প্রা তঃভ্রমণের পর গোপালের চা-এর দোকানের বৈঠকে অনেকদিন ধরেই ছক কষছিলাম আমরা কীভাবে এবারের পঁচিশে ডিসেম্বর উদযাপন করব। নানা মুনির নানা মত। ছ’টা মাথা ছ’দিকে যায়। এদিকে পঁচিশ সমাগত প্রায়। আমাদের মধ্যে একজনের পায়ে চাকা লাগানোপশ্চিমবাংলার আনাচ-কানাচে গ্রামেগঞ্জে তার আনাগোনা। সেই প্রস্তাব দিল, রাবড়ি গ্রামে যাওয়া হোক। কিন্তু রাবড়ি গ্রাম কোন মুলুকে, কীভাবে যাওয়া যায়, সে গ্রামের বিশেষত্ব কী? ইত্যাদি নানা প্রশ্নবান তার দিকে তাক করে ছোড়া হতে লাগল। জানা গেল গন্তব্যস্থল কাছেই। বন্ধুদের মধ্যে একজন তার স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে রবিঠাকুরকে আওড়াল— ‘দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া ঘর হতে শুধু দুই পা ফেলিয়া...' ইত্যাদি। মোটামুটি জানা গেল হাওড়া স্টেশন থেকে কর্ড লাইনে জনাই রোড স্টেশনে আমাদের প্রাথমিক যাত্রার অবসান। ওখান থেকে রাবড়ি গ্রাম অটোরিকশয় যাওয়া। আমাদের উৎসাহ আরও বাড়ল যখন জানলাম— ‘জনাইয়ের মনোহরা আর রাবড়ি গ্রামের দু-তিন রকমের রাবড়ি আর সরভাজা মিষ্টির তুলনা কোথাও নেই।' -
গন্তব্যস্থল স্থির হয়ে গেলে যাত্রার উদ্যোগ পর্বের শুরু। ট্রেনের সময় সারণি দেখে জানলাম কর্ড লাইনে বর্ধমানগামী লোকাল ১০-১৫ মিনিটে হাওড়া থেকে ছাড়বে। সুতরাং টালিগঞ্জ থেকে সকাল ৮.৫৫-তে বেরনো চাই। নির্দিষ্ট দিনে নির্দিষ্ট সময় আমরা হাজির হলাম। টিকিট কাউন্টারে না গিয়ে বাইরে থেকেই জনাই রোডের টিকিট নেওয়া হল। জনাই রোড, ২১ কিলোমিটার, ভাড়া ১০
টাকা। একটু চা পানের পর প্ল্যাটফর্মে ঢুকে দেখি গাড়ি দাঁড়িয়ে আছে। সুবিধামতো কামরা দেখে ও অগ্রে পছন্দসই আসন নির্বাচন করে আসীন হলাম। ‘সুবিধামতো’ কথাটা ব্যবহার করলাম এই কারণে যে আমার ভিড়ে বড় ভয়। নিজ সিটে আরামে বসে থাকলেও ভিড় বাড়তে থাকলে, মন পালাই পালাই করে ও আমি প্রথম সুযোগেই গাড়ি থেকে অবতরণ করে স্বস্তি পাই। বন্ধুরা আমার এই স্বভাবের সঙ্গে পরিচিত। তাই এ নিয়ে মাঝে মাঝে পেছনে লাগলেও, আমার সুখসুবিধার দিকে ওরা সতর্ক দৃষ্টি রাখে। যাই হোক ট্রেন সময়মতো ছাড়ল। কামরায় ভিড় নেই। আমার মহা আনন্দ। শীতের সকালে হাত-পা ছড়িয়ে গল্পগুজবে আমরা প্রায় পঁয়ত্রিশ মিনিট কাটিয়ে দেওয়ার পর জনাই রোড এল।
This story is from the 25 March 2023 edition of Saptahik Bartaman.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Sign In
This story is from the 25 March 2023 edition of Saptahik Bartaman.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Sign In
দেবীমহিমা
হিমালয় বাহন রূপে সিংহকে দান করলে দেবীরূপ সম্পূর্ণ হল। দেবীর বারংবার অট্টহাস্যে চারদিক প্রকম্পিত হতে লাগল।
প্রতিক্ষণে অশনি সঙ্কেত
‘র’: প্রতিক্ষণে অশনি সঙ্কেত ৷ মৃণালকান্তি দাস ৷৷ নৈত প্ৰকাশন ৷৷ ৫৫০ টাকা। • নিজস্ব প্রতিনিধি
স্বপ্নের দেশ সিমলা মানালি
এখানকার আবহাওয়া প্রচণ্ড খামখেয়ালি স্বভাবের। কোনও নোটিস ছাড়াই আবহাওয়া খারাপ হতে পারে।
মনখারাপের ছুটি
শুধু চাল-ডাল-তেল-নুন আর শেয়ার বাজারের হিসেব দিয়ে পৃথিবী চলে না। তার আরও বেশি কিছু লাগে।
শ্রীলঙ্কায় পালাবদল
সময়ই বলে দেবে অনুরা কুমারা দিশানায়েক আসলে কতটা বিপ্লবী।
দাবা ওলিম্পিয়াডে ইতিহাস গুকেশদের
জয়ীদের বরণ করে নিতে বহু মানুষ উপস্থিত হয়েছিলেন বিমানবন্দরে। তরুণ দাবাড়ুদের ফুলের মালা পরিয়ে আবেগে ভাসেন অনুরাগীরা।
হ্যামলিনের বাঁশিওয়ালা
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অবশ্য আগেই ঘটেছিল প্রত্যাবর্তন। কুড়ি ওভারের ফরম্যাটে। বিশ্বজয়ের স্বাদও মিলেছে। কিন্তু টেস্ট ক্রিকেটই সর্বোত্তম পরীক্ষার আসর। সেখানে কামব্যাক ম্যাচে সেঞ্চুরি সত্যিই অবিশ্বাস্য।
বাংলা রাগপ্রধান গানের আসর
সঞ্চালনায় মহুয়া দাস ও সুখময় মণ্ডল। পরিকল্পনা ও পরিচালনায় ডঃ রাজীব করচৌধুরী
পঞ্চকবির গান
যন্ত্রসঙ্গীতে ছিলেন প্রেমাংশু সেন (এসরাজ), পলাশ রায় (তালবাদ্য), রানা দত্ত (কিবোর্ড)। অনুষ্ঠানের সংকলন, বিন্যাস ও পরিকল্পনায় ডাঃ অংশু সেন।
নান্দীমুখের লন্ঠন সাহেব
নাটকটির নির্দেশনা, সম্পাদনা ও পরিকল্পনায় অসিত বসু। আলো বাদল দাস।