ম্যাজিক ইনিংসে মুগ্ধতার আবেশ ছড়ালেন বিরাট

কিন্তু, অফস্টাম্পের বাইরে নিজে সরে এসে অনসাইডে উড়িয়ে দেন ‘কিং’ ভিভ। যাতে ধরা পড়েছিল ঔদ্ধত্য। ওই একটা শটই চিনিয়ে দিয়েছিল তাঁর জাত।

মুগ্ধতা অপার। বিস্ময়ও তাই অন্তহীন। সত্যিই তো, মেলবোর্নে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে রক্তচাপ বাড়িয়ে দেওয়া ম্যাচে জয় ছিনিয়ে আনা চাট্টিখানি কথা! বিরাট কোহলির ইনিংস সবদিক থেকেই হয়ে ওঠে জাদুকরী। RJ 13 jlov &

একক দক্ষতায় দলকে জিতিয়ে ফেরার পর সোশ্যাল মিডিয়ার উচ্ছ্বাসেও সেই সুর প্রতিফলিত। কারও চোখে তিনি জিনিয়াস। কেউ চিহ্নিত করেছেন চ্যাম্পিয়ন হিসেবে। সুপার হিউম্যান নাকি সুপারম্যান, কী নামে ডাকা যায়, সেই চর্চাও চলেছে। মাথায় মুকুট পরে বিরাটের সিংহাসনে বসে থাকার ছবি পোস্ট করেছে খোদ আইসিসি। বিশেষজ্ঞদের মতে তিনি লেজেন্ড। কারও চোখে আবার, সেরার সেরা। বিশেষণ ফুরিয়ে যাচ্ছে। তবু যেন মনে হচ্ছে যথেষ্ট প্রশংসা হল না। হৃদয়ের অনুভূতি যথাযথ মেলে ধরায় খামতি থেকে গেল। অপূর্ণতা রইল স্তুতিগানে।

আসলে কয়েকটা শব্দে ওই ইনিংসকে ফুটিয়ে তোলা দুঃসাধ্যই! লিওনার্দো দ্য DBYX ভিঞ্চির ‘মোনালিসা' বা ‘দ্য লাস্ট সাপার'। ভ্যান গঘের ‘দ্য স্টারি নাইট’। বতিচেল্লির ‘দ্য বার্থ অব ভেনাস'। পাবলো পিকাসোর ‘লেস ডেমোইসেলেস ডি’অ্যাভিগনন'। বিশ্ববিখ্যাত শিল্পীদের এই সকল সৃষ্টি দেশকাল-সময়ের গণ্ডি পেরিয়ে চিরকালীন।

স্রষ্টাকেও তা দান করেছে অমরত্ব। এমএসজি’তে কোহলির ইনিংসও তেমনই সমকাল পেরিয়ে ভাবীকালের কাছেও হয়ে উঠল চিরন্তন মুগ্ধতার ছবি। যেন ব্যাট নয়, রং-তুলি হাতে সবুজ গালিচায় মহাকাব্যিক সৃষ্টির উল্লাসে মাতলেন তেত্রিশ বছর বয়সি বিরাট। অনন্ত চাপের বিরুদ্ধে বরফশীতল মস্তিষ্কে বাজি রাখলেন পুরুষকারে। তফাত গড়ে দিলেন একক দক্ষতায়। কোহলিয়ানার নতুন নিদর্শন। ক্রিকেটপ্রেমীদের স্মৃতিতে অনন্তকাল ভেসে থাকবে ৫৩ বলে ৮২ রানের এই ইনিংস। ভিঞ্চির ‘মোনালিসা’র ঠোঁটের কোণে লেগে থাকা আলগা হাসির মতোই যা রহস্যময়।