ত্য ক বিকেলে বন্ধু ও বোনকে নিয়ে যাত্রা শুরু হল শিপ্রা এক্সপ্রেসে চড়ে। ভ্রমণের রুট আপাতত মধ্যপ্রদেশঅর্থাৎ সাঁচি, ভোপাল, ইন্দোর। তৃতীয় দিন বেলা ২ টো নাগাদ ভোপালে নামলাম। আগে থেকেই আস্তানা জোগাড় করা ছিল। সেখানে পৌঁছে স্নান সেরে তৈরি হয়ে নিলাম। বিকেল ৪টে নাগাদ বের হলাম শহরটা একটু ঘুরে দেখতে। প্রথমে যাওয়া হল আপার লেক। এরপর লক্ষ্মীনারায়ণ মন্দির দেখেই সন্ধ্যা হয়ে গেল। এখানকার স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল সবই প্রায় রানি দুর্গাবতীর নামে। পরদিন সকালেই ব্রেকফাস্ট সেরে বেরিয়ে পড়লাম। ঠাসা ভ্রমণসূচি। প্রথমে যাব ভীমবেটকা। ভোপাল থেকে দূরত্ব ৪৬ কিমি। ভীমবেটকার খ্যাতি জগৎজোড়া। এখানেই আবিষ্কৃত হয়েছে আদিম মানুষের বসতি আর তাদের সৃষ্ট গুহাচিত্র। সকাল ৯টার মধ্যেই পৌঁছে গেলাম শাল, সেগুন, মহুয়ার ঘন জঙ্গলে ঢাকা বিন্ধ্য পর্বতের দক্ষিণ ঢালে রাতাপানি বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের অন্তর্গত ভীমবেটকায়।
‘ভীমবেটকা' শব্দটি এসেছে ভীম বাইথকা থেকে অর্থাৎ মধ্যম পাণ্ডব ভীমের বৈঠকখানা থেকে। এই গুহাতে পাথরের প্রাচীরের উপর যে চিত্রগুলি পাওয়া যায়, তা নিঃসন্দেহে ভারতীয় উপমহাদেশের প্রাচীন শিল্পকর্মগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য। এখানে প্রাপ্ত কিছু কিছু চিত্রের বয়স খ্রিস্টের জন্মেরও প্রায় ৩০ হাজার বছর আগেকার ছবি। টিকিট কেটে গাইডকে সঙ্গে নিয়ে বড় বড় গাছের ছায়ায় আলো আঁধারির মধ্য দিয়ে হেঁটে যেতে যেতে মনে হচ্ছিল পৌঁছে গেছি কয়েক হাজার বছর আগের পৃথিবীতে। যখন মানুষ সভ্যতার আলো দেখেনি। পাথরই ছিল একমাত্র হাতিয়ার। সেই প্রস্তরযুগের আদিম মানবের জীবন দর্শনের ছবিই ছড়িয়ে আছে ভীমবেটকা জুড়ে। প্রথমে পেলাম যে বিশাল গুহা তার নাম সভাগৃহ। এই গুহাটি এতটাই প্রশস্ত যে, মনে হয় সকলে এখানে মিলিত হতো আলাপ আলোচনার জন্য। কিছু গুহার ছাদ আবার অনেক উঁচুতে। তবে সেখানে উঠেও তারা এঁকে রেখেছে তাদের স্বাক্ষর। একই গুহায় বিভিন্ন আঙ্গিকের ছবি দেখে মনে হয় বিভিন্ন যুগের মানুষ ওই গুহায় বাস করেছে। এরপর প্রবেশ
This story is from the 1 June 2024 edition of Saptahik Bartaman.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Sign In
This story is from the 1 June 2024 edition of Saptahik Bartaman.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Sign In
পশ্চিমবঙ্গ ও নতুন বছর
পশ্চিমবঙ্গের ভবিষ্যতের রাজনৈতিক পরিস্থিতি, আইনশৃঙ্খলা, এবং আবহাওয়া নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হচ্ছে, যেখানে বিভিন্ন গ্রহের গোচরের প্রভাব বিশ্লেষণ করা হয়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন ক্ষেত্রে পরিবর্তন এবং চ্যালেঞ্জ আসতে পারে, তবে কিছু ইতিবাচক সম্ভাবনাও রয়েছে।
ভারত ও নতুন বছর
২০২৪-কে বিদায় দিয়ে ২০২৫-কে স্বাগত জানাই এক নতুন আশার আলো নিয়ে। জ্যোতিষশাস্ত্রের আলোকে আসন্ন বছর নিয়ে আলোচনায় থাকুন!
