‘আনেওয়ালা পল জানেওয়ালা হ্যায় হো সকে তো ইস মে জিন্দেগি বিতা দো পল জো ইয়ে জানেওয়ালা হ্যায়...” দূর থেকে ভেসে আসছে সুর। গানের কথাগুলো রজতের মাথার ভিতর ঘুরপাক খায়। মাথার মধ্যে গুমোট হয়ে আসে। কুয়াশার জাল কাটিয়ে এগনো মুশকিল। আসলে কয়েক মাস ধরে মনের ভেতরে একটা বিষয় রজতকে কুরে কুরে খাচ্ছে। কিছু একটা বিহিত করা দরকার। কিন্তু কী উপায়ে কিছুই মাথায় আসছে না। একটা কঠিন পদক্ষেপ কি নিয়েই ফেলবেন? পরক্ষণেই যা ভাবনা আসে তাতে যদি ফল আরও খারাপ হয়! না না, থাক দরকার নেই। সময়ের উপর ছেড়ে দেওয়া দরকার কিছু কিছু বিষয়।
রোজকার মতো হেমন্তের নরম বিকেলে তিনতলার ছাদে আরাম কেদারায় শরীর এলিয়ে দিয়েছেন রজত। মায়ের আঁচল বোলানো আদুরে বাতাস চোখে মুখে লাগছে। চোখটা হালকা বুজে আসে। সুইপ করে শব্দ হতেই চোখ খোলেন রজত। একটা লাল রঙের ঘুড়ি ছাদে এসে পড়েছে। কোথা থেকে কেটে এসে পড়ল ঘুড়িটি? আনন্দপুরে ঘুড়ির উৎসব মকর সংক্রান্তির দিন। সে আসতে ঢের দেরি। হতে পারে কোনও বাচ্চা ছেলে মজা করে উড়িয়ে ছেড়ে দিয়েছে কিংবা অনেক দূর থেকে কেটে গিয়ে হাওয়ায় ভাসতে ভাসতে চলে এসেছে। হতেই পারে। আগ্রহবশত রজত আরামকেদারা ছেড়ে উঠে গিয়ে ঘুড়িটির কাছে যান। ঘুড়ি হল রজতের প্রথম প্রেম। একটা সময় ঘুড়ি, লাটাই হাতে এই পাড়ায় টইটই করে বেরিয়েছেন। এমন কোনও বাড়ির ছাদ ছিল না যেখানে উঠে কিশোর রজত ঘুড়ি ছাড়েনি। চাঁদিয়াল, পেটকাটি, বলমার, ময়ূরপঙ্খী, চাপরাস, ইউমার্কা, লাঠিমার— হরেকরকম ডিজাইনের ঘুড়ির কালেকশন ছিল রজতের কাছে। তবে রজতের সবথেকে প্রিয় কালো লেজের লাল ঘুড়ি।
ছাদের মেঝে থেকে ঘুড়িটাকে হাতে তুলে নেন রজত। অস্ট্রেলিয়ান পেপার। টকটকে লাল সঙ্গে কালো লেজ। ঠোঁটের কোণায় হালকা হাসি খেলে যায়। ঘুড়িটাকে উল্টোপিঠ করতেই
একটা লেখা চোখে পড়ে। কালো মার্কার দিয়ে লেখা ডাবু। হালকা হাসি চওড়া হাসিতে খেলে যায় নিমেষেই। ডাবু যে রজতের ডাকনাম। নামটা বহুদিন পর তিনি আবার দেখলেন। কারণ আনন্দপুরের বর্তমান বিডিও সাহেবকে ডাবু নামে ডাকার সাহস কারও নেই।
This story is from the 22 June 2024 edition of Saptahik Bartaman.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Sign In
This story is from the 22 June 2024 edition of Saptahik Bartaman.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Sign In
দেবীমহিমা
হিমালয় বাহন রূপে সিংহকে দান করলে দেবীরূপ সম্পূর্ণ হল। দেবীর বারংবার অট্টহাস্যে চারদিক প্রকম্পিত হতে লাগল।
প্রতিক্ষণে অশনি সঙ্কেত
‘র’: প্রতিক্ষণে অশনি সঙ্কেত ৷ মৃণালকান্তি দাস ৷৷ নৈত প্ৰকাশন ৷৷ ৫৫০ টাকা। • নিজস্ব প্রতিনিধি
স্বপ্নের দেশ সিমলা মানালি
এখানকার আবহাওয়া প্রচণ্ড খামখেয়ালি স্বভাবের। কোনও নোটিস ছাড়াই আবহাওয়া খারাপ হতে পারে।
মনখারাপের ছুটি
শুধু চাল-ডাল-তেল-নুন আর শেয়ার বাজারের হিসেব দিয়ে পৃথিবী চলে না। তার আরও বেশি কিছু লাগে।
শ্রীলঙ্কায় পালাবদল
সময়ই বলে দেবে অনুরা কুমারা দিশানায়েক আসলে কতটা বিপ্লবী।
দাবা ওলিম্পিয়াডে ইতিহাস গুকেশদের
জয়ীদের বরণ করে নিতে বহু মানুষ উপস্থিত হয়েছিলেন বিমানবন্দরে। তরুণ দাবাড়ুদের ফুলের মালা পরিয়ে আবেগে ভাসেন অনুরাগীরা।
হ্যামলিনের বাঁশিওয়ালা
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অবশ্য আগেই ঘটেছিল প্রত্যাবর্তন। কুড়ি ওভারের ফরম্যাটে। বিশ্বজয়ের স্বাদও মিলেছে। কিন্তু টেস্ট ক্রিকেটই সর্বোত্তম পরীক্ষার আসর। সেখানে কামব্যাক ম্যাচে সেঞ্চুরি সত্যিই অবিশ্বাস্য।
বাংলা রাগপ্রধান গানের আসর
সঞ্চালনায় মহুয়া দাস ও সুখময় মণ্ডল। পরিকল্পনা ও পরিচালনায় ডঃ রাজীব করচৌধুরী
পঞ্চকবির গান
যন্ত্রসঙ্গীতে ছিলেন প্রেমাংশু সেন (এসরাজ), পলাশ রায় (তালবাদ্য), রানা দত্ত (কিবোর্ড)। অনুষ্ঠানের সংকলন, বিন্যাস ও পরিকল্পনায় ডাঃ অংশু সেন।
নান্দীমুখের লন্ঠন সাহেব
নাটকটির নির্দেশনা, সম্পাদনা ও পরিকল্পনায় অসিত বসু। আলো বাদল দাস।