কোনিয়াক উপজাতির বসন্ত উৎসবে

এশুধু মাটি নয়। এ আমার দেশ। রৌদ্রকরোজ্জ্বল আকাশ আর ধূসর মাটির উপর দাঁড়িয়ে আমরা। আমার সামনে দাঁড়িয়ে যে ব্যক্তি, তিনি আর আমি একই দেশের বাসিন্দা। অথচ সংস্কৃতি-কৃষ্টিতে কত যোজন দূরত্ব। দাঁড়িয়ে রয়েছি আমি লংওয়া গ্রাম। নাগাল্যান্ডে।
এসেছি নাগাল্যান্ডের কোনিয়াক উপজাতিদের বসন্ত উৎসব দেখতে। ভারতে প্রাচীন নরমুণ্ড শিকারিদের আস্ত একটা গ্রাম আছে এটাই বিরাট বিস্ময় আমাদের কাছে। তার উপর তাদের উৎসব! নাগাল্যান্ডে হর্নবিল উৎসব খুবই জনপ্রিয়। কিন্তু আওলিং উৎসবটি মূলত কোনিয়াক উপজাতিদের উৎসব। নাগাল্যান্ডে সতেরোটি মূল উপজাতি সম্প্রদায়ের মধ্যে একটি হল কোনিয়াক। এরা একসময় শত্রুর মাথা কেটে নিত! যুদ্ধ জয়ের পর প্রতিপক্ষর কাটা মুণ্ড ট্রফি হিসেবে ঘরে সাজিয়ে রাখা হতো। নানা জীবজন্তুর খুলিও তাদের গৃহসজ্জার উপকরণ। শত্রুর করোটি গলায় ঝুলিয়ে রাখা এদের কাছে বীরত্বের প্রতীক। এ হেন বীরদের গ্রামে যাব ভেবেই হৃদস্পন্দন বেড়ে গেল। যদিও ১৯৬০ সালে সরকারিভাবে নরহত্যা নিষিদ্ধ হয়েছে।
মিশনারিদের শিক্ষার আলোয় আলোকিত হয়ে উঠেছে এই গ্রামের বাসিন্দারা। ১৯৬৩ সালে নাগাল্যান্ড রাজ্য গঠিত হয়। শুরু হল পথ চলা ডিব্ৰুগড় স্টেশনে ট্রেন থেকে যখন নামলাম তখন সকাল ছ'টা। প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়েছে। আমাদের জন্য নির্ধারিত গাড়িতে উঠলাম। গাড়ি এগিয়ে চলল সোনারি হয়ে নাগাল্যান্ডের জেলা শহর মনের উদ্দেশে। পথেই ডিম সেদ্ধ, পাউরুটি, কলা, কেক সহযোগে প্রাতরাশ সেরে নেওয়া হল। রাস্তা ফাঁকা। চা-বাগান আর বৃক্ষরাজির মধ্যে দিয়ে এগিয়ে চলেছে পথ। মন শহর পৌঁছতে বেলা দশটা বেজে গেল। আরও ৪৪ কিলোমিটার দূরে লংওয়া গ্রাম। বেলা এগারোটার পর পৌঁছলাম উৎসব প্রাঙ্গণে।
Bu hikaye Saptahik Bartaman dergisinin 22 February 2025 sayısından alınmıştır.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Giriş Yap
Bu hikaye Saptahik Bartaman dergisinin 22 February 2025 sayısından alınmıştır.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Giriş Yap

জীবন ঘিরে যত জিজ্ঞাসা
মানুষের জীবন নানা রঙের গল্পে ভরা, যেখানে প্রতিটি সম্পর্ক, চাওয়া-পাওয়া ও অনুভূতির বহিঃপ্রকাশ ঘটে। আইভি চট্টোপাধ্যায়ের ‘বারো ২ আরো’ গল্প সংকলন জীবনের সেই সূক্ষ্ম বাস্তবতাকে গভীর সংবেদনশীলতায় তুলে ধরে।

