আ মাদের বাবা একটা মার্চেন্ট অফিসে কাজ করত। চোদ্দো বছর বয়সে বাবার বাবা মারা যায়। বাবারা অনেকগুলো ভাইবোন। এক দাদা আর দিদি ছাড়া সবাই বাবার ছোট। বাবা তখন ম্যাট্রিক দেবে, তা সে সময়েই অঘটনটা ঘটে গেল। টেস্ট পরীক্ষায় অঙ্কে নব্বই নম্বর পাওয়া সত্ত্বেও বাবার ফাইনাল পরীক্ষাটা আর দেওয়া হল না। সেটা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়।
বাবা এ.আর.পি তে কাজ পেল। সাইরেন বাজলেই রাস্তার আলোগুলো কালো কাপড়ে ঢেকে দিতে হতো। সামান্য বেতন। তাতে বড় সংসারে নুন আনতে পান্তা ফুড়োয়। তবু বাবা মুখ ফুটে ঠাকুমাকে বলতে পারেনি, ‘আর কটা দিন কষ্টেসৃষ্টে চালিয়ে নাও, ম্যাট্রিকটা পাস দিতে পারলে চাকরির সুবিধা। ' অথচ ওই সংসারেই জ্যাঠামশাই পেরেছিলেন। সে বছর তাঁর বি.এ পরীক্ষা। তিনি পাশ করে বার্ন কোম্পানির চাকরিতে ঢুকেছিলেন। আমার বাবা বরাবরই অমন মুখচোরা। মা বলত, 'মিনমিনে'।
পরে অবশ্য বাবা প্রাইভেটে পাস করে মার্চেন্ট অফিসে ঢোকে। সৎ, কর্মনিষ্ঠ, বুদ্ধিমান আমার বাবা বড় সাহেবের নজরে পড়ে তরতরিয়ে ওপরে উঠে অফিসারও হয়েছিল। অফিসে আসা-যাওয়ার গাড়ি পেত। কিন্তু তখনও নিজেরটা আদায় করতে শেখেনি। ফলে যা হয়, বড় সাহেবের জায়গায় ছোটসাহেব এলে অধস্তনরা অনেকেই ডিঙিয়ে গেল। বাবা পিছিয়ে পড়ল। শেষের দিকে অফিসের গাড়ি সামান্য অজুহাতে বন্ধ হয়ে গেল। আমরা তখন উঁচু ক্লাসে। কৌতূহলী প্রতিবেশীরা নিরীহ মুখে হুল ফোটাত, ‘তোর বাবার আর গাড়ি আসে না?'
This story is from the 27 April 2024 edition of Saptahik Bartaman.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Sign In
This story is from the 27 April 2024 edition of Saptahik Bartaman.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Sign In
পশ্চিমবঙ্গ ও নতুন বছর
পশ্চিমবঙ্গের ভবিষ্যতের রাজনৈতিক পরিস্থিতি, আইনশৃঙ্খলা, এবং আবহাওয়া নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হচ্ছে, যেখানে বিভিন্ন গ্রহের গোচরের প্রভাব বিশ্লেষণ করা হয়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন ক্ষেত্রে পরিবর্তন এবং চ্যালেঞ্জ আসতে পারে, তবে কিছু ইতিবাচক সম্ভাবনাও রয়েছে।
ভারত ও নতুন বছর
২০২৪-কে বিদায় দিয়ে ২০২৫-কে স্বাগত জানাই এক নতুন আশার আলো নিয়ে। জ্যোতিষশাস্ত্রের আলোকে আসন্ন বছর নিয়ে আলোচনায় থাকুন!
