প্রতিদিন আমার একজন নতুন অনুরাগীর ভ জন্ম হোক

ওটিটি-র ময়দানে নতুন ইনিংস খেলতে নামছেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। একটি আন্তর্জাতিক ওয়েব প্ল্যাটফর্মে ‘জুবিলি’ সিরিজের মুখ্য চরিত্রে তিনি। বিক্রমাদিত্য মোতওয়ানে পরিচালিত এই সিরিজে ৪০ দশকের হিন্দি ছবির দুনিয়ায় চাকচিক্যের আড়ালে অন্ধকার দিক তুলে ধরা হয়েছে। মুম্বইয়ের এক পাঁচতারা হোটেলে টলি তারকার সঙ্গে খোলামেলা আড্ডায় উঠে এল নানা কথা।

• জানি এই প্রশ্নের মুখোমুখি সব সময় হতে হয়। তাও জিজ্ঞেস করছি। বয়সটা কীভাবে বেঁধে রেখেছেন? •• (হালকা হেসে) একদমই তাই। অনেকেই আমাকে এই প্রশ্নটা করে। কোনও রহস্য নেই এতে। আপনি জানেন নিশ্চয়ই অত্যন্ত শৃঙ্খলার মধ্যে থাকি আমি। কিছুটা জেনেটিক অবশ্যই। তাছাড়া এখন ফিটনেসটা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। সারা দেশের সব ৫৫ ঊর্ধ্ব নায়ক প্রত্যেকেই দারুণ ফিট। আর পেশাদার অভিনেতা হিসেবে প্রযোজকদের কাছে আমার কমিটমেন্ট থাকে। তাই নিজেকে ফিট রাখতে টলি তারক হয়। চরিত্রের প্রয়োজনে নিজের শরীর প্রচুর ভাঙাচোরা করতে হয়। আমার আসন্ন বাংলা ছবি ‘শেষ পাতা’-য় এক লেখকের চরিত্রে অভিনয় করেছি। অতনু ঘোষের পরিচালনায় সেই ছবিতে চরিত্রের প্রয়োজনে আমাকে শীর্ণকায় হতে হয়েছে।

‘দুটি পাতা’ থেকে ‘শেষ পাতা’আপনার এই ফিল্মি সফর তো ‘জুবিলি’-তে ভরা। •• পাঁচ বছর বয়সে বাবার (বিশ্বজিৎ) প্রযোজনা সংস্থার ছবি ‘ছোট্টো জিজ্ঞাসা’-য় অভিনয় করেছিলাম। এরপর প্রচুর ছবির প্রস্তাব পেয়েছিলাম। রাজ কাপুর এই ছবির রিমেক রাইট চেয়েছিলেন। মা রাজি হননি। দুটি পাতা’ নায়ক হিসেবে আমার অভিষেক ছবি। ‘অমর সঙ্গী’র পর আমাকে আর পিছনে ফিরে দেখতে হয়নি। এটা আমার প্রথম ছবি যা ৭৫ সপ্তাহ চলেছিল, প্ল্যাটিনাম জুবিলি হয়েছিল। সেই প্রথম আমার জুবিলির স্বাদ পাওয়া। এখনকার তরুণ তারকাদের অনেকেই জানেন না যে একটা জুবিলি কী হয়। আমার ৬০-৭০টার বেশি ছবি সিলভার জুবিলি হয়েছে। গোল্ডেন জুবিলি হয়েছে ৩৫৪০টা ছবি।