চি -কিৎসা বিজ্ঞানের পরিভাষায়, উচ্চ রক্তচাপেরই আর এক নাম হাইপারটেনশন। বিশ্বব্যাপী প্রায় ১৫০ কোটি মানুষ ভুগছেন। চিন্তার বিষয় হল, বহু মানুষ জানেনই না, তারা হাইপারটেনশনে ভুগছেন! ফলে হার্ট অ্যাটাক বা হার্ট ফেলিওরের মত বড় অসুস্থতায় মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। নিয়মিত রক্তচাপ পরীক্ষা এবং চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চললে প্রাকৃতিক উপায়ে ব্লাড প্রেশার কমানো সম্ভব। সেইসব খুঁটিনাটি বিষয় নিয়েই আজকের আলোচনা।
• ব্লাড প্রেশার চেক— ব্লাড প্রেশার কন্ট্রোল তাঁদেরই করা দরকার, যাঁদের হাই ব্লাড প্রেশার বা উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে! প্রশ্ন হল, কীভাবে বোঝা যাবে একজনের ব্লাড প্রেশার বেশি আছে, নাকি নর্মাল? জানার একটাই উপায়, নিয়ম করে ব্লাড প্রেশার চেক করা। মাসে যদি একবারও আমরা ব্লাড প্রেশার চেক করতে না পারি, তাহলে অন্তত বছরে একবার প্রেশার চেক করাতেই হবে। তাছাড়া বিপি এখন চেক করা যায় বাড়িতেও। ক্লিনিকেও চিকিৎসকরা ব্লাড প্রেশার চেক করেন। কিছু ক্ষেত্রে ডিজিট্যাল মেশিনেও প্রেশার চেক করা হয়। এগুলির নানা সুবিধা অসুবিধা আছে। তবে রুটিন মাফিক চেক করালে বড় ধরনের জটিলতা তৈরি হওয়ার আগেই অসুখ ধরা পড়বে।
• কখন সতর্ক হবেন? ধরা যাক কারও ব্লাড প্রেশার ধরা পড়ল ১৪০/৯০। এ হল উচ্চ রক্তচাপের সীমানা। রক্তচাপ এর উপরে উঠলে তখন কিন্তু সতর্ক হতে হবে। তবে শুধু সতর্ক হলেই চলবে না। এরপর আরও দুই থেকে তিনবার ব্লাড প্রেশার চেক করাও প্রয়োজন।
• কোন সময়ে মাপবেন? সাধারণভাবে সকালবেলায়। দুপুর ও বিকালেও একবার করে মাপতে হবে। বসা অবস্থায় প্রেশার মাপা দরকার। খুব ভালো হয় চেয়ারে বসে টেবিলের উপরে হাত রেখে ব্লাড প্রেশার মাপলে। আর হাতে যে কাফ জড়ানো হবে তা থাকতে হবে হার্টের সমান্তরালে। এইরকম ছোট ছোট বিষয়গুলি প্রেশার মাপার সময় খেয়াল রাখা দরকার।
• কখন হাইপারটেনসিভ ? ধরা যাক, একজন ব্যক্তি, বয়স প্রায় ৩০, ব্লাড প্রেশার মাপিয়েছেন এবং তিনবারেই ব্লাড প্রেশারের মাত্রা দেখা গেল ১৪০/৯০-এর উপরে। এক্ষেত্রে ওই ব্যক্তিকে আমরা হাইপারটেনসিভ বলব বা তাঁকে হাইপারটেনশনের রোগী বলা যাবে।
This story is from the December 2024 edition of Sarir O Sasthya.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Sign In
This story is from the December 2024 edition of Sarir O Sasthya.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Sign In
ফল রস করে খাবেন নাকি চিবিয়ে খাবেন?
পরামর্শে আর এন টেগোর হাসপাতালের ডায়েটেশিয়ান সঞ্চিতা শীল
রূপচর্চায় লেবু!
পরামর্শে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সিনিয়র আয়ুর্বেদিক মেডিক্যাল অফিসার ডাঃ সত্য স্মরণ অধিকারী ও রূপবিশেষজ্ঞ কেয়া শেঠ
শুচিবায়ুগ্রস্ত স্ত্রী ও অসহায় এক স্বামীর গল্প
হঠাৎ বিপদে বাড়ির পাশে ডাক্তার পান ক’জন! কিছু ক্ষেত্রে প্রতিটা সেকেন্ড হতে পারে জীবনদায়ী, মূল্যবান। ডাক্তারখানা বা হাসপাতালে যাওয়ার আগে চটজলদি কী করবেন ? পরামর্শে ডাঃ শুভেন্দু বাগ।
হাতে হাতে রোগ ছড়ানো আটকান
শরীরের অন্দরে জীবাণুর অনুপ্রবেশ করানোর ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ‘হাত' আমাদের হস্তযুগলের! লিখেছেন বিভাষচন্দ্র মজুমদার।
কেনিয়ার জলে জঙ্গলে
ওয়াইফাই, সভ্যতার উচ্চনাদ থেকে বহু ক্রোশ দূরে কেনিয়ার অরণ্য এখনও বেঁচে আছে আদিম নীরবতাকে আশ্রয় করে। লিখেছেন ডঃ সঞ্জীব রায়।
ডায়াবেটিসে আক্রান্ত বয়স্ক রোগীর ত্বকের যত্ন!
পরামর্শে এন আর এস মেডিক্যাল কলেজের ডার্মাটোলজি বিভাগের প্রধান ডাঃ অরুণ আচার।
শিল্পই তার জিয়নকাঠি
শ্রেয়া ব্রহ্মর বয়স বেশি নয়। তবু তার জীবনীশক্তি, শিল্পকে আঁকড়ে ধরে লড়াইয়ের অদম্য মানসিকতা বহু মানুষকেই হার মানার আগে একবার জেতার কথা ভাবতে বাধ্য করবে। লিখেছেন স্বরলিপি ভট্টাচার্য।
মানুষকে সবচেয়ে বেশি কষ্ট দিচ্ছে সম্পর্ক! ...
নিজেকে কিছু করতে হবে। নিজের পরিচয় তৈরি করতে হবে। কিন্তু কীভাবে? সেটাই জানেন না অধিকাংশ। এদিকে বাবা-মা বা প্রিয়জনের নামে পরিচিত হতে চাইছেন না অনেকেই। চাইছেন অমুকের ছেলে, তমুকের মেয়ে নয়, তাঁর নামই ‘নাম' হয়ে উঠুক। ছটফটানির সঙ্গে বাড়ছে অস্তিত্ব সঙ্কট। কয়েক দশকের বাঙালি মনে উঁকি দিলেন বিশিষ্ট মনোবিদ ডঃ অমিত চক্রবর্তী। কথা বললেন বিশ্বজিৎ দাস।
গুন্টার ব্লোবেল
এক নাছোড়বান্দা গবেষকের বিস্ময়কর জীবনের কথা লিখেছেন বিভাস মজুমদার।
গেঁটে বাতে নাজেহাল ? সমাধান কী?
পরামর্শে বিশিষ্ট অস্থিরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়