যে কোনও রাজবংশই হয়ে থাকে ঘটনাবহুল। বিষ্ণুপুরের যে মল্লরাজ বংশ হাজার বছরের প্রাচীন। মল্লরাজা গড়ে তুলেছিলেন এক স্বপ্নের রাজ্যপাট। একদিকে দামোদর নদ, অন্যদিকে গভীর অরণ্য, রাজাদের সুযোগ্য শাসন, সৌন্দর্যবোধ, স্বপ্ন সব একত্রিত হয়েছিল বিষ্ণুপুরের গৌরব গাথায়। রয়েছে লোককাহিনি, জনশ্রুতি এবং কিংবদন্তি মহারাজা দুর্জন সিংহ দেবের পুত্র মহারাজ দ্বিতীয় রঘুনাথ সিংহ দেব। ১৭০২ খ্রিস্টাব্দে তিনি বিষ্ণুপুরের সিংহাসনে আরোহন করেন। তখন দিল্লির সিংহাসনে মোগল সম্রাট আওরঙ্গজেব অধিষ্ঠিত। সম্রাট আওরঙ্গজেব ও রঘুনাথ সিংহ দেব ছিলেন সম্পূর্ণ বিপরীত ভাবাপন্ন ব্যক্তি। আওরঙ্গজেব স্বধর্মকে স্থান দিয়েছিলেন সবার ওপরে। তিনি ধর্মের অনুশাসন মেনে তাঁর রাজ্যে গীতবাদ্যকে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করেছিলেন। অন্যদিকে দ্বিতীয় রঘুনাথ সিংহ দেব সেই নিষিদ্ধ সঙ্গীতকে তার রাজ্যে সুপ্রতিষ্ঠিত করার ব্রত নিয়েছিলেন। সেই সময় নানা রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কারণে মোগল শক্তি অস্তাচলগামী।
কেন্দ্রীয় দুর্বলতার সুযোগে ভারতের নানা রাজ্য মোগল শক্তির বিরুদ্ধাচরণ করতে শুরু করেছিল। তখন বাংলার রাজধানী ছিল ঢাকা। নবাব ছিলেন ইব্রাহিম খাঁ। তিনি ছিলেন খুবই ভীরু প্রকৃতির। যুদ্ধবিগ্রহকে এড়িয়ে চলাই ছিল তাঁর নীতি। ইব্রাহিম খাঁর দুর্বলতার সুযোগে চেত্বরদার (মেদিনীপুর) রাজা শোভা সিংহ ও ওড়িশার পাঠান সর্দার রহিম খাঁ, তাঁদের মিলিত শক্তি দিয়ে এমন স্বেচ্ছাচার শুরু করেন, যার জন্য সারা বাংলা সন্ত্রস্ত হয়ে ওঠে। তারমধ্যে সবচেয়ে বেশি উৎপীড়িত হয় বর্ধমান রাজবংশ। বর্ধমানের রাজাদের অতুল ধন ঐশ্বর্যে প্রলুব্ধ হয়ে শোভা সিংহ ও রহিম খাঁ যৌথভাবে মেদিনীপুর থেকে বর্ধমানের পথে যাত্রা করেন। বিষ্ণুপুর দুর্গের পাশ কাটিয়ে সেখানে বর্ধমান অবরোধ করেন। তৎকালীন বর্ধমান রাজ, রাজা রাজকৃষ্ণকে হত্যা করেন এবং রাজ পরিবারের উপর অকথ্য অত্যাচার করেন। বর্ধমানের রাজকুমারী সত্যবতীর ছুরির আঘাতে নিহত হন শোভা সিংহ। কিন্তু সেই সমস্ত অত্যাচার এবং বিপর্যয়ের মধ্যেও বর্ধমান রাজকুমার জগত্রাম নারীর ছদ্মবেশে পলায়ন করেন।
هذه القصة مأخوذة من طبعة 14 September 2024 من Saptahik Bartaman.
ابدأ النسخة التجريبية المجانية من Magzter GOLD لمدة 7 أيام للوصول إلى آلاف القصص المتميزة المنسقة وأكثر من 9,000 مجلة وصحيفة.
