১৮৮৫ সালের ১৯ জ্যৈষ্ঠ। কয়েকজন প্রায় নব্বই বছরের একজন মৃত্যুপথযাত্রীকে গঙ্গায় নিয়ে এসেছেন। ‘আমার চরক’! কথাটি বলেই তিনি চলে গেলেন না ফেরার দেশে। বৃদ্ধের আদেশেই সবকিছু করা হয়েছিল। কারণ আগের দিন তিনি ঘোষণা করে দিয়েছিলেন তাঁর অবশ্যম্ভাবী মৃত্যুর কথা। সেদিন তাই জল ছাড়া আর কিছুই মুখে তোলেননি। নিজের জীবন সম্পর্কে একেবারে যাকে বলে ‘নিদান', তাই দিয়ে দিয়েছিলেন। মানুষটির এতটাই প্রখর ছিল নাড়িজ্ঞান। সেইসঙ্গে জ্যোতিষবিদ্যাও। লিখেছিলেন জ্যোতিষের বই। না তিনি। ‘পুতুলনাচের ইতিকথা'-র মৃত্যু নিয়ে কারচুপি করা যাদবেশ্বর নন; স্বনামধন্য কবিরাজ গঙ্গাধর সেন রায়। তিনি হলেন ১৭৯৮ সালের ২৫ আষাঢ় জন্মগ্রহণ করেছিলেন পূর্ববঙ্গের যশোরের মাগুরা
গ্রামে। আজ থেকে ২২৫ বছর আগে। এই বছর তাঁর সপাদদ্বিশতবর্ষপূর্তি। মারা যান মূত্রকৃচ্ছ বা প্রস্টেট সংক্রান্ত রোগের জন্য।
সেদিন ভাগীরথী তীরে অগণিত অনুরাগী শুধু একটা কথাই বলতে বলতে চোখ মুছেছিলেন—‘গঙ্গাধরো বা গঙ্গাধরো বা’। অর্থাৎ কবিরাজ গঙ্গাধর যেন সাক্ষাৎ ছিলেন গঙ্গাধারী শিব। মহাদেবের মতোই তিনি গঙ্গাকে ধরে শিবলোকে যাত্রা করেছিলেন। তাঁর প্রসিদ্ধ উত্তরাধিকার রেখে গিয়েছিলেন শ্রীরামকৃষ্ণদেবের অন্যতম চিকিৎসক স্বনামধন্য গঙ্গাপ্রসাদ সেন-সহ আরও অনেকের মধ্যে। এমনকী প্রথম ভারতীয় শব ব্যবচ্ছেদকারী মধুসূদন গুপ্তও নাকি ছিলেন তাঁর শিষ্য।
কলকাতার আমহার্স্ট স্ট্রিটে গঙ্গাধরের টোল ছিল। কিন্তু ১৮৩৬ সালে শবব্যবচ্ছেদে লাটভবন থেকে তোপ দাগা বা ইয়ং বেঙ্গলরা পটকা ফাটালেও সনাতনপন্থী গঙ্গাধর শিষ্যর এই কাজকে সমর্থন করতে পারেননি বা তাঁর গুরুত্ব বুঝতে পারেননি। পরিবেশের দিক থেকে কলকাতা তখন আয়ুর্বেদ চর্চার উপযুক্ত বলে মনে হয়নি তাঁর। এদিকে ১৮৩৫ সালে প্রতিষ্ঠিত ক্যালকাটা মেডিকেল কলেজেও মেকলে সাহেবের প্রতিবেদন অনুযায়ী আয়ুর্বেদ চর্চা বন্ধ হয়ে যায়। আজ অবশ্য আয়ুষের হাত ধরে আবার আয়ুর্বেদের দিন ফিরছে। যাই হোক, অনেকেই মনে করেন গঙ্গাধর তখন মহানগরী ছেড়ে গেলে চলে আসেন নবাবনগরী মুর্শিদাবাদে। কিন্তু তার বহু আগেই শিক্ষা শেষ করে ২১ বছর বয়সে অর্থাৎ ১৮১৯ সালে তিনি মুর্শিদাবাদের সদর বহরমপুরের ঐতিহ্যবাহী জনপদ সৈদাবাদে চলে এসেছিলেন।
This story is from the April 2024 edition of Sarir O Sasthya.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Sign In
This story is from the April 2024 edition of Sarir O Sasthya.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Sign In
ছানি পড়েছে বুঝবেন কীভাবে?
পরামর্শে রিজিওনাল ইনস্টিটিউট অপথ্যালমোলজির অধিকর্তা ডাঃ অসীমকুমার ঘোষ
দিনরাত এসিতে? ডেকে আনছেন ড্রাই আই
পরামর্শে বিশিষ্ট চক্ষুবিশেষজ্ঞ ডাঃ হিমাদ্রি দত্ত
সমস্যা যখন ক্ষীণদৃষ্টি
পরামর্শে বিশিষ্ট চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞ ও দিশা আই হসপিটালের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ডাঃ দেবাশিস ভট্টাচার্য
গ্লকোমা থেকে মুক্তির উপায়
পরামর্শে সুশ্রুত আই ফাউন্ডেশন এবং রিসার্চ সেন্টারের অপথ্যালমোলজিস্ট ডাঃ রতীশচন্দ্র পাল
বিপদ যখন রেটিনোপ্যাথি
পরামর্শে শঙ্করজ্যোতি হাসপাতালের বিশিষ্ট চক্ষুবিশেষজ্ঞ ডাঃ শিবাশিস দাস
ট্যারা চোখ কেন হয় ? প্রতিকারই বা কী?
পরামর্শে বিশিষ্ট চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডাঃ ইপ্সিতা বসু
নজর থাক শিশুর চোখে
সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে স্কুলের ডিজিটাল ক্লাসও। তার জেরে মায়োপিয়া হওয়ায় চোখে পাওয়ার আসছে।
নিখরচায় নকল চোখ!
বিদ্যালয়ে প্রবেশের পর তাদের স্কুলে অন্য শিশু দ্বারা হেনস্থা হওয়ার ভয় থাকে। এমন ক্ষেত্রে এই বাচ্চাদের রক্ষা করতে পারে ডেঞ্চার। তাও তৈরি হয় আর আহমেদ ডেন্টাল কলেজে।
কৃত্রিম চোখ গবেষণা কতদূর?
বা ক্ষীণ, তাঁরা আলো-অন্ধকারের প্রভেদ করতে পারেন। আবছা দেখতেও পারেন। তবে বায়োনিক চোখেরও আরও অগ্রগতি প্রয়োজন রয়েছে।
কখন করা হয় কর্নিয়া প্রতিস্থাপন?
জানালেন রিজিওনাল ইনস্টিটিউট অব অপথ্যালমোলজির চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞ বিশিষ্ট চিকিৎসক প্রফেসর ডাঃ সঞ্জয় চট্টোপাধ্যায়