শরবত সুস্বাদু সুমিষ্ট পানীয়। রমজানে সাবুদানার শরবত তরমুজের টুকরো দিয়ে তৈরি করে পান করার রীতি দীর্ঘ দিনের। শব্দটি এসেছে আরবি ভাষা থেকে। এখন ওটাই যেন খাঁটি বাংলা হয়ে গেছে। বাঙালির অনেক ব্রতপালনে সাবুদানা (সাগু দানা) ভিজিয়ে রেখে তাতে দুধ ও মিষ্টান্ন এবং কলা প্রভৃতি একসঙ্গে চটকে পাতলা করে খাওয়ার রীতি প্রচলিত। এটি একেবারে পাতলা শরবত না হলেও একটু গাঢ় শরবতের মতো হয়ে থাকে। সহজে পানীয়ের মতো খাওয়া যায়। গ্রাম বাংলায় আজও ঔষধি দ্রব্য দিয়ে নানা প্রকারের শরবত ছেলেমেয়ে, নাতি-নাতনিদের খাওয়ানোর রীতি দেখা যায়। ঋতুভেদে সেটির ব্যবহারের তারতম্য পরিলক্ষিত হয়।
চিরকালীন শরবত ১) নুন, লেবু, চিনি ও জল পরিমাণমতো নিয়ে তৈরি শরবত সারা বছর খাওয়া হয়ে থাকে। নানা সমস্যায় ব্যবহৃত হয়।
২) প্রকৃতির তৈরি শরবত: ডাবের জল, নারকেলের জল। কোনও কিছুই করতে হয় না। ডাব কার্টুন আর খান। নারকেলের জল ডাবের মতো সহজ লভ্য নয়, সহজে কেউ খেতে চান না, ক্ষেত্র বিশেষে খাওয়ার বিধান রয়েছে। সুগারের রোগীরা কচি ডাবের জল খাবেন ২০০-২৫০ মিলি লিটার। খেতে যেন কষাটে হয়, সেটিই এঁদের পক্ষে ভালো। সকলের জন্য মাত্রা একই। ডাবের জল জীবাণু মুক্ত, শীতল পানীয়। শরীরে সোডিয়াম ও পটাশিয়ামের সমতা বজায় রাখে। সারা বছরই খাওয়া চলে।
• যাঁরা অপুষ্টিতে ভোগেন, তাঁরা প্রত্যহ ভাত খাওয়ার পর মাঝারি ধরনের একটা ডাবের জল খাবেন। ভেতরে নরম শাঁস থাকলে সেটিও খেয়ে নেবেন। জলটি মিষ্ট স্বাদের হওয়া চাই, ২০০২৫০ মিলি হলেই ভালো।
• রোজ যাঁরা নানা ওষুধ খেয়ে থাকেন, তাঁরা সপ্তাহে ৩-৪টি ডাবের জল খাবেন। দুপুরে ভাত খাওয়ার পর, কষাটে বা মিষ্ট স্বাদের। এতে শরীরে টক্সিন জমতে পারবে না, আর ওষুধের অব্যবহৃত অংশও মূত্রের সঙ্গে বেরিয়ে যাবে।
• মূত্রাল্পতায়, মূত্রগ্রন্থির সংক্রমণে দুপুরে ভাত খাওয়ার পর পূর্বের মতো ডাবের জল খাবেন। প্রয়োজনে দিনে ২ বার। তবে কিডনি ফেলিওরের সমস্যা থাকলে, ডাবের জল খাবেন না।
• ডাবের জল খেলে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমবে। ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি পাবে। শরীরের ওজনও বাড়বে না। আমরা গরমের দিনগুলোতে ডাবের জল খেতে বেশি পছন্দ করি। অন্য সময় হিসেব করে খেলে আপনি ভালো থাকবেন, পরিবারের সকলকে
This story is from the 29 April 2023 edition of Saptahik Bartaman.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Sign In
This story is from the 29 April 2023 edition of Saptahik Bartaman.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Sign In
অবাধ্য ভিক্ষু ও তথাগত
অবাধ্যতার শাস্তি—মিত্রবিন্দকের গল্পে তথাগত শোনালেন কিভাবে গুরুজনদের অমর্যাদা তাকে মহাসমুদ্রের যন্ত্রণায় নিয়ে যায়। একাকী দ্বীপে সুখভোগের পরিণামে নরকবাস ও ক্ষুরচক্রের দুঃখ—জীবনের শিক্ষা কখনও অবহেলা করা উচিত নয়।
মননে চিন্তনে পরাবিদ্যা