بالفعل مشترك ? تسجيل الدخول
هذه القصة مأخوذة من طبعة 14 September 2024 من Saptahik Bartaman.
ابدأ النسخة التجريبية المجانية من Magzter GOLD لمدة 7 أيام للوصول إلى آلاف القصص المتميزة المنسقة وأكثر من 9,000 مجلة وصحيفة.
بالفعل مشترك? تسجيل الدخول
শিশু সাহিত্য ও সুকুমার রায়
প্রয়াণ শতবর্ষে সুকুমার রায় | সম্পাদনা: জয়দেব মাইতি ৷ কবিতিকা (খেজুরি, পূর্ব মেদিনীপুর-৭২১৪৩২) ৷৷ ৩০০ টাকা। • অনির্বাণ রক্ষিত
অসম্ভবের জগতে হেমেন্দ্রকুমার
অ্যাডভেঞ্চার সংগ্রহ ৷৷ হেমেন্দ্রকুমার রায় ৷ দে'জ পাবলিশিং ৷৷ ৮০০ টাকা। নিজস্ব প্রতিনিধি
বিভিন্ন রোগে আয়ুর্বেদ চিকিৎসা
আয়ুর্বেদশাস্ত্রে বলা হয়েছে, “শরীরং ব্যাধি মন্দিরম”। শরীর আমাদের রোগের আশ্রয়স্থল, তাই রোগ প্রতিরোধে আয়ুর্বেদের গুরুত্ব অপরিসীম। শীতকাল দরজায় কড়া নাড়ছে, আর এই সময় শুষ্ক ত্বক, খুশকি, ঠান্ডাজনিত সমস্যা, এমনকি মানসিক অবসাদও বাড়তে পারে। ঋতু পরিবর্তনের সময় খাওয়া-দাওয়া, জীবনযাত্রা, এবং আয়ুর্বেদিক পন্থার সঠিক প্রয়োগ শরীরকে সুস্থ রাখতে সহায়ক। ত্বকের যত্নে সর্ষের তেল মালিশ, ঠান্ডার প্রতিরোধে আদা-গোলমরিচের চা, এবং হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য ভিটামিন ডি ও ক্যালশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া উপকারী। আয়ুর্বেদের সহজ পন্থায় সুস্থ জীবন যাপন করুন এবং শীতে নিজেকে সুরক্ষিত রাখুন!
প্রাচীন মিশরের নারীদের কথা
প্রাচীন মিশরে নারী ও পুরুষের মধ্যে সমান অধিকার ও স্বাধীনতা ছিল। নারীরা আইনের চোখে দক্ষ ও সক্ষম হিসেবে বিবেচিত হতেন এবং সম্পত্তি কেনাবেচা, ব্যবসা পরিচালনা, এবং আইনি চুক্তিতে অংশগ্রহণের অধিকার ভোগ করতেন। ফারাওদের মধ্যে অনেক নারীর শাসনকাল ইতিহাসে উজ্জ্বল উদাহরণ। মিশরীয় নারীরা চিকিৎসক, পুরোহিত, বয়নশিল্পী থেকে শুরু করে উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মচারী হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করতেন। এই অধিকার ও মর্যাদা মিশরীয় সমাজে মায়ের ভূমিকাকে আরও গুরুত্বপূর্ণ করে তুলেছিল। বিশ্ব সভ্যতার ইতিহাসে নারীর এমন শক্তিশালী অবস্থান বিরল।
পাথর কাব্যের দেশ খাজুরাহ
খাজুরাহ মন্দির, মধ্য ভারতের স্থাপত্যকলার এক অতুলনীয় নিদর্শন। চান্দেল রাজাদের শিল্প-সমৃদ্ধ ঐতিহ্যের প্রতীক এই মন্দিরগুলো ৯৫০ থেকে ১০৫০ খ্রিস্টাব্দে নির্মিত। বিশ্ববিখ্যাত এই মন্দিরগুলোর দেওয়ালে দেবদেবীর মূর্তি, অপ্সরা এবং মানবজীবনের নানা দিক সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছে। খাজুরাহর মন্দিরগুলো পশ্চিম, পূর্ব ও দক্ষিণ— এই তিনটি ভাগে বিভক্ত। কামশিল্প ও তন্ত্রচর্চার নিদর্শন হিসেবে পশ্চিম প্রান্তের মন্দিরগুলো বিশেষ পরিচিত। ১৯৮৬ সালে ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের স্বীকৃতি লাভ করা এই মন্দির আজও পর্যটকদের মুগ্ধ করে।
কিয়োটা থেকে বাকু কেউ কথা রাখেনি!
