ফিরে দেখা

হাওড়া স্টেশনে পৌঁছে গাড়িটা পার্কিং লেনে পার্ক করে বেরতেই দেখি হাওড়া-নয়াদিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেস প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে আছে। বাহ! খুব ভালো। শেষ মুহূর্তে ট্রেন দিলে যা ছোটাছুটি হুড়োহুড়ি হয়। এখনও ট্রেন ছাড়তে মিনিট কুড়ি দেরি আছে। কোনও ব্যস্ততা নেই।
আমার মেয়ে চৈতি দিল্লি যাচ্ছে, ওকেই গাড়িতে তুলে দিতে এসেছি। চৈতি দিল্লিতে জেএনইউতে বায়োটেকনোলজিতে পিএইচডি করছে। সাধারণত ওর বাবাই মেয়েকে পৌঁছতে স্টেশনে আসে, আজ চয়ন খুব ব্যস্ত। কাল ভোরের ফ্লাইটে ওকে পাটনা যেতে হবে। ও এখনও অফিসে, তাই আমার ওপর ভার পড়েছে মেয়েকে স্টেশনে পৌঁছে দেওয়ার। মেয়ে যদিও বলেছিল—বাবা, কাউকেই পৌঁছতে হবে না, আমি যথেষ্ট বড় হয়েছি, একাই যেতে পারব। আপার বার্থ পেয়েছি, খেয়ে দেয়ে একটা গল্পের বই নিয়ে ওপরে উঠব, ব্যস। বইপড়া হয়ে গেলেই ঘুমব। ঘুম থেকে উঠলে কানপুর। আর তারপর ব্রেকফাস্ট শেষ করতে না করতেই দিল্লি। কিন্তু বাবা শোনবার পাত্র নয়, সত্যি মালপত্র কিছুই নেই, একটা ট্রলি ব্যাগ, যেটা ও নিজেই টেনে নিয়ে ট্রেনে তুলল। আর একটা ওর হ্যান্ডব্যাগ। রাজধানীতে যা খাবার দেয় তাতেই ওর পক্ষে যথেষ্ট, তাই খাবার-দাবারও সঙ্গে কিছু নিল না। আমিও ওর সঙ্গে ট্রেনে উঠলাম। এসি টু টিয়ার। চৈতির তো আপার বার্থ, নীচে জানলার পাশে এক বয়স্ক ভদ্রলোক বসে বসে কাগজ পড়ছেন। অন্যদিকে এক জোড়া মধ্যবয়সি স্বামীস্ত্রী সম্ভবত দক্ষিণদেশীয়। যাক বাবা নিশ্চিন্ত। মেয়ে যত বড়ই হোক, আজকাল রাজধানী এক্সপ্রেসেও যা সব ঘটনা ঘটে। সঙ্গে তিনজন অল্পবয়সি ছেলে হলে তো চিন্তাই হতো। যদিও ট্রেনে মদ খাওয়া নিষিদ্ধ কিন্তু সবসময় সব যাত্রীরা সমান হয় না। ক'দিন আগেই আমাদেরই একজন পরিচিত ভদ্রমহিলা রাজধানী এক্সপ্রেসে যাচ্ছিলেন এসি টু টিয়ারেই। তিনজন সহযাত্রী মদ খেয়ে সারা রাত চেঁচামেচি করেছে, ভদ্রমহিলা সারা রাত ভয়ে সিঁটিয়ে বসেছিলেন।
Bu hikaye Saptahik Bartaman dergisinin March 22, 2025 sayısından alınmıştır.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Giriş Yap
Bu hikaye Saptahik Bartaman dergisinin March 22, 2025 sayısından alınmıştır.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Giriş Yap

জীবন ঘিরে যত জিজ্ঞাসা
মানুষের জীবন নানা রঙের গল্পে ভরা, যেখানে প্রতিটি সম্পর্ক, চাওয়া-পাওয়া ও অনুভূতির বহিঃপ্রকাশ ঘটে। আইভি চট্টোপাধ্যায়ের ‘বারো ২ আরো’ গল্প সংকলন জীবনের সেই সূক্ষ্ম বাস্তবতাকে গভীর সংবেদনশীলতায় তুলে ধরে।