চিন্তা একটি জটিল এবং রহস্যময় প্রক্রিয়া, যা অনুভূতি থেকে উদ্ভূত হয়। মাখনলাল রায়চৌধুরীর \"চিন্তাশক্তি: তাহার সংযম ও সাধনা\" বইয়ে চিন্তার উৎপত্তি, স্মৃতি, একাগ্রতা এবং পরোপকার নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। অন্যদিকে, জীতেন্দ্রনাথ সেনের \"আত্মসমর্পণ যোগ\" গ্রন্থে আত্মসমর্পণ যোগের মর্ম এবং ভগবানের প্রতি চিত্তশুদ্ধির গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে। দুটি বই-ই মানসিক শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়ক।
তাঁতশিল্প, শিল্পী সমাজ
বই: টানা পোড়েন: তাঁতশিল্প ও শিল্পী সমাজ লেখক: পলাশ পান মূল্য: ১০৫০ টাকা | প্রকাশক: আনন্দ প্রকাশন তাঁতশিল্পের ঐতিহ্য, সংকট, এবং সম্ভাবনার এক বিস্তৃত আখ্যান। প্রাচীন বস্ত্রশিল্পের ইতিহাস, লোককথা, এবং আধুনিকতার চাপে তার রূপান্তর তুলে ধরেছেন লেখক। বইটি গবেষকদের জন্য তথ্যসমৃদ্ধ এবং সাধারণ পাঠকের জন্য গর্বের এক উপহার।
ভূতেরও ছত্রিশ জাত
ভূতের গল্পের রহস্যময় দুনিয়ায় প্রবেশ করুন! তিমিবাবু আর অপরাজিতা নন্দীর কথকতায় প্রকাশ পেয়েছে ৩৬টি অনবদ্য ভূতের গল্প। পার্ক স্ট্রিটের গোরস্থান থেকে শুরু করে ইয়াকোহামার ডল হাউস, রোমানিয়া, এবং আফ্রিকার মতো আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে ভৌতিক সমস্যার সমাধানে দক্ষ এই জুটি। লেখিকা দ্বৈতা হাজরা ≡ গোস্বামী মজা, ব্যঙ্গ আর আতঙ্ক মিশিয়ে তৈরি করেছেন এমন গল্প, যা সব বয়সের পাঠকের মন জয় করবে। তিমিবাবু আর তেত্রিশ ভূত—এখনই সংগ্রহ করুন! মূল্য: ২৫০ টাকা। (কমলিনী, ১৩ বঙ্কিম চ্যাটার্জি স্ট্রিট, কলকাতা-৭৩)।
থাইরয়েডের সমস্যা সামলাবেন কীভাবে?
থাইরয়েড গ্রন্থির অসুখ হলে বিরাট বিপদ! ধীরে ধীরে অগোচরে শরীরে বাসা বাঁধে একাধিক রোগ। দেখা দিতে পারে ব্লাডপ্রেশার, স্মৃতিভ্রম, ওজনবৃদ্ধি, চুল পড়া, বন্ধ্যাত্ব, হার্টের অসুখ, সন্তানের বুদ্ধিজনিত বৈকল্যের মতো বহু গুরুতর সমস্যা। কীভাবে এই রোগ নিয়ন্ত্রণ করা যায়? আধুনিক চিকিৎসা ও ডায়েট নিয়ে লিখেছেন এন্ডোক্রিনোলজিস্ট ডাঃ রানা ভট্টাচার্য। কার্যকরী হোমিওপ্যাথিক ওষুধের কথা জানিয়েছেন ডাঃ গৌতম আশ। এছাড়া থাইরয়েড টিউমার ও ক্যান্সার নিয়ে পরামর্শ দিয়েছেন ইএনটি, হেড অ্যান্ড নেক সার্জেন ডাঃ মনোজেন্দ্রনারায়ণ ভট্টাচার্য। বন্ধ্যাত্ব দূরীকরণ ও গর্ভাবস্থায় থাইরয়েডের অসুখের চিকিৎসা নিয়ে জরুরি তথ্য দিলেন গাইনোকোলজিস্ট ডাঃ পল্লবকুমার মিস্ত্রী।
হোমিওপ্যাথিতে সারে থাইরয়েডের অসু
থাইরয়েড আমাদের গলার সামনে থাকা একটি প্রজাপতি আকৃতির গ্রন্থি যা শরীরের বিপাকীয় প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি থাইরক্সিন (টি ফোর) এবং ট্রাইআয়োডো থাইরোনাইন (টি থ্রি) হরমোন উৎপাদন করে। থাইরয়েডের অসুখ যেমন হাইপোথাইরয়েডিজম এবং হাইপারথাইরয়েডিজম, বিভিন্ন উপসর্গ যেমন ক্লান্তি, ওজন বৃদ্ধি, হৃদস্পন্দন বৃদ্ধি, এবং ঘামসহ অন্যান্য সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। সঠিক চিকিৎসা ও ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে থাইরয়েডের রোগগুলি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। থাইরয়েডের অসুখের চিকিৎসায় হোমিওপ্যাথি একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে, যা শরীরের ভারসাম্য পুনঃস্থাপন করে।
