মুজুন আলমেলেহান। সিরিয়ায় জন্ম নেওয়া মেয়েটির বেড়ে ওঠা দারা শহরে। মা-বাবা-ভাই-বোন নিয়ে সেখানে ভালোভাবেই কাটিয়েছে জীবনের প্রথম ১২ বছর। হঠাৎ নেমে আসে দুর্যোগ। কৈশোরে পা দেওয়ার আগমুহূর্তে মেয়েটি হারাতে বসে আনন্দময় শৈশব। যুদ্ধের দামামা বাজতে শুরু করে গোটা সিরিয়ায়। প্রাণ বাঁচাতে পরিবার নিয়ে মুজুন পাড়ি দেয় জর্ডানের জাতারি শরণার্থীশিবিরে । নতুন জীবনে শুরু হয় নতুন যুদ্ধ । এরপর আর কি! কঠিন লড়াইয়ে হার না মেনে শিবিরে থাকা স্কুলে নতুন করে পড়াশোনা শুরু মুজুনের। নিজের পাশাপাশি শরণার্থীশিবিরের অন্য শিশুদের মধ্যেও ছড়িয়ে দিতে থাকে শিক্ষার আলো । বাধা এসেছে বহুবার, কিন্তু মাথা নোয়ায়নি সে। লড়াইয়ে হার না মানা মুজুন একসময় পায় কাজের সম্মান। ২০১৭ সালে শিশুদের প্রকল্প ইউনিসেফের কনিষ্ঠতম শুভেচ্ছাদূত হিসেবে তাকে বেছে নেয় জাতিসংঘ। বিশ্বজুড়ে উচ্চারিত হতে থাকে মুজুনের নতুন পরিচয়।
মুজুনের মতো এমন আরও অনেক কন্যাশিশু রয়েছে, যারা নানাভাবে বৈষম্যের শিকার। কেউ কেউ হয়তো বৈষম্যকে তোয়াক্কা না করে এগিয়ে যাওয়ার পণ নিয়েছে; তবে সংখ্যা নেহাতই হাতে গোনা । বেশির ভাগ কন্যাশিশুই জীবনজুড়ে সম্মুখীন হয় নানাবিধ চ্যালেঞ্জের। কন্যাশিশুদের যে প্রতিনিয়ত নানা বৈষম্য ও চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়, তা তুলে ধরতে জাতিসংঘ প্রতিবছরের ১১ অক্টোবর পালন করে ‘বিশ্ব কন্যাশিশু দিবস'। মূল উদ্দেশ্য বিশ্বে নারীর অধিকার সুনিশ্চিত করা । পাশাপাশি শৈশবে কন্যাশিশুর শিক্ষা, পুষ্টি, চিকিৎসা, ন্যায়বিচার যেন যথাযথভাবে নিশ্চিত হয়, তা-ও এই দিবসের অন্যতম উদ্দেশ্য। প্ল্যান ইন্টারন্যাশনালের 'কারণ আমি একজন মেয়ে' (বিকজ আই অ্যাম আ গার্ল) নামক আন্দোলনের ফলে এর সূচনা। দিবসটি প্রথম পালন করার উদ্যোগ নেয় কানাডা। সে দেশই জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে আন্তর্জাতিক কন্যাশিশু দিবস পালনের প্রথম প্রস্তাব তোলে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০১১ সালের ১৯ ডিসেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ সভায় এ প্রস্তাব গৃহীত হয় । পরের বছর অর্থাৎ ২০১২ সালের ১১ অক্টোবর প্রথম পালিত হয় আন্তর্জাতিক কন্যাশিশু দিবস।
This story is from the Canvas oct 2024 edition of Canvas.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Sign In
This story is from the Canvas oct 2024 edition of Canvas.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Sign In
নোনাজল নিমগ্ন
সে জন্য রোজ সমুদ্রে ছুটে যেতে হচ্ছে না; বরং চারদেয়ালের মাঝেই হতে পারে আয়োজন। লবণের গুণে দেহ আর মন- দুই-ই হবে প্ৰশান্ত
ক্রমান্বয় কষে
কখন, কীভাবে এবং কোনটার পর কোনটা- এই তিনের উত্তরে লুকিয়ে আছে পরিচর্যার প্রকৃত পদ্ধতি। জানা আছে তো?
কনের কসমিক নেইল
পত্রিকার ‘আজকের রাশি’ বিভাগে যারা চোখ রাখেন সকাল সকাল, তাদের জন্য। সেই রাশি-রহস্য যদি তুলে আনা যায় কনের নখে, কেমন হবে?
বরের প্রস্তুতি
গ্রুম'স গ্রুমিং নিয়ে এখন আর রাখঢাক নেই; বরং যত্নহীনতাতেই বিস্ময়। দেশের মেনস গ্রুমিং স্যালনগুলো ঘুরে বিস্তারিত ফুয়াদ রূহানী খানের বয়ানে
আড়ং আর্থ-এর অ্যালোভেরা সুদিং জেল ও কফি স্ক্রাব
ত্বকযত্নে দারুণ কার্যকর দুটি পণ্য নিয়ে এসেছে আড়ং আর্থ। একটি অ্যালোভেরা সুদিং জেল, অপরটি কফি স্ক্রাব। প্রথমটির ব্যবহার ত্বক মসৃণ করে, ত্বকে আর্দ্রতা জোগায় এবং নমনীয়তা বাড়ায়। দ্বিতীয়টি ত্বকের মৃত কোষ দূর এবং অকালবার্ধক্য রোধ করে।
ক্যারি-অন অ্যাপ্রুভড
পরিবহন নিরাপত্তা প্রশাসনের নির্দেশিকা মেনে। নচেৎ সামান্য বিউটি প্রোডাক্টই ফেলতে পারে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে
ঢাকাই বিয়ের খাবারের বিবর্তন
কাচ্চি, না সাদা পোলাও? জর্দা, না ফিরনি? বিয়ের অনুষ্ঠানের মেনু নিয়ে তর্ক চলতেই থাকে। তবে কেমন ছিল ঢাকার বিয়ের খাবার। একটু ইতিহাসের পাতা থেকে কিংবা বলা ভালো গুরুজনদের স্মৃতি হাতড়িয়ে লিখেছেন আল মারুফ রাসেল
আহারে হাড়ের যতন
হাড় মানবদেহের অতি গুরুত্বপূর্ণ অংশ । অন্যান্য কারণের পাশাপাশি খাদ্যাভ্যাসের গোলমালও বারোটা বাজাতে পারে হাড়ের। সঠিক ডায়েটের পরামর্শ রইল পুষ্টিবিদ নিশাত শারমিন নিশির কাছ থেকে
প্রাচীন রোমান পাতে
২৭ খ্রিস্টপূর্ব থেকে ১৪৫৩ খ্রিস্টাব্দ। এক সুদীর্ঘ সময়কাল পৃথিবীর বুকে ধাপে ধাপে ছিল রোমান সাম্রাজ্যের দাপট । প্রাচীন রোমান খাদ্যাভ্যাস কেমন ছিল?
প্রাচীন রোমান পাতে
২৭ খ্রিস্টপূর্ব থেকে ১৪৫৩ খ্রিস্টাব্দ। এক সুদীর্ঘ সময়কাল পৃথিবীর বুকে ধাপে ধাপে ছিল রোমান সাম্রাজ্যের দাপট। প্রাচীন রোমান খাদ্যাভ্যাস কেমন ছিল?