ট্রেন সবে থেমেছে পালাক্কাড স্টেশনে। জানালা দিয়ে চারপাশ দেখছি। হঠাৎ শুনি একজন তারস্বরে চেঁচাচ্ছে, 'চোর চোর চোর চোর...'। বেশ অবাক হলাম । এই দুপুরবেলায় চোর আসবে কোত্থেকে, তা-ও আবার দক্ষিণ ভারতের সবচেয়ে নিরাপদ রাজ্য কেরালায়! 'চোর' শব্দটি শুধু বাংলায়ই নয়, হিন্দিতেও ব্যবহৃত হয় । কিন্তু এই ভরদুপুরে চোর কেন? আরেকটু খেয়াল করে দেখি, স্টেশনের একজন হকার হাতে ট্রে ভর্তি প্যাকেট নিয়ে প্ল্যাটফর্মে হাঁটছেন আর 'চোর চোর' বলে চিৎকার করছেন। মালয়ালম ভাষায় 'চোর' শব্দের অর্থ খাবার। এ শব্দ আমি বহুবার শুনেছি কেরালার বন্ধুদের বাড়িতে গিয়ে। এখানে বহুদিন পর শুনে ওলটপালট করে ফেলেছি!
আমি ট্রেন ধরেছি বেঙ্গালুরু থেকে। পালাক্কাড জেলায় ট্রেন ঢোকার সঙ্গে সঙ্গেই প্রকৃতি নিজের গোপন সবুজ সতেজ ঝাঁপি খুলে দিয়েছে। যেদিকে তাকাই, সবুজের আঁচল বিছানো। পথজুড়ে সারি সারি নারকেলবাগান। কেরালাকে কখনোই নারকেলবাগান থেকে আলাদা করার উপায় নেই। সাগর, নদী, সমতল, লোকালয়- কোথায় নেই নারকেলগাছের চিরল চিরল পাতার ঝাপটা দেওয়া বাতাস! কেরালাকে বলা হয় 'গডস ওন কান্ট্রি' বা 'ঈশ্বরের নিজস্ব দেশ'। এখানকার প্রকৃতি এবং অধিবাসীদের আতিথেয়তা, নম্র আচরণ যেন সেই সাক্ষ্যই বহন করে। আমি এবার ইচ্ছে করেই বর্ষাকালে কেরালায় এসেছি। শীত ও গ্রীষ্মের যে রূপ দেখেছি, বর্ষা নিশ্চয় আমাকে হাত ধরে নিয়ে যাবে আগে যেখানে যাইনি এমন কোথাও। বাইরে প্রকৃতি এতই মেঘতাড়িত, আবেগে আপ্লুত যেন আকাশ বেয়ে ঝরে ঝরে পড়ছে কারও কথা ভেবে! কখনো টিপ টিপ, কখনো অঝোর ধারায়। কখনো গাঢ় সবুজে মাখামাখি, কখনো হালকা সবুজে বুজে যাওয়া। কখনো আবার টিয়া সবুজ রং মেখে পার করে দিচ্ছে দিগন্তের পর দিগন্ত। কাঁচা সবুজ ধানখেতে নারকেলগাছের বেড়া দেওয়া আর আরও দূরে মাতাল করা সবুজ রঙের পাহাড় দাঁড়িয়ে আছে হাত বাড়িয়ে
পথের কোথাও কোনো খেতে নিড়ানি দেওয়া হয়ে গেছে, আবার কোনো খেতে কচি মাথা তুলে তাকিয়ে আছে সদ্য ফুটে ওঠা ধানগাছ। একেক সবুজের একেক রকমের সুগন্ধ । একটার পর একটা ধাক্কা দিয়েই যাচ্ছে। তার সঙ্গে আছে মেগমেদুর বৃষ্টির ঘ্রাণ আর রাগ মালহার তোলা সুর।
This story is from the July 2024 edition of Canvas.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Sign In
This story is from the July 2024 edition of Canvas.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Sign In
নোনাজল নিমগ্ন
সে জন্য রোজ সমুদ্রে ছুটে যেতে হচ্ছে না; বরং চারদেয়ালের মাঝেই হতে পারে আয়োজন। লবণের গুণে দেহ আর মন- দুই-ই হবে প্ৰশান্ত
ক্রমান্বয় কষে
কখন, কীভাবে এবং কোনটার পর কোনটা- এই তিনের উত্তরে লুকিয়ে আছে পরিচর্যার প্রকৃত পদ্ধতি। জানা আছে তো?
কনের কসমিক নেইল
পত্রিকার ‘আজকের রাশি’ বিভাগে যারা চোখ রাখেন সকাল সকাল, তাদের জন্য। সেই রাশি-রহস্য যদি তুলে আনা যায় কনের নখে, কেমন হবে?
বরের প্রস্তুতি
গ্রুম'স গ্রুমিং নিয়ে এখন আর রাখঢাক নেই; বরং যত্নহীনতাতেই বিস্ময়। দেশের মেনস গ্রুমিং স্যালনগুলো ঘুরে বিস্তারিত ফুয়াদ রূহানী খানের বয়ানে
আড়ং আর্থ-এর অ্যালোভেরা সুদিং জেল ও কফি স্ক্রাব
ত্বকযত্নে দারুণ কার্যকর দুটি পণ্য নিয়ে এসেছে আড়ং আর্থ। একটি অ্যালোভেরা সুদিং জেল, অপরটি কফি স্ক্রাব। প্রথমটির ব্যবহার ত্বক মসৃণ করে, ত্বকে আর্দ্রতা জোগায় এবং নমনীয়তা বাড়ায়। দ্বিতীয়টি ত্বকের মৃত কোষ দূর এবং অকালবার্ধক্য রোধ করে।
ক্যারি-অন অ্যাপ্রুভড
পরিবহন নিরাপত্তা প্রশাসনের নির্দেশিকা মেনে। নচেৎ সামান্য বিউটি প্রোডাক্টই ফেলতে পারে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে
ঢাকাই বিয়ের খাবারের বিবর্তন
কাচ্চি, না সাদা পোলাও? জর্দা, না ফিরনি? বিয়ের অনুষ্ঠানের মেনু নিয়ে তর্ক চলতেই থাকে। তবে কেমন ছিল ঢাকার বিয়ের খাবার। একটু ইতিহাসের পাতা থেকে কিংবা বলা ভালো গুরুজনদের স্মৃতি হাতড়িয়ে লিখেছেন আল মারুফ রাসেল
আহারে হাড়ের যতন
হাড় মানবদেহের অতি গুরুত্বপূর্ণ অংশ । অন্যান্য কারণের পাশাপাশি খাদ্যাভ্যাসের গোলমালও বারোটা বাজাতে পারে হাড়ের। সঠিক ডায়েটের পরামর্শ রইল পুষ্টিবিদ নিশাত শারমিন নিশির কাছ থেকে
প্রাচীন রোমান পাতে
২৭ খ্রিস্টপূর্ব থেকে ১৪৫৩ খ্রিস্টাব্দ। এক সুদীর্ঘ সময়কাল পৃথিবীর বুকে ধাপে ধাপে ছিল রোমান সাম্রাজ্যের দাপট । প্রাচীন রোমান খাদ্যাভ্যাস কেমন ছিল?
প্রাচীন রোমান পাতে
২৭ খ্রিস্টপূর্ব থেকে ১৪৫৩ খ্রিস্টাব্দ। এক সুদীর্ঘ সময়কাল পৃথিবীর বুকে ধাপে ধাপে ছিল রোমান সাম্রাজ্যের দাপট। প্রাচীন রোমান খাদ্যাভ্যাস কেমন ছিল?