মানবজীবনে জন্মের পরে পাশ ফিরে শোওয়া, উঠে বসা, হামাগুড়ির পর আসে এক পা এক করে হাঁটতে শেখা। এই হাঁটা শরীরের সহজাত ব্যায়াম। বিশ্বে যত ধরনের ব্যায়াম আছে, তার মধ্যে সর্বাপেক্ষা সহজ ও কোনওরকম বাড়তি উপকরণ ও প্রশিক্ষণ ছাড়াই এই ব্যায়াম করা সম্ভব। তাই শরীরকে ফিট রাখতে চাইলে এবং ওজনবৃদ্ধি রুখে দিতে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মাত্র ৪৫ মিনিট থেকে একটি ঘণ্টা ব্যয় করে হাঁটার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা।
হাঁটার কিছু নিয়মকানুন চিকিৎসক এক ঘণ্টা হাঁটতে বলেছেন বলে প্রথম দিনই ৪৫ মিনিট বা এক ঘণ্টার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে বেরবেন না। হাঁটাহাঁটির অভ্যেস শুরু করার প্রথম দিন থেকে হাঁটার গতি, দূরত্ব নিয়ে মাথা ঘামাবেন না। বরং সাধারণভাবে যে গতিতে হাঁটেন, সেই গতিতেই হাঁটুন। সেই গতিতে হাঁটতে হাঁটতে হাঁপিয়ে না যাওয়া অবধি হাঁটুন। হয়তো দেখা গেল মাত্র ২০০ মিটার হল। প্রথম দিন সেটুকুই যথেষ্ট। পরের দিন চেষ্টা করুন ২০০ মিটারকে ২৫০ মিটার করার। দিন কয়েক অভ্যেসের পর ধীরে ধীরে হাঁটার গতি ও দূরত্ব বাড়াতে পারবেন।
• হাঁটার আগে খেয়াল রাখুন জুতোর। ওয়াকিং শ্য বা স্নিকার্স পরুন। হাঁটার সময় পায়ের নানা অংশে সমান চাপ পড়া জরুরি। নইলে পায়ে ব্যথা হতে পারে। তাই হাঁটার আগে জুতোর খেয়াল রাখুন।
• ভরা পেটে হাঁটা যেমন শরীরের জন্য ক্ষতিকর, তেমন খালি পেটে যে কোনও ব্যায়ামও শরীরের জন্য ক্ষতিকর। খাওয়াদাওয়া সারার এক-দেড় ঘণ্টা পর হাঁটতে বেরন। সকালে হাঁটলে একটি কলা বা চারটে ভেজানো আমন্ড, দুটো খেজুর খেয়ে হাঁটতে বেরন।
ট্রেডমিলে হাঁটার সময় ট্রেডমিলের স্পিড নিয়ন্ত্রণ করুন। এমন গতি দেবেন না, যার সঙ্গে তাল মেলাতে পারবেন না। একটি নির্দিষ্ট গতিতে নিয়ম করে হাঁটাই যথেষ্ট। • হাঁটতে বেরনর সময় হালকা সুতির পোশাক পরা উচিত। কারণ ঘাম হলে তা সুতির জামা শুষে নেবে। হাঁটার সময় আঁটসাঁট পোশাক পরবেন না।
হাঁটতে বেরনর আগে পর্যাপ্ত জল খান। হাঁটতে হাঁটতে হাঁপিয়ে গেলেও একটু জিরিয়ে নিন। মিনিট পাঁচ বিশ্রাম নিয়ে জল খান। ফের মিনিট দুই বসে হাঁটা শুরু করুন। ট্রেডমিলে হাঁটলেও বিশ্রাম নিয়ে জল খেয়ে হাঁটাহাঁটি করবেন। হাঁটার সময় শরীরে প্রচুর ঘাম হয়, তাই শরীর থেকে অনেকটা জল বেরিয়ে যায়। হাঁটার ফাঁকে জল খেয়ে হাইড্রেটেড থাকুন।
This story is from the September 2024 edition of Sarir O Sasthya.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Sign In
This story is from the September 2024 edition of Sarir O Sasthya.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Sign In
ছানি পড়েছে বুঝবেন কীভাবে?
পরামর্শে রিজিওনাল ইনস্টিটিউট অপথ্যালমোলজির অধিকর্তা ডাঃ অসীমকুমার ঘোষ
দিনরাত এসিতে? ডেকে আনছেন ড্রাই আই
পরামর্শে বিশিষ্ট চক্ষুবিশেষজ্ঞ ডাঃ হিমাদ্রি দত্ত
সমস্যা যখন ক্ষীণদৃষ্টি
পরামর্শে বিশিষ্ট চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞ ও দিশা আই হসপিটালের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ডাঃ দেবাশিস ভট্টাচার্য
গ্লকোমা থেকে মুক্তির উপায়
পরামর্শে সুশ্রুত আই ফাউন্ডেশন এবং রিসার্চ সেন্টারের অপথ্যালমোলজিস্ট ডাঃ রতীশচন্দ্র পাল
বিপদ যখন রেটিনোপ্যাথি
পরামর্শে শঙ্করজ্যোতি হাসপাতালের বিশিষ্ট চক্ষুবিশেষজ্ঞ ডাঃ শিবাশিস দাস
ট্যারা চোখ কেন হয় ? প্রতিকারই বা কী?
পরামর্শে বিশিষ্ট চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডাঃ ইপ্সিতা বসু
নজর থাক শিশুর চোখে
সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে স্কুলের ডিজিটাল ক্লাসও। তার জেরে মায়োপিয়া হওয়ায় চোখে পাওয়ার আসছে।
নিখরচায় নকল চোখ!
বিদ্যালয়ে প্রবেশের পর তাদের স্কুলে অন্য শিশু দ্বারা হেনস্থা হওয়ার ভয় থাকে। এমন ক্ষেত্রে এই বাচ্চাদের রক্ষা করতে পারে ডেঞ্চার। তাও তৈরি হয় আর আহমেদ ডেন্টাল কলেজে।
কৃত্রিম চোখ গবেষণা কতদূর?
বা ক্ষীণ, তাঁরা আলো-অন্ধকারের প্রভেদ করতে পারেন। আবছা দেখতেও পারেন। তবে বায়োনিক চোখেরও আরও অগ্রগতি প্রয়োজন রয়েছে।
কখন করা হয় কর্নিয়া প্রতিস্থাপন?
জানালেন রিজিওনাল ইনস্টিটিউট অব অপথ্যালমোলজির চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞ বিশিষ্ট চিকিৎসক প্রফেসর ডাঃ সঞ্জয় চট্টোপাধ্যায়