পাহাড়-হ্রদ সঙ্গে রবি ঠাকুরের স্মৃতি
\"উত্তরবঙ্গের পাহাড়, নদী আর জঙ্গলের মনোমুগ্ধকর সৌন্দর্যের মাঝে সিটং আর মংপু যেন প্রকৃতির অবারিত ক্যানভাস। কাঞ্চনজঙ্ঘার শোভা, কমলালেবুর বাগান আর রবীন্দ্র স্মৃতিধন্য স্থান এখানে এক অনন্য অভিজ্ঞতার দান।
‘বগলার বঙ্গদর্শন’ অন্য ঋত্বিকের ভিন্ন গপ্পো
বগলার বঙ্গদর্শন’ ঋত্বিক ঘটকের অপূর্ণ এক নির্মাণ। ইতালীয় গল্পের বাংলা রূপে সমাজ ও মানুষের হাস্যরসাত্মক কাহিনি, যা একসময় পূর্ণতা পেতে পারত।\"
অভিনয় মঞ্চে কাপুরদের সঙ্গে মোদি
মার্লন ব্র্যান্ডো বলেছিলেন, \"মানুষ প্রতিদিন, প্রতি মুহূর্তেই অভিনয় করে।\" এটি সত্যি, কেননা রিসেপশনিস্ট থেকে এয়ারহোস্টেস, রাজনীতিবিদ থেকে দোকানদার—সবাই নিজেদের চরিত্রে অভিনয় করেন। সম্প্রতি, প্রধানমন্ত্রী মোদির রাজ কাপুর পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ এবং চলচ্চিত্রের মধ্যে গেরুয়াকরণের প্রভাব একটি অভিনয়ের মত মনে হয়েছে। সবকিছুই যেন এক নাটক—অভিনয়ের পর্দায় জীবন চলছে!
জাকিরজির পা ছুঁতে পেরেছি, আমি ধন্য
পণ্ডিত স্বপন চৌধুরীর আশি বছরের জন্মদিনে উস্তাদ জাকির হোসেনের তবলা লহরা শোনার অভিজ্ঞতা অবর্ণনীয়। সঙ্গীতে বাঁচার মন্ত্রে গভীরভাবে ডুবে গিয়ে আমি শিখলাম, বাজনা শুধু বাজানোর জন্য নয়, তা আত্মার মধ্যে ঢুকিয়ে নিতে হয়। তাঁর বাদনশৈলী প্রজন্মের পর প্রজন্মের মধ্যে বিরাজ করবে, আমি নিজেও তার প্রভাবিত।
আফশোস করা ছেড়ে দিয়েছি
২০২৪ সালটা শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়ের জন্য বেশ সফল ছিল। তিনি একাধিক ছবি এবং নতুন চরিত্রে অভিনয় করেছেন, বিশেষত 'দেবী চৌধুরানি' তাঁর কেরিয়ারের একটি মাইলফলক হতে চলেছে। এছাড়াও, শ্রাবন্তী আসন্ন ছবিগুলোর মাধ্যমে দর্শকদের নতুন রূপে দেখতে পাবে, যেমন 'ও মন ভ্রমণ' এবং 'বাবু সোনা'।
সাফল্যকে সরিয়ে রেখে এগিয়ে যাওয়ায় বিশ্বাসী
সম্প্রতি জি-ফাইভে মুক্তি পেয়েছে মনোজ বাজপেয়ি অভিনীত 'ডেসপ্যাচ', যেখানে তিনি ক্রাইম রিপোর্টার জয় বাগ চরিত্রে অভিনয় করেছেন। ছবির চিত্রনাট্য ও অভিনয়ের প্রতি তাঁর আস্থার কথা তুলে ধরে তিনি জানান, অন্তরঙ্গ দৃশ্যে অভিনয় করা তার জন্য এক কঠিন অভিজ্ঞতা হলেও, গল্পের প্রয়োজনে তিনি তা করতে প্রস্তুত ছিলেন
যৌথ পরিবারের নস্টালজিয়া
৫ নম্বর স্বপ্নময় লেন’ মানসী সিনহার নতুন ছবি, যেখানে উঠে এসেছে যৌথ পরিবারের ভাঙনের গল্প। এই ছবিতে পরিবার, প্রেম, এবং সম্পর্কের জটিলতা তুলে ধরা হয়েছে। অভিনয়ে আছেন অপরাজিত আঢ্য, খরাজ মুখোপাধ্যায়, অর্জুন চক্রবর্তী, অন্বেষা হাজরা এবং আরও অনেকে।
শ্রদ্ধা
শাস্ত্রে শ্রাদ্ধকার্যের মহিমা বারবার বর্ণিত হয়েছে। ব্রহ্মপুরাণে এক কাহিনিতে বলা হয়েছে, বিষ্ণু বরাহদেব কোকাজলে পিতৃগণের শ্রাদ্ধ করেছিলেন। একদিন কান্তিমতী নামে চন্দ্রদেবীর কন্যা পিতৃগণের সম্মুখে উপস্থিত হন, যা সৃষ্টিকর্তার অভিশাপ এবং শ্রাদ্ধের সূচনা করে।