জাদুবিদ্যা ক্রমে ক্রমে সেই প্রাচীন যুগের জ অলৌকিকতার এলাকা ছাড়িয়ে চলে এসেছে মনোরঞ্জনের এলাকায়। জাদুবিদ্যার ইতিহাস এই ক্রমবিবর্তনের ইতিহাস। বাংলার জাদুচর্চার ইতিহাস বহু পুরনো। তারই প্রমাণ মেলে প্রায় ১৫০ বছর পূর্বে প্রকাশিত চিৎপুর বটতলা অঞ্চল থেকে প্রকাশিত ভূতনাথ মান্নার জাদুশিক্ষার বই— যার বিজ্ঞাপন থাকত তখনকার পঞ্জিকায়। নাম ছিল ‘ভেলকি ও ভোজবাজি’। জাদুর দেশ বাংলা। ভারতের অন্য প্রদেশে তাই ‘বাঙ্গাল-কা-জাদু’ কথাটা জাদুর চমকে সুপ্রচলিত।
প্রাচীনকালে বাংলায় জাদুকরদের জাদু তৎপরতার খবর পাওয়া যায় ১৮৭৫ সাল থেকে। উত্তর কলকাতায় দর্জিপাড়ায় তখনকার বিশিষ্ট জাদুকর নবীনচন্দ্র মান্না ও অম্বিকাচরণ পাঠক প্রতিষ্ঠা করেন ‘উইজার্ডস ক্লাব'। পরবর্তীকালে ১৯২১ সালে নতুন করে গড়ে তোলেন ওই ক্লাব নারায়ণচন্দ্র মান্নার পুত্র রাসবিহারী মান্না ও অম্বিকাচরণ পাঠকের ভ্রাতা গোকুলচন্দ্ৰ পাঠক। রাসবিহারী ওই সংস্থার সম্পাদক ছিলেন। চিৎপুরে তাঁর জাদু সরঞ্জাম বিক্রির দোকান ছিল। সেকালের জাদুকরদের কাছে তিনি অপরিহার্য হয়ে উঠেছিলেন। বিভিন্ন সময়কালে ক্লাবে যোগ দিয়েছিলেন জাদুকর গণপতি, বিমল গুপ্ত, ওসাকা রে (অশোক রয়), গোলকবিহারী ধর (গসান) প্রমুখ বিশিষ্ট জাদুকররা। রাজা বোস ওই ক্লাবের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন, তাঁর জীবনের শেষ বছর ১৯৪৮ সালে সভাপতি রূপে। তাঁর মৃত্যুর পরই উইজার্ডস ক্লাব বন্ধ হয়ে যায়। বিগত বাংলার জাদুচর্চার ইতিহাসে উইজার্ডস ক্লাবের স্থান অতি উচ্চ সম্মানের।
5 উইজার্ডস ক্লাব প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পাঁচ বছর পরে ১৮৮০ সালে তখনকার দিনে প্রখ্যাত পত্রিকা হিতবাদীর সম্পাদক কালীপ্রসন্ন বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিষ্ঠা করেন ‘আর্য ইন্দ্রজাল সমিতি'। তিনি ওই প্রতিষ্ঠানের জাদুশিক্ষক ও সম্পাদক ছিলেন। ওই সময়ে ১৮৮২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ‘ফ্রেন্ডস নিক্রোমেটিক অ্যাসোসিয়েশন'। যা পরবর্তীকালে অনেক প্রখ্যাত জাদুশিল্পীদের সান্নিধ্যে ‘ইন্ডিয়ান ম্যাজিসিয়ানস ক্লাব’-এ রূপান্তরিত হয়।
This story is from the 19 November 2022 edition of Saptahik Bartaman.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Sign In
This story is from the 19 November 2022 edition of Saptahik Bartaman.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Sign In
দেবীমহিমা
হিমালয় বাহন রূপে সিংহকে দান করলে দেবীরূপ সম্পূর্ণ হল। দেবীর বারংবার অট্টহাস্যে চারদিক প্রকম্পিত হতে লাগল।
প্রতিক্ষণে অশনি সঙ্কেত
‘র’: প্রতিক্ষণে অশনি সঙ্কেত ৷ মৃণালকান্তি দাস ৷৷ নৈত প্ৰকাশন ৷৷ ৫৫০ টাকা। • নিজস্ব প্রতিনিধি
স্বপ্নের দেশ সিমলা মানালি
এখানকার আবহাওয়া প্রচণ্ড খামখেয়ালি স্বভাবের। কোনও নোটিস ছাড়াই আবহাওয়া খারাপ হতে পারে।
মনখারাপের ছুটি
শুধু চাল-ডাল-তেল-নুন আর শেয়ার বাজারের হিসেব দিয়ে পৃথিবী চলে না। তার আরও বেশি কিছু লাগে।
শ্রীলঙ্কায় পালাবদল
সময়ই বলে দেবে অনুরা কুমারা দিশানায়েক আসলে কতটা বিপ্লবী।
দাবা ওলিম্পিয়াডে ইতিহাস গুকেশদের
জয়ীদের বরণ করে নিতে বহু মানুষ উপস্থিত হয়েছিলেন বিমানবন্দরে। তরুণ দাবাড়ুদের ফুলের মালা পরিয়ে আবেগে ভাসেন অনুরাগীরা।
হ্যামলিনের বাঁশিওয়ালা
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অবশ্য আগেই ঘটেছিল প্রত্যাবর্তন। কুড়ি ওভারের ফরম্যাটে। বিশ্বজয়ের স্বাদও মিলেছে। কিন্তু টেস্ট ক্রিকেটই সর্বোত্তম পরীক্ষার আসর। সেখানে কামব্যাক ম্যাচে সেঞ্চুরি সত্যিই অবিশ্বাস্য।
বাংলা রাগপ্রধান গানের আসর
সঞ্চালনায় মহুয়া দাস ও সুখময় মণ্ডল। পরিকল্পনা ও পরিচালনায় ডঃ রাজীব করচৌধুরী
পঞ্চকবির গান
যন্ত্রসঙ্গীতে ছিলেন প্রেমাংশু সেন (এসরাজ), পলাশ রায় (তালবাদ্য), রানা দত্ত (কিবোর্ড)। অনুষ্ঠানের সংকলন, বিন্যাস ও পরিকল্পনায় ডাঃ অংশু সেন।
নান্দীমুখের লন্ঠন সাহেব
নাটকটির নির্দেশনা, সম্পাদনা ও পরিকল্পনায় অসিত বসু। আলো বাদল দাস।