ঘড়িতে সন্ধে সাড়ে ৬টা। কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস থেকে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে নেমে ভাড়ার গাড়িতে সওয়ারি হলাম। প্রায় দশ কিমি দূরে ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্যুরিজমের হোটেলে এসে পৌঁছলাম রাত্রিবাসের জন্য। উদ্দেশ্য ডুয়ার্সে কয়েকটি দিন কাটানো। পরদিন সকাল আটটার মধ্যে কমপ্লিমেন্টারি ব্রেকফাস্ট সেরে লাগেজ নিয়ে রেডি। আমাদের গাড়ির চালক বিকাশ হইহই করে এসে পড়লেন মাদারিহাট থেকে। এই বিকাশের সঙ্গে পরিচয় ভুটান ভ্রমণের সময়। ঠিক চার বছর পর আবার বিকাশের গাড়িতে সওয়ারি হয়েছি। পাহাড়ের কোল ঘেঁষা ঘন সবুজ জঙ্গলের তীব্র হাতছানি উপেক্ষা করার কোনও মানে হয়! একে একে পেরিয়ে যাচ্ছি ওদলাবাড়ি... মালবাজার... চালসা।
ঝালং হাইওয়ের একপাশে ঘন সবুজ চা-বাগান। ওপাশে আলিপুরদুয়ার থেকে আগত রেললাইন। শুকনা... চাপরামারির অরণ্যের হাতছানি এককথায় অসাধারণ। ঝকঝকে মেটলি চা-বাগানের পরেই পেলাম একেবারে অবহেলিত সামসিং চাবাগান। শুনলাম, প্রায় একমাস ধরে বোনাসের দাবিতে বাগান বন্ধ হয়ে পড়ে আছে।
চাপরামারি জঙ্গল পেরিয়ে যেতেই পাহাড় যেন ঝাঁপিয়ে এল কাছে। নেওরা ভ্যালির পাদদেশ দিয়ে রাস্তাটি ঠিক ময়াল সাপের মতো এঁকেবেঁকে উঠেছে ওপরে।
প্রথমদিন যাব ঝালং। প্রায় ২৭৬ কিমি দূরত্ব। রাস্তা ভালো থাকলে ৩ ঘণ্টায় পৌঁছে যাওয়ার কথা। দেখা যাক, কী আছে কপালে! তবে, সাধক লালন সাঁইয়ের গানের কথানুযায়ী কপালের নাম যে গোপাল, তা তো জানা ছিল, কিন্তু তা হাড়ে হাড়ে টের পেলাম মেটলি চা-বাগান পেরতেই। আরেবাবা, এ রাস্তা কোথায়? জঙ্গুলে প্রাকৃতিক পথটিকে ভেঙেচুরে একাকার করে এক বিশাল চওড়া রাস্তা তৈরি হচ্ছে। যা কি না অদূর ভবিষ্যতে ডুয়ার্সের সঙ্গে সিকিমকে জুড়ে দেবে সহজেই। সে ভালোমন্দ যাইহোক, এখন তো আর পিছবার পথ নেই, এদিকে ওদিকে বড় বড় কাটা গাছ পড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে। মেটলি চাবাগানের ভিতর এত যে ফোটো সেশন করলাম, সে আনন্দ কাটা গাছের হতশ্রী অবস্থা দেখে একেবারেই মিলিয়ে গেল। যাইহোক, গাড়ি চলতে লাগল শম্বুক গতিতে।
This story is from the 28 September 2024 edition of Saptahik Bartaman.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Sign In
This story is from the 28 September 2024 edition of Saptahik Bartaman.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Sign In
সুধাস্মৃতি আর্ট-এর ইয়াদ
মঞ্চ আলোকিত করেন দিল্লির কথক নৃত্যশিল্পী তথা পণ্ডিত বিরজু মহারাজের কন্যা মমতা মহারাজ এবং নাতনি রাগিণী ও যশস্বিনী মহারাজ।
বাংলার মন
চিত্রলেখা চৌধুরী গান 'তবু মনে রেখ' ও কেশবরঞ্জনের 'লজ্জা' কবিতাটি আনন্দ দেয়। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন নন্দিনী লাহা।
যুগলবন্দি
অনুষ্ঠান শেষ হয় দ্বৈত কণ্ঠে ‘আমায় প্রশ্ন করে নীল ধ্রুবতারা' গানে। সংবর্ধনা দেওয়া হয় অমিত বন্দ্যোপাধ্যায়, জয় সরকার, গীতিকার সঞ্জয় বণিককে
বিড়ম্বনায় দেবেন্দ্রনাথ
তথ্যঋণ: ১) আত্মজীবনী: দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর (সতীশচন্দ্র চক্রবর্তী সম্পাদিত) ২) দ্বারকানাথ ঠাকুর বিস্মৃত পথিকৃত: কৃষ্ণ কৃপালনী (অনুবাদ: ক্ষিতীশ রায়) ৩) মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর: অজিতকুমার চক্রবর্তী।
সুন্দরী ডুয়ার্স
গিয়ে চলি আট কিমি দূরে হলং গেটের দিকে। সেখান থেকে গন্তব্য নিউ আলিপুরদুয়ার জংশন। কাঞ্চনকন্যা এক্সপ্রেস ধরব। বিদায় ডুয়ার্স!
জম্মু-কাশ্মীরের নয়া সমীকরণ
প্রশ্ন উঠেছে, যারা এতকাল উপত্যকায় রক্তপাত ঘটিয়েছে, তাদের কী করে মোদি সরকার মদত দেয়?
রাতে সূর্যের আলো বিক্রি!
তাই কীভাবে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হবে সেই দিকেই তাকিয়ে রয়েছে বিজ্ঞানী মহল।
পারলৌকিক শুভপরিনর পরিনয় প্রথা
তিনি তাঁর ভৌতিক দাম্পত্য জীবনকে নরকতুল্য মনে করছেন। তাঁর ভূত-বরটি বেজায় মেজাজি, কেবল খাটায়।
সার্জারি করাবেন নাকি হোমিওপ্যাথি?
লেখক: সহকারী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান সার্জারি বিভাগ, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হোমিওপ্যাথি
আইএসএলে মহমেডান স্পোর্টিংয়ের স্বপ্নের উত্তরণ
এই ক্লাবই তাঁর বার্ধক্যের মক্কা, মদিনা। ওই ম্যাচে শেষ মুহূর্তের গোলে হারতে হলেও প্রিয় দলের লড়াই দিল জিতে নেয় তাদের।