CATEGORIES
Kategorien
Reisen

ইয়েলবং
গুহার মধ্যে রুমতি নদীর পাথুরে খাতে হাঁটুজলে বুকজলে হাঁটা, উপর থেকে ঝরে পড়া নদীর জলে ভিজে যাওয়াইয়েলবংয়ে নদীখাত পদযাত্রার সেরা সময় মার্চ-এপ্রিল।

চোপতা তুঙ্গনাথ আউলি গরসন বুগিয়াল
হরিদ্বার থেকে দেবপ্রয়াগ, রুদ্রপ্রয়াগ, কুণ্ড হয়ে চোপতা। চোপতা থেকে তুঙ্গনাথ, চন্দ্রশিলা। তারপর যোশিমঠ থেকে বদ্রীনাথ, আউলি হয়ে গরসন বুগিয়াল। গাড়োয়ালের নিসর্গপথে বেড়ানোর সেরা সময় গ্রীষ্মকাল।

ভাগামনের চা-বাগানে
চা-বাগান, বুগিয়াল আর পাইনবনে ছাওয়া গাঢ় সবুজ ভাগামনে সারাবছর যাওয়া চলে। গ্রীষ্মে তাপমাত্রা ২০ থেকে ৩০ ডিগ্রির মধ্যে ওঠানামা করে। ভাগামনের বাড়তি পাওনা প্যারাগ্লাইডিং।

নতুন পথে গোকিও হ্রদ অভিযান
থোনাক লা (৫,৪১৬ মিটার) আর রেঞ্জো লা (৫,৪৩৫ মিটার)-য় দাঁড়িয়ে সোজা তাকালে আকাশের গায়ে ঝকঝক করে এভারেস্ট শৃঙ্গ, আর চোখ নামালে হিমালয়ের নীলকান্তমণি গোকিও হ্রদ। এভারেস্টের পাড়ায় দু'দিক থেকে গোকিও হ্রদ অভিযানের সেরা সময় গ্রীষ্মকাল।

একুশে ফেব্রুয়ারি
১৯৯৮ সালের একুশে ফেব্রুয়ারির রাতে, গাজী সাহাবুদ্দিনের বাড়িতে আনিসুজ্জামানের সঙ্গে গভীর আলোচনার পর, ঢাকা শহরের রাস্তায় বাঙালির একুশের মিছিলের অংশ হিসেবে মাতৃভাষার জন্য রক্তদান করা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে শহীদ মিনারে ফুলের পাহাড়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছিলাম।

রণথম্ভোরের রাজকাহিনি
রণথম্ভোর অরণ্যে যাওয়া চলে ১ অক্টোবর থেকে ৩০ জুন। তবে, গ্রীষ্মে প্রখর দাবদাহ সহ্য করে জলের ধারে অপেক্ষা করলে বাঘের দেখা পাওয়ারই কথা।

মেঘালয় ভ্রমণ
একের পর এক জলপ্রপাত, হ্রদ, নদী, রুট ব্রিজ, প্রাকৃতিক গুহা— সব কিছু নিয়ে মেঘালয় প্রাকৃতিক সম্পদের এক অফুরন্ত ভাণ্ডার। বেড়ানোর সেরা সময় মার্চ থেকে জুন। তাপমাত্রা এ-সময় ১৬ থেকে ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ঘোরাফেরা করে।

হাব্বা খাতুনের দেশে
কাশ্মীরের চেনাপথ ছেড়ে এক অচেনা কাশ্মীর ভ্রমণ। মারশেরি, বাঙ্গাস, লোলাব, মচ্ছল ও গুরেজ উপত্যকা। গুরেজ উপত্যকায় যেতে হলে যে গিরিবা পেরতে হয়, সেই রাজদান পাস শীতের মাসগুলোয় বরফে ঢাকা থাকে।

লিপুলেখ থেকে কৈলাস পর্বত দর্শন
কুমায়ুন হিমালয়ের লিপুলেখ গিরিবর্তে দাঁড়ালে দেখা যায় সুদূর তিব্বতের কৈলাস পর্বত। গাড়ি চলে যায় লিপুলেখ পাস পর্যন্ত। তবে, লিপুলেখ পাসে যেতে সেনাবাহিনীর তাৎক্ষণিক অনুমতি লাগে। নাবি থেকে নাভিধাং হয়ে লিপুলেখ পাস ৩০ কিলোমিটার । নাবি থেকে আরেক পথে জলিংকং হয়ে আদি কৈলাসও ৩০ কিলোমিটার। পার্বতী সরোবরের ধারে আকাশ আলো করে দাঁড়িয়ে আছে আদি কৈলাস।