বিশ্ব তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমাবদ্ধ রাখার চূড়ান্ত কাউন্টডাউন চলছে। কিন্তু আজারবাইজানের বাকুতে অনুষ্ঠিত কপ ২৯ সম্মেলনে, জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরশীলতার মতো বৈপরীত্য জলবায়ু সংকটের সমাধান নিয়ে বড় প্রশ্ন তুলেছে। তেল ও গ্যাসের উৎপাদনে জোর দেওয়া এবং বিশ্বনেতাদের অনুপস্থিতি পরিস্থিতিকে আরও জটিল করেছে। পরিবেশকর্মীদের দাবি, ভবিষ্যত বাঁচাতে বছরে ৫ ট্রিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ ছাড়া বিকল্প নেই। তবে, পরিবর্তনের পথে এখনও সংশয় এবং হতাশা কাটেনি। পৃথিবীর জন্য কি সত্যিই সময় ফুরিয়ে আসছে?
ফেরা
মঞ্জুলার ফিরে যেতে যেতে অমলেন্দুর জীবন যায়। শহরের বাসতা ছেড়ে অমলেন্দু মঞ্জুলার সঙ্গে থাকার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। পাঞ্চা, মঞ্জুলার স্বামী, এবং গ্রামবাসীরা খুঁজে বের করার জন্য এই অপ্রত্যাশিত বন্ধুর কথা বলে। প্রাকৃতিক পরিবেশ এবং সরল জীবনযাত্রা অমলেন্দু নতুন করে বাঁচার মধ্যে খুঁজে পান। এই গল্পটি মানুষে মানুষে সম্পর্ক, দায়বদ্ধতা এবং নতুন শুরু শক্তি এক মর্মস্পর্শী উদাহরণ।
বিখ্যাত দুই অসম বিবাহ
১৮৮৩ সালে কাদম্বিনী বসু ও দ্বারকানাথ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিবাহ একটি ঐতিহাসিক ঘটনা ছিল। এটি কেবল একটি প্রেমের গল্প নয়, বরং নারী শিক্ষা ও স্বাধীনতার আন্দোলনের অংশও ছিল। কাদম্বিনী, প্রথম মহিলা গ্র্যাজুয়েট এবং চিকিৎসক, তাঁর স্বামীর সংগ্রামের মাধ্যমে সামাজিক পরিবর্তনের পথ প্রশস্ত করেন।
বাংলার ছেলে ভুলানো ছড়া
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রেরণায় ছড়া সাহিত্য বাংলায় একটি অমূল্য ধন। 'খোকা ঘুমাল' ছড়াটি ১৭৪০ সালের বর্গি আক্রমণকালের এক ঐতিহাসিক প্রতিচ্ছবি, যা সারা বাংলাদেশে একাধিক রূপে প্রচলিত। এই ছড়াটি সংস্কৃতির এক অপরিহার্য অংশ হিসেবে নানা প্রজন্মে বাচ্চাদের মুখে মুখে বহমান।
আইপিএল নিলামে ইতিহাস ঋষভের
২০২২ সালের ৩০ ডিসেম্বর এক ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনার পর ঋষভ পন্থের জীবনে শুরু হয় নতুন লড়াই। জীবন-মৃত্যুর দ্বন্দ্ব পেরিয়ে ১২ মাসের মধ্যেই তিনি ক্রিকেটে ফিরে আসেন। এবার ২০২৫ আইপিএলের নিলামে ২৭ কোটি টাকায় লখনউ সুপার জায়ান্টসে যোগ দিয়ে নতুন ইতিহাস গড়লেন তিনি।