ছানি এমন একটা সমস্যা, যা সব মানুষের জীবনেই কোনও একটা পর্যায়ে দেখা যায়। এমনিতে বয়সকালের অসুখ হলেও বয়স্ক মানুষ আলাদা করে ছানি চিনতে পারেন না। তাঁরা সাধারণত দৃষ্টিশক্তি ক্ষীণ হয়ে যাওয়ার সমস্যা নিয়েই যান চিকিৎসকের কাছে। সমগ্র পৃথিবীতেই অন্ধত্বের প্রধান কারণ হল ছানি। প্রায় ৬২ থেকে ৬৫ শতাংশ মানুষ ছানি জনিত জটিলতায় ভোগেন। ছানি মূলত এজিং প্রসেস বা বয়সবৃদ্ধি জনিত অসুখ।
ছানি কী চোখের লেন্স-এ যে ক্যাপসুল থাকে, তা চোখের মণির অন্দরে জল ঢুকতে বাধা দেয়। এই ক্যাপসুলই মণির স্বচ্ছতা রক্ষা করে। ক্যাপসুলে জল ঢুকে গেলে চোখের মণি অস্বচ্ছ হয়ে পড়ে। আর এই সমস্যা হয় বয়সকালের জৈব রাসায়নিক পরিবর্তনের কারণে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, কর্নিয়া স্বচ্ছ বলেই আমরা চোখে দেখতে পাই। কারণ আলো কর্নিয়ার মধ্যে ঢুকে কোথাও বাধা পায় না। রেটিনায় জল জমলেও দৃষ্টিশক্তি ব্যাহত হয়। তেমনই লেন্স-এ জল জমলে তাকে ক্যাটারাক্ট বলে। তবে ছানি একবার ধরা পড়লে সঠিক সময়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে অপারেশন করান।
আর চশমা দিয়ে কতদিন চলবে, তা চিকিৎসককেই স্থির করতে দিন। নিজে কখনও সিদ্ধান্ত নেবেন না। সঠিক সময়ে ছানি অপারেশন না করা হলে কতগুলি সমস্যা দেখা দিতে পারে। সেক্ষেত্রে ছানি অতিরিক্ত রকমের ম্যাচিওর হয়ে যায়। যাকে বলে হাইপার ম্যাচিওর। চলতি বাংলায় ‘ছানি পেকে যাওয়া’। আগেকার দিনে ছানি পেকে যাওয়া অবধি অপেক্ষা করে তারপর অপারেশন করা হতো। তবে আজকালকার দিনে যেখানে কাজকর্ম চালিয়ে যাওয়া প্রধান বিষয়, সেখানে চোখে ছানি এবং ঝাপসা দৃষ্টি নিয়ে ঘুরে বেড়ানো মানে নিজের উৎপাদনশীলতা হ্রাস করা। তাই সামান্য ছানি পড়লেও অপারেশন করিয়ে নেওয়া দরকার। তা না করালেও তিনমাস অন্তর চিকিৎসকের পরামর্শমতো চলতে হবে।
This story is from the October 2024 edition of Sarir O Sasthya.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Sign In
This story is from the October 2024 edition of Sarir O Sasthya.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Sign In
ছানি পড়েছে বুঝবেন কীভাবে?
পরামর্শে রিজিওনাল ইনস্টিটিউট অপথ্যালমোলজির অধিকর্তা ডাঃ অসীমকুমার ঘোষ
দিনরাত এসিতে? ডেকে আনছেন ড্রাই আই
পরামর্শে বিশিষ্ট চক্ষুবিশেষজ্ঞ ডাঃ হিমাদ্রি দত্ত
সমস্যা যখন ক্ষীণদৃষ্টি
পরামর্শে বিশিষ্ট চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞ ও দিশা আই হসপিটালের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ডাঃ দেবাশিস ভট্টাচার্য
গ্লকোমা থেকে মুক্তির উপায়
পরামর্শে সুশ্রুত আই ফাউন্ডেশন এবং রিসার্চ সেন্টারের অপথ্যালমোলজিস্ট ডাঃ রতীশচন্দ্র পাল
বিপদ যখন রেটিনোপ্যাথি
পরামর্শে শঙ্করজ্যোতি হাসপাতালের বিশিষ্ট চক্ষুবিশেষজ্ঞ ডাঃ শিবাশিস দাস
ট্যারা চোখ কেন হয় ? প্রতিকারই বা কী?
পরামর্শে বিশিষ্ট চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডাঃ ইপ্সিতা বসু
নজর থাক শিশুর চোখে
সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে স্কুলের ডিজিটাল ক্লাসও। তার জেরে মায়োপিয়া হওয়ায় চোখে পাওয়ার আসছে।
নিখরচায় নকল চোখ!
বিদ্যালয়ে প্রবেশের পর তাদের স্কুলে অন্য শিশু দ্বারা হেনস্থা হওয়ার ভয় থাকে। এমন ক্ষেত্রে এই বাচ্চাদের রক্ষা করতে পারে ডেঞ্চার। তাও তৈরি হয় আর আহমেদ ডেন্টাল কলেজে।
কৃত্রিম চোখ গবেষণা কতদূর?
বা ক্ষীণ, তাঁরা আলো-অন্ধকারের প্রভেদ করতে পারেন। আবছা দেখতেও পারেন। তবে বায়োনিক চোখেরও আরও অগ্রগতি প্রয়োজন রয়েছে।
কখন করা হয় কর্নিয়া প্রতিস্থাপন?
জানালেন রিজিওনাল ইনস্টিটিউট অব অপথ্যালমোলজির চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞ বিশিষ্ট চিকিৎসক প্রফেসর ডাঃ সঞ্জয় চট্টোপাধ্যায়