আয়ারল্যান্ডের পথে-প্রান্তরে
সাগর, নদী, হ্রদ, আদিগন্ত ঢেউখেলানো সবুজ উপত্যকা, প্রাচীন সব দুর্গ, প্রাসাদ, আড্ডাখানা নিয়ে আয়ারল্যান্ড গ্রীষ্মে ভারি মনোরম।

কিন্নর স্পিতি পিন লাহুল
সিমলা থেকে নারকান্ডা পেরিয়ে কিন্নর ভ্রমণ শুরু। সারাহান, সাংলা, ছিটকুল, কল্পা পেরিয়ে শুরু হবে স্পিতি ভ্রমণ। হিমালয়ের অজন্তা টাবো গুম্ফা, ধাঙ্কার গুম্ফা ও দুর্গ দেখে চলুন পিন উপত্যকার মুধ গ্রামে। দশম দিন স্পিতির গভীরে ভ্রমণ করে পৌঁছবেন সদর শহর কাজা। পরদিন কুঞ্জুম গিরিপথ পেরিয়ে পৌঁছবেন চন্দ্রতাল। তার পরদিনই পৌঁছে যাবেন কুলু উপত্যকার প্রাণকেন্দ্র মানালি। অপরূপ হিমাচলের ১২ দিনের ভ্রমণগাইড।

চেনা-অচেনা উত্তরবঙ্গে
ওক্স চা-বাগান দার্জিলিংয়ে এক শান্তিপূর্ণ গ্রাম, যেখানে চা-গাছের মধ্যে দিয়ে হাঁটার সময় পাহাড়ি সৌন্দর্য এবং মিষ্টি হিমেল বাতাস উপভোগ করা যায়। এখানে রয়েছে একাধিক হোমস্টে, যা আপনাকে প্রকৃতির নৈসর্গিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে সহায়তা করবে।

রাজ্যে রাজ্যে গ্রীষ্মোৎসব
গ্রীষ্মকালীন উৎসবগুলির মধ্যে রয়েছে কাশ্মীরের টিউলিপ উৎসব, রাজস্থানের মেওয়ার, আসামের রঙ্গালি বিহু, পাঞ্জাবের বৈশাখী, ত্রিশূরের পুরম উৎসব এবং মাউন্ট আবুর সামার ফেস্টিভ্যাল। এই উৎসবগুলি দেশি-বিদেশি পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে।

কুমায়ুনে কয়েকদিন
করবেট অরণ্যে ঝটিকাসফর সেরে নৈনি হ্রদে নৌবিহার । তারপর রানিখেত, কৌশানি হয়ে মুন্সিয়ারিতে পৌঁছে সূর্যাস্তে লাল টকটকে পঞ্চচুল্লি। চৌকরি, বিনসরের পাহাড়-অরণ্যে দিন দুয়েক কাটিয়ে নৈনিতালে ফিরে অপরূপ সব হ্রদদর্শন।

সর্ববৃহৎ জৈন মিউজিয়াম
জৈন সম্প্রদায়ের মহাবীর জয়ন্তী উপলক্ষে ১০ এপ্রিল পুণের অভয় প্রভাবনা মিউজিয়ামে জৈন ধর্ম ও ইতিহাসের গভীরতা অনুভব করুন। এই বিশাল মিউজিয়াম কমপ্লেক্সে রয়েছে জৈন দর্শন, সংস্কৃতি, এবং পুরানো শিল্পকলা প্রদর্শন।

পাসিঘাট থেকে আলো হয়ে মেচুকা-দোর্জেলিং
অরুণাচলের সিয়াং নদীর তীরের পাসিঘাট থেকে ইয়োমগো চু-র তীরের আলো। আলোতে দুটি রাত কাটিয়ে ইয়ারগাপ চু-র তীরের মেচুকা। ৪০০ বছরের পুরনো গুম্ফা থেকে দেখা বিস্তীর্ণ মেচুকার রূপটি মনে রয়ে যাবে। চোখে পড়ে যেতে পারে ইয়ারগাপ চু-র তীরে ঘোড়ার পালের হঠাৎ ছুটে চলাও । যাওয়া চলে বর্ষা বাদে সারা বছর।