প্রেতসাধনা কী? এই সাধনায় গৃহস্থের কী মঙ্গল হয় ?
প্রেতসাধকেরা বলেন, প্রেতাত্মারাই হল ভূত। এদের ভেতরও ভালো-মন্দ— দু'টি শ্রেণি আছে। ভালো প্রেত মানুষকে বিপর্যয় থেকে বাঁচিয়ে মঙ্গল করে। আর দুষ্ট প্রেতাত্মারা অনিষ্টের কারণ। শ্মশান কিংবা শিবস্থল ছাড়া প্রেতসাধনা হয় না। ক্ষুধার্ত প্রেত আমাদের চারপাশে ঘুরে বেড়ায়। সাধকের প্রাণ থেকে মন একটু আলগা হলেই তারা সব মনকে প্রাণের সঙ্গে ছাড়াছাড়ি করার খেলায় মাতে। প্রাণ হল মানুষের নাভিচক্রে থাকা তেজ। এই তেজকেই বলবান করেন প্রেতসাধুরা। প্রেতবাহনা ও মোহিনীপ্রেতের উপাসনা কী? প্রেতপীঠ কোথায়? গৃহস্থের সাংসারিক মঙ্গলের জন্য প্রেতসাধকরা কী উপায় বলে গিয়েছেন? লিখেছেন সোমব্রত সরকার।

ইউরোপের সৌন্দর্য
ইউরোপের সৌন্দর্য, ইতিহাস ও সংস্কৃতি নিয়ে রীতা ঘোষের বই ‘অপরূপ ইউরোপ’, যেখানে ফ্রান্স, সুইজারল্যান্ড, ইংল্যান্ড, তুরস্কসহ নানা দেশের মনোমুগ্ধকর ভ্রমণকথা উঠে এসেছে।

পুরাণ ও ইতিহাসে সিদ্ধিদাতা
গণেশ ঠাকুর সর্বজ্ঞ ও সিদ্ধিদাতা, যাঁর কাহিনি সীমাহীন। ভারতসহ বহু দেশে ভিন্ন রূপে তিনি পূজিত হন, সমৃদ্ধ পুরাণ ও ইতিহাসের সঙ্গে।

পদ্মকুমার
পদ্মকুমার, যিনি অগ্রমহিষীর গর্ভে জন্মগ্রহণ করেছিলেন, যুবরাজ হিসেবে রাজ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে, মায়ের বিশ্বাসঘাতকতার ফলে চোরপ্রপাতে নিক্ষিপ্ত হন। কিন্তু নাগরাজের সহায়তায় তিনি বেঁচে ফিরে, তপস্যায় মনোনিবেশ করেন।

যাত্রাপথের যন্ত্রণা পেরিয়ে
তাঁরা ‘হিটলার’ দেখেছেন, ‘কার্ল মার্কস', ‘আমি সুভাষ বলছি’, ‘সূর্যশিখা’, ‘সন্ন্যাসী তরবারি’, ‘স্পার্টাকাস', ‘হেলেন অব ট্রয়'-এর মতো পালা দেখেছেন। সেই দর্শকরা আজ আর নেই। যেন হাহাকার করে ওঠেন অনল।

পঞ্চচুল্লি আর চেরিফুলের দেশে
পাহাড়ের আঁকাবাঁকা পথে অজানা এক সফর, যেখানে প্রতিটি বাঁকেই লুকিয়ে আছে নতুন বিস্ময়!

গদ্যের ভিতরে রবীন্দ্র অন্বেষণ
কালীকৃষ্ণ গুহের ‘গদ্যসংগ্রহ ১’ বাংলা কবিতা, রবীন্দ্রসঙ্গীত ও সাহিত্য বিশ্লেষণের এক অনন্য সংকলন, যেখানে কবিদের সৃষ্টিজগতের গভীর অনুভূতি ও ব্যাখ্যা চিত্রের মতো উঠে এসেছে।

খনা কে? কেন প্রাসঙ্গিক তাঁর বচন?
২৫ জানুয়ারি, ২০২৫-এর 'সাপ্তাহিক বর্তমান'-এ বিদূষী নারী খনার জন্মবৃত্তান্ত এবং তাঁর বচন নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। তাঁর বচনে কৃষক সমাজের গভীর প্রতিফলন দেখা যায় এবং খনার আবির্ভাব প্রায় চতুর্থ থেকে পঞ্চম শতাব্দীর মধ্যে।