আ ই.এ. পরীক্ষা দিয়ে পানিতর বেড়াতে গিয়েছিলেন বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়। পানিতর হল বিভূতিভূষণের পিতামহের দেশ। সেখানে এক আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে গৌরীকে প্রথম দেখেছিলেন। গৌরী ছিলেন পানিতরের জমিদার কালীভূষণ মুখার্জির কন্যা। বিভূতিভূষণের ভালো লেগেছিল গৌরীকে। কিন্তু ওই পর্যন্তই, কারণ ক'দিন পরই পানিতর থেকে চলে আসেন বিভূতি— তিনি ইতিমধ্যে আই.এ পরীক্ষায় প্রথম বিভাগে পাশ করেছেন— তাই বি.এ পড়তে হবে।
কিন্তু ইতিমধ্যে কালীভূষণ বিভূতিভূষণের মা মৃণালিনী দেবীর কাছে প্রস্তাব পাঠালেন বিভূতির বিয়ের জন্য। অনেক আগেই, বিভূতির পিতা মহানন্দ মারা গেছেন। মৃণালিনী প্রথমে আপত্তি করলেও পরে অনেক ভেবে, শ্বশুর সম্পন্ন হলে অনেক সুবিধেএই যুক্তিতে রাজি হলেন। তবে বিয়ের প্রস্তুতির জন্য কিছু সময় চাইলেন। অতঃপর ১৯১৭ সালে বিভূতিভূষণের বিয়ে হল।
গৌরীকে পেয়ে সুখী ছিলেন বিভূতি। কিন্তু সে সুখ বেশি দিন টিকল না— দেড় বছর অতিক্রান্ত হতে না হতেই, ১৯১৮ সালে গৌরী চলে গেলেন ইনফ্লুয়েঞ্জায় আক্রান্ত হয়ে। গৌরী সে সময় দুর্গাপুজো উপলক্ষে পিত্রালয়ে ছিলেন। একটা মৃত্যু যেন বিভূতিকে অবসাদের অতল গহ্বরে নিক্ষেপ করল। তাঁর সব স্বপ্ন যেন ক্ষত-বিক্ষত হয়ে গেছে। বন্ধুরা বিভূতিভূষণকে ধরে বেঁধে পড়াশোনায় ফেরাতে চাইছেন। তখন তিনি এম.এ পড়ছেন। কিন্তু বিভূতি স্থির হতে পারছেন না। বিভূতিভূষণ যখন এরকম একটা মানসিক অবস্থার শিকার, তখনই এক সন্ন্যাসীর সঙ্গে দেখা। নানা শাস্ত্রজ্ঞান দিলেন বিভূতিকে। বিভূতিও যেন সে সব বিশ্বাস করতে চাইছেন। তাঁর কাছ থেকেই বিভূতিভূষণ জানতে পারলেন প্ল্যানচেটে আত্মা আনার কথা।
বিভূতি কিছুদিনের মধ্যেই ডুবে গেলেন তাতে। কিন্তু কয়েকদিন পরই সেই সন্ন্যাসীকে আর খুঁজে পাওয়া গেল না। বিভূতিভূষণের অধ্যাত্মবাদের এখানেই শুরু। এরপর অনেক খুঁজে তিনি গেলেন থিওসফিক্যাল সোসাইটিতে। সদস্যও হয়ে গেলেন। সেখানেই তিনি জানতে পারলেন রবীন্দ্রনাথও প্ল্যানচেটে কারও কারও আত্মা এনেছেন। বিদ্যাসাগরের মৃত্যু নাকি প্রত্যক্ষ করেছেন বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী ঢাকায় থেকে।
This story is from the 15 June 2024 edition of Saptahik Bartaman.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Sign In
This story is from the 15 June 2024 edition of Saptahik Bartaman.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Sign In
দেবীমহিমা
হিমালয় বাহন রূপে সিংহকে দান করলে দেবীরূপ সম্পূর্ণ হল। দেবীর বারংবার অট্টহাস্যে চারদিক প্রকম্পিত হতে লাগল।
প্রতিক্ষণে অশনি সঙ্কেত
‘র’: প্রতিক্ষণে অশনি সঙ্কেত ৷ মৃণালকান্তি দাস ৷৷ নৈত প্ৰকাশন ৷৷ ৫৫০ টাকা। • নিজস্ব প্রতিনিধি
স্বপ্নের দেশ সিমলা মানালি
এখানকার আবহাওয়া প্রচণ্ড খামখেয়ালি স্বভাবের। কোনও নোটিস ছাড়াই আবহাওয়া খারাপ হতে পারে।
মনখারাপের ছুটি
শুধু চাল-ডাল-তেল-নুন আর শেয়ার বাজারের হিসেব দিয়ে পৃথিবী চলে না। তার আরও বেশি কিছু লাগে।
শ্রীলঙ্কায় পালাবদল
সময়ই বলে দেবে অনুরা কুমারা দিশানায়েক আসলে কতটা বিপ্লবী।
দাবা ওলিম্পিয়াডে ইতিহাস গুকেশদের
জয়ীদের বরণ করে নিতে বহু মানুষ উপস্থিত হয়েছিলেন বিমানবন্দরে। তরুণ দাবাড়ুদের ফুলের মালা পরিয়ে আবেগে ভাসেন অনুরাগীরা।
হ্যামলিনের বাঁশিওয়ালা
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অবশ্য আগেই ঘটেছিল প্রত্যাবর্তন। কুড়ি ওভারের ফরম্যাটে। বিশ্বজয়ের স্বাদও মিলেছে। কিন্তু টেস্ট ক্রিকেটই সর্বোত্তম পরীক্ষার আসর। সেখানে কামব্যাক ম্যাচে সেঞ্চুরি সত্যিই অবিশ্বাস্য।
বাংলা রাগপ্রধান গানের আসর
সঞ্চালনায় মহুয়া দাস ও সুখময় মণ্ডল। পরিকল্পনা ও পরিচালনায় ডঃ রাজীব করচৌধুরী
পঞ্চকবির গান
যন্ত্রসঙ্গীতে ছিলেন প্রেমাংশু সেন (এসরাজ), পলাশ রায় (তালবাদ্য), রানা দত্ত (কিবোর্ড)। অনুষ্ঠানের সংকলন, বিন্যাস ও পরিকল্পনায় ডাঃ অংশু সেন।
নান্দীমুখের লন্ঠন সাহেব
নাটকটির নির্দেশনা, সম্পাদনা ও পরিকল্পনায় অসিত বসু। আলো বাদল দাস।