উপকূল পথে কোনারক থেকে প্ৰয়াগি লাইট হাউস
কোনারক থেকে বঙ্গোপসাগরের উপকূল ধরে প্রয়াগি সৈকত। পথের বেশিটাই পদযাত্রা। তবে, যে নদীগুলি বঙ্গোসাগরে এসে পড়েছে, নৌকো করে সে সব নদীর মোহানা পেরিয়ে আবার সমুদ্রতীর ধরে চলা । এই ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহের এই উপকূল যাত্রায় কোথাও পথশ্রম লাঘব করেছে অটোও। শীতকালই উপকূলযাত্রার উপযুক্ত সময়।

সবচেয়ে বড় প্রজাপতি
বিশ্বে প্রায় ১৭,৫০০ প্রজাতির প্রজাপতি রয়েছে, যার মধ্যে সবচেয়ে বড় কুইন আলেকজান্দ্রাস বার্ডউইং। এটি ১৯০৬ সালে আবিষ্কৃত হয় এবং মূলত পাপুয়া নিউ গিনির রেন ফরেস্টে পাওয়া যায়। স্ত্রী প্রজাপতিদের ডানার বিস্তার ২৮ সেমি-এর বেশি, আর পুরুষদের প্রায় ২৭ সেমি। তবে আবাসস্থল সংকোচনের কারণে এরা এখন বিপন্ন অবস্থায় রয়েছে।

নীলনদের তীরে
পিরামিডের শহর গিজা থেকে শুরু হল ট্যুরিস্ট ট্রেনে সফর। নীলনদের তীর ধরে ট্রেন চলল। পরদিন সকালে পৌঁছল আসওয়ান। ফিলেই ফেরিঘাট থেকে মোটরবোট ছুটল আজিলকিয়া দ্বীপে। সেখানে প্রাচীন ফিলেই মন্দির দেখে ওবেলা নীলনদের ধারের বর্ণময় নুবিয়ান গ্রাম ঘার্ব সোহিল ভ্রমণ ।

লুকোনো হ্রদেদের গ্রাম মাওফানলুর
হ্রদেদের রাজ্য মাওফানলুরের কাছেপিঠেই ঢেউ খেলানো ঘাসের উপত্যকা মারখাম, কিনসি নদীর ওয়েনিয়া ঝরনা হয়ে ঝরে পড়া, কিনসির নদী-দ্বীপ নংখনম। শিলং থেকে মাওফানলুর যেতে ঘন্টাতিনেক সময় লাগে।

ঘুমপাড়ানি পাহাড়ি গাঁ মানেদাঁড়া
রুংডুং নদীর ধারে অচিন গাঁ মানেদাঁড়া। রুংডুং আর পাখপাখালির কলতান যেন মানেদাঁড়ার আবহসংগীত।

কাশ্মীর সীমান্তে করনা উপত্যকার টিটওয়াল
এপারে ভারত, ওপারে পাক অধিকৃত কাশ্মীর। মাঝখান দিয়ে বয়ে চলেছে কিষেণগঙ্গা নদী। করনা উপত্যকার টিটওয়াল গ্রাম ভ্রমণ এই জুনে।

লালগঞ্জের নিরালা সৈকতে
সপ্তাশেষের ছোট্ট ছুটিতে চিরচেনা বকখালি ফ্রেজারগঞ্জের সঙ্গে ঘুরে আসতে পারেন অচেনা লালগঞ্জ সৈকত।

লুকনো এক দানব আগ্নেয়গিরি
পুহাহোনু, বিশ্বের সবচেয়ে বড় আগ্নেয়গিরি, প্রশান্ত মহাসাগরের নিচে লুকিয়ে রয়েছে। এটি মৌনা লোয়ার দ্বিগুণ আকারের হলেও বহু বছর ধরে নিষ্ক্রিয়। সাগরের ওপরে এর ছোট দুটি শিলা ‘গার্ডনার পিনাকলস’ মাত্র ১৭০ ফুট উঁচু, কিন্তু নিচে বিশাল এলাকা জুড়ে বিস্তৃত। একসময় এটি পৃথিবীর উষ্ণতম অগ্ন্যুৎপাত সৃষ্টি করেছিল, যার তাপমাত্রা ছিল ৩,০৯২°F!

