিন বেঙ্গালুরু। ঈশ্বরকে ধন্যবাদ, ব্যাপক জনপ্রিয় হতে থাকে বেঙ্গালুরুর ক্লিনিক। এমন সময় আমার পরিচিত এক কন্যাসম বলল, ‘স্যর, গুজরাতে বিয়ে হচ্ছে। শ্বশুরবাড়ি বলছে বাইরে কোথাও চাকরি করতে দেবে না। এক যদি গুজরাতে ডাঃ বাটরার কোনও আউটলেট থাকে, সমস্যা নেই।' আমি বললাম, “ঠিক আছে। তোমার স্বামীকে বল, বরোদাতে ক্লিনিক চালু করে দিচ্ছি। সেই ক্লিনিকের ব্যবসা দেখবে তো?’ এইভাবে বরোদার ক্লিনিক চালু হল। তখনকার ভাড়া বাড়ির ক্লিনিক চার দশকে বেড়ে বেড়ে এখন পেল্লাই চারতলা নিজস্ব বাড়ি!

• এখনও রোগী দেখেন? ●● • হ্যাঁ। তবে রেফার হওয়া কেসগুলোই দেখি। আমার ডাক্তাররা যেগুলো খুব ক্রিটিক্যাল মনে করে, জানায়।

• ৫০ বছরের প্র্যাকটিস, ৭২ বছর বয়সে সেই আগের মতোই হোমিওপ্যাথির প্রিন্সিপাল মেনে রোগী দেখেন? মানে রোগের চিকিৎসা করব না, রোগীর চিকিৎসা করব। নাকি সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তাতে নিজস্ব স্টাইল আরোপ করেছেন? •• এই কথাটা বারবার জোর গলায় বলতে চাই। আমাদের ৪০০ ডাক্তার আছে। সবাই ক্লাসিক্যাল হোমিওপ্যাথির সনাতনপন্থা মেনেই চিকিৎসা করেন।

• তাহলে বাজারে এত ভুল ধারণা কেন? • কী করতে পারি বলুন! তবে একটা বিষয় করেছি। সনাতন হোমিওপ্যাথিকে আধুনিক মোড়ক দিয়েছি। ৬০ বছর বয়সে হার্ভার্ডে গিয়েছি। মেডিক্যাল এডুকেশন নিয়ে কোর্স করেছি। ওখানে আমাকে এও শেখানো হয়েছে, কীভাবে রোগীদের সন্তুষ্টি আরও বাড়ানো যায়। ফিরে এসে কোম্পানিতে কিছু প্রোটোকল তৈরি করেছি। আধুনিক প্রযুক্তি, আর্টিফিশিয়াল ইন্টালিজেন্স এইসবের ব্যবহার শুরু করেছি। ১৯৮২ সাল থেকেই ওষুধে ব্লিস্টার প্যাকিং শুরু করেছি। সেই প্যাকিং আজও চালু আছে। কিন্তু মূল চিকিৎসা সেই ক্লাসিক্যাল হোমিওপ্যাথিই।