পাহাড়-হ্রদ সঙ্গে রবি ঠাকুরের স্মৃতি
\"উত্তরবঙ্গের পাহাড়, নদী আর জঙ্গলের মনোমুগ্ধকর সৌন্দর্যের মাঝে সিটং আর মংপু যেন প্রকৃতির অবারিত ক্যানভাস। কাঞ্চনজঙ্ঘার শোভা, কমলালেবুর বাগান আর রবীন্দ্র স্মৃতিধন্য স্থান এখানে এক অনন্য অভিজ্ঞতার দান।
‘বগলার বঙ্গদর্শন’ অন্য ঋত্বিকের ভিন্ন গপ্পো
বগলার বঙ্গদর্শন’ ঋত্বিক ঘটকের অপূর্ণ এক নির্মাণ। ইতালীয় গল্পের বাংলা রূপে সমাজ ও মানুষের হাস্যরসাত্মক কাহিনি, যা একসময় পূর্ণতা পেতে পারত।\"
অভিনয় মঞ্চে কাপুরদের সঙ্গে মোদি
মার্লন ব্র্যান্ডো বলেছিলেন, \"মানুষ প্রতিদিন, প্রতি মুহূর্তেই অভিনয় করে।\" এটি সত্যি, কেননা রিসেপশনিস্ট থেকে এয়ারহোস্টেস, রাজনীতিবিদ থেকে দোকানদার—সবাই নিজেদের চরিত্রে অভিনয় করেন। সম্প্রতি, প্রধানমন্ত্রী মোদির রাজ কাপুর পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ এবং চলচ্চিত্রের মধ্যে গেরুয়াকরণের প্রভাব একটি অভিনয়ের মত মনে হয়েছে। সবকিছুই যেন এক নাটক—অভিনয়ের পর্দায় জীবন চলছে!
জাকিরজির পা ছুঁতে পেরেছি, আমি ধন্য
পণ্ডিত স্বপন চৌধুরীর আশি বছরের জন্মদিনে উস্তাদ জাকির হোসেনের তবলা লহরা শোনার অভিজ্ঞতা অবর্ণনীয়। সঙ্গীতে বাঁচার মন্ত্রে গভীরভাবে ডুবে গিয়ে আমি শিখলাম, বাজনা শুধু বাজানোর জন্য নয়, তা আত্মার মধ্যে ঢুকিয়ে নিতে হয়। তাঁর বাদনশৈলী প্রজন্মের পর প্রজন্মের মধ্যে বিরাজ করবে, আমি নিজেও তার প্রভাবিত।
আফশোস করা ছেড়ে দিয়েছি
২০২৪ সালটা শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়ের জন্য বেশ সফল ছিল। তিনি একাধিক ছবি এবং নতুন চরিত্রে অভিনয় করেছেন, বিশেষত 'দেবী চৌধুরানি' তাঁর কেরিয়ারের একটি মাইলফলক হতে চলেছে। এছাড়াও, শ্রাবন্তী আসন্ন ছবিগুলোর মাধ্যমে দর্শকদের নতুন রূপে দেখতে পাবে, যেমন 'ও মন ভ্রমণ' এবং 'বাবু সোনা'।
সাফল্যকে সরিয়ে রেখে এগিয়ে যাওয়ায় বিশ্বাসী
সম্প্রতি জি-ফাইভে মুক্তি পেয়েছে মনোজ বাজপেয়ি অভিনীত 'ডেসপ্যাচ', যেখানে তিনি ক্রাইম রিপোর্টার জয় বাগ চরিত্রে অভিনয় করেছেন। ছবির চিত্রনাট্য ও অভিনয়ের প্রতি তাঁর আস্থার কথা তুলে ধরে তিনি জানান, অন্তরঙ্গ দৃশ্যে অভিনয় করা তার জন্য এক কঠিন অভিজ্ঞতা হলেও, গল্পের প্রয়োজনে তিনি তা করতে প্রস্তুত ছিলেন
যৌথ পরিবারের নস্টালজিয়া
৫ নম্বর স্বপ্নময় লেন’ মানসী সিনহার নতুন ছবি, যেখানে উঠে এসেছে যৌথ পরিবারের ভাঙনের গল্প। এই ছবিতে পরিবার, প্রেম, এবং সম্পর্কের জটিলতা তুলে ধরা হয়েছে। অভিনয়ে আছেন অপরাজিত আঢ্য, খরাজ মুখোপাধ্যায়, অর্জুন চক্রবর্তী, অন্বেষা হাজরা এবং আরও অনেকে।
শ্রদ্ধা
শাস্ত্রে শ্রাদ্ধকার্যের মহিমা বারবার বর্ণিত হয়েছে। ব্রহ্মপুরাণে এক কাহিনিতে বলা হয়েছে, বিষ্ণু বরাহদেব কোকাজলে পিতৃগণের শ্রাদ্ধ করেছিলেন। একদিন কান্তিমতী নামে চন্দ্রদেবীর কন্যা পিতৃগণের সম্মুখে উপস্থিত হন, যা সৃষ্টিকর্তার অভিশাপ এবং শ্রাদ্ধের সূচনা করে।