প্রেগন্যান্সিতে থাইরয়েডের অসুখ
থাইরয়েডের সমস্যা গর্ভাবস্থায় নানা জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে, যেমন বন্ধ্যাত্ব, গর্ভপাত, বা সময়ের আগে ডেলিভারি। হাইপোথাইরয়েডিজমে হরমোনের অভাবে মেনস্ট্রুয়েশন সাইকেল বা ওভ্যুলেশন সমস্যা হতে পারে, যার ফলে গর্ভধারণে বাধা পড়ে। অন্যদিকে, হাইপারথাইরয়েডিজমে অতিরিক্ত হরমোনের কারণে মেনস্ট্রুয়েশন অনিয়মিত হতে পারে এবং গর্ভধারণের জন্য সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। গর্ভাবস্থায় থাইরয়েডের সমস্যা চিনতে রক্তের পরীক্ষার মাধ্যমে তাজা টিএসএইচ ও হরমোনের মাত্রা পরীক্ষা করা হয়। তাই গর্ভবতী মহিলাদের জন্য থাইরয়েডের পরীক্ষা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
কবির নতুন পাওয়া নাতনি
রবীন্দ্রনাথ নিজে কবিতাটি পড়ে পারুল দেবীর হাতে তুলে দিলেন উপহার হিসেবে— ‘ভাইফোঁটা' কবিতা। এছাড়া নিজের লেখা অনেক বই কবি দিয়েছিলেন পারুলকে।
উদারনীতির স্থপতি
মনমোহন সিং ভারতের অন্যতম প্রভাবশালী অর্থনীতিবিদ এবং রাজনীতিবিদ। ১৯৩২ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর, অবিভক্ত পাঞ্জাবের গাহ গ্রামে জন্মগ্রহণকারী এই কীর্তিমান ব্যক্তি দেশের উদার অর্থনৈতিক নীতির জনক হিসেবে পরিচিত। কেমব্রিজ ও অক্সফোর্ড থেকে শিক্ষা লাভের পর, তিনি আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও উন্নয়ন ক্ষেত্রে কাজ করেছেন। ১৯৯১ সালে অর্থমন্ত্রী হিসেবে দেশের অর্থনৈতিক সংস্কারের পথে অগ্রসর হয়ে, সরকারি নিয়ন্ত্রণ কমিয়ে বেসরকারি ও বিদেশি পুঁজির জন্য সুযোগ সৃষ্টি করেন। তাঁর নেতৃত্বে ভারতের অর্থনীতি প্রবৃদ্ধির শীর্ষে পৌঁছেছিল। ২০০৪ সালে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর তিনি একাধিক বৈপ্লবিক আইন প্রণয়ন করেন এবং বিশ্বের অর্থনৈতিক মন্দা মোকাবিলায় সাফল্য অর্জন করেন। 'অ্যাক্সিডেন্টাল প্রাইম মিনিস্টার' হিসেবে অভিহিত হলেও, তাঁর কার্যকাল দেশের ইতিহাসে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
নীল সাগরের তীরে দিগলিপুর
আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের রাজধানী পোর্টব্লেয়ার (নতুন নাম শ্রীবিজয়পুরম) আমাদের ভ্রমণের প্রথম গন্তব্য। আমরা দুই পরিবারের মোট ছ'জন সদস্য সপরিবারে দমদম বিমানবন্দরে পৌঁছাই। প্রথম পাঁচদিন দ্বীপগুলোর বিচগুলোতে কাটানোর পর ষষ্ঠ দিনে দিগলিপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দিই। যাত্রা পথে জিরাংগা চেকপোস্টে থেমে জারোয়া আদিবাসীদের গ্রাম দেখতে পাই। এরপর, স্পিড বোটে চুনাপাথরের গুহা ও রস ও স্মিথ দ্বীপ ঘুরে আসি, যা আন্দামানের অন্যতম সুন্দর স্থান। দ্বীপের অসাধারণ প্রাকৃতিক দৃশ্য ও সমুদ্রের স্বচ্ছ জল মন মুগ্ধ করে।