বছর চল্লিশ আগে স্কুল থেকে একবার বন্ধুরা মিলে বাঁকুড়ার মুকুটমণিপুর ও শুশুনিয়ায় শিক্ষামূলক ভ্রমণে গিয়েছিলাম। সেই সুখস্মৃতি আজও অমলিন। বহু বছর পর সামাজিক মাধ্যমের দৌলতে স্কুলজীবনের পাঁচ বান্ধবী আবার একত্রিত হয়েছি। স্থির করেছি সংসার থেকে দিন তিনেকের ছুটি নিয়ে আমরা পাঁচজন আবার বাঁকুড়ার মুকুটমণিপুর, শুশুনিয়া বেড়াতে যাব। এই দুই জায়গায় কি রাজ্য পর্যটনের থাকার কোনও ব্যবস্থা আছে?
গঙ্গোত্রী, যমুনোত্রী, কেদারনাথ, বদ্রীনাথ, হেমকুণ্ড-র যাত্রীদের অনলাইন রেজিস্ট্রেশন করা এখন বাধ্যতামূলক। অনলাইন রেজিস্ট্রেশনের জন্য দেখুন এই ওয়েবসাইট: https://registrationandtouristcare.uk.gov.in এই লেখাটি যখন প্রস্তুত হচ্ছে, তখন বদ্রীনাথে জি এম ভি এন-এর হোটেল দেবলোক এবং বদ্রীনাথ যাত্রী নিবাস এই দু'টি অতিথিনিবাসের বুকিং বন্ধ রয়েছে। তবে ফেব্রুয়ারি থেকে বুকিং চালু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে গাড়োয়াল মন্ডল বিকাশ নিগমের তরফ থেকে ‘ভ্রমণ’কে জানানো হয়েছে

হোলিতে বারাণসী
কাশীতে হোলির সকাল শুরু হয় রঙের বৃষ্টি দিয়ে। গলির মাথায় দাঁড়াতেই উড়ে আসে রঙিন বেলুন, ছাদ থেকে ঝরে পড়ে আবিরের ধারা। গোধূলিয়া মোড় পেরিয়ে দশাশ্বমেধ ঘাটে পৌঁছতেই দেখা যায়, রুপোলি রঙে রাঙা মুখে স্থানীয়রা, খোল-করতাল হাতে আনন্দমগ্ন। দুপুর গড়াতেই সংগীত আর নাচের ঢেউ, গানের তালে রঙের উল্লাস। সন্ধ্যায় গঙ্গার ঘাটে আরতির মৃদু আলোয় মিশে যায় ফাগুনের উচ্ছ্বাস। কাশীর হোলি শুধু রঙের উৎসব নয়, এক অনন্য আবেগের নাম!

বসন্তে পুরুলিয়া
শীর্ষেন্দু গায়েন বসন্তে পুরুলিয়ার আকাশ শিমুলে পলাশে রাঙা হয়ে ওঠে। বসন্তের বাতাসে পুরুলিয়ার এদিক সেদিক দেখে বেড়াতে ভালো লাগবে ।

লেপার্ড দেখতে রাজাজি
রাজাজি অরণ্যে চিতাবাঘের জমাটি সংসার। দেরাদুন থেকে রাজাজির চিল্লাওয়ালি গেট ২৫ কিলোমিটার। অরণ্যে বেড়ানোর সেরা সময় নভেম্বর থেকে এপ্রিল।

ওডিশাতে অনুষ্ঠিত হল গুরু পদ্মসম্ভব মনলাম
ওডিশার বিখ্যাত ‘ডায়মন্ড ট্রায়াঙ্গল’ বা ‘হীরক ত্রিভুজ’ অঞ্চলে জানুয়ারির মাঝামাঝি অনুষ্ঠিত হলো পাঁচদিনের আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ সম্মেলন ‘গুরু পদ্মসম্ভব মনলাম’। বিশ্বজুড়ে ১৭টি দেশের বৌদ্ধ সন্ন্যাসী ও প্রতিনিধি এতে অংশ নেন। উদয়গিরিতে মূল প্রার্থনা সভা অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে বুদ্ধের বাণী ও গুরু পদ্মসম্ভবের জীবন নিয়ে আলোচনা হয়। থাইল্যান্ডের অংশগ্রহণকারীরা মূল স্তূপটি সাজিয়ে তোলেন। আয়োজকদের মতে, এই সম্মেলন ওডিশার বৌদ্ধ ঐতিহ্যকে বিশ্বদরবারে তুলে ধরার একটি প্রচেষ্টা।

লালগঞ্জের নিরালা সৈকতে
শীতের সকালে কলকাতা থেকে ফ্রেজারগঞ্জে যাত্রা শুরু করে বেনফিশের অতিথি নিবাসে অবস্