প্রেতসাধনা কী? এই সাধনায় গৃহস্থের কী মঙ্গল হয় ?
প্রেতসাধকেরা বলেন, প্রেতাত্মারাই হল ভূত। এদের ভেতরও ভালো-মন্দ— দু'টি শ্রেণি আছে। ভালো প্রেত মানুষকে বিপর্যয় থেকে বাঁচিয়ে মঙ্গল করে। আর দুষ্ট প্রেতাত্মারা অনিষ্টের কারণ। শ্মশান কিংবা শিবস্থল ছাড়া প্রেতসাধনা হয় না। ক্ষুধার্ত প্রেত আমাদের চারপাশে ঘুরে বেড়ায়। সাধকের প্রাণ থেকে মন একটু আলগা হলেই তারা সব মনকে প্রাণের সঙ্গে ছাড়াছাড়ি করার খেলায় মাতে। প্রাণ হল মানুষের নাভিচক্রে থাকা তেজ। এই তেজকেই বলবান করেন প্রেতসাধুরা। প্রেতবাহনা ও মোহিনীপ্রেতের উপাসনা কী? প্রেতপীঠ কোথায়? গৃহস্থের সাংসারিক মঙ্গলের জন্য প্রেতসাধকরা কী উপায় বলে গিয়েছেন? লিখেছেন সোমব্রত সরকার।

ইউরোপের সৌন্দর্য
ইউরোপের সৌন্দর্য, ইতিহাস ও সংস্কৃতি নিয়ে রীতা ঘোষের বই ‘অপরূপ ইউরোপ’, যেখানে ফ্রান্স, সুইজারল্যান্ড, ইংল্যান্ড, তুরস্কসহ নানা দেশের মনোমুগ্ধকর ভ্রমণকথা উঠে এসেছে।

ফিরে দেখা
হাওড়া স্টেশনে ট্রেনের হুইসেল, স্মৃতির পাতায় পুরোনো গল্পের ঝলক! কিছু মুহূর্ত শুধু মনে থাকে, হারায় না! 🚂✨ #স্মৃতিরপাতা #ভ্রমণ

পুরাণ ও ইতিহাসে সিদ্ধিদাতা
গণেশ ঠাকুর সর্বজ্ঞ ও সিদ্ধিদাতা, যাঁর কাহিনি সীমাহীন। ভারতসহ বহু দেশে ভিন্ন রূপে তিনি পূজিত হন, সমৃদ্ধ পুরাণ ও ইতিহাসের সঙ্গে।

পদ্মকুমার
পদ্মকুমার, যিনি অগ্রমহিষীর গর্ভে জন্মগ্রহণ করেছিলেন, যুবরাজ হিসেবে রাজ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে, মায়ের বিশ্বাসঘাতকতার ফলে চোরপ্রপাতে নিক্ষিপ্ত হন। কিন্তু নাগরাজের সহায়তায় তিনি বেঁচে ফিরে, তপস্যায় মনোনিবেশ করেন।

যাত্রাপথের যন্ত্রণা পেরিয়ে
তাঁরা ‘হিটলার’ দেখেছেন, ‘কার্ল মার্কস', ‘আমি সুভাষ বলছি’, ‘সূর্যশিখা’, ‘সন্ন্যাসী তরবারি’, ‘স্পার্টাকাস', ‘হেলেন অব ট্রয়'-এর মতো পালা দেখেছেন। সেই দর্শকরা আজ আর নেই। যেন হাহাকার করে ওঠেন অনল।

পঞ্চচুল্লি আর চেরিফুলের দেশে
পাহাড়ের আঁকাবাঁকা পথে অজানা এক সফর, যেখানে প্রতিটি বাঁকেই লুকিয়ে আছে নতুন বিস্ময়!

গদ্যের ভিতরে রবীন্দ্র অন্বেষণ
কালীকৃষ্ণ গুহের ‘গদ্যসংগ্রহ ১’ বাংলা কবিতা, রবীন্দ্রসঙ্গীত ও সাহিত্য বিশ্লেষণের এক অনন্য সংকলন, যেখানে কবিদের সৃষ্টিজগতের গভীর অনুভূতি ও ব্যাখ্যা চিত্রের মতো উঠে এসেছে।

খনা কে? কেন প্রাসঙ্গিক তাঁর বচন?
২৫ জানুয়ারি, ২০২৫-এর 'সাপ্তাহিক বর্তমান'-এ বিদূষী নারী খনার জন্মবৃত্তান্ত এবং তাঁর বচন নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। তাঁর বচনে কৃষক সমাজের গভীর প্রতিফলন দেখা যায় এবং খনার আবির্ভাব প্রায় চতুর্থ থেকে পঞ্চম শতাব্দীর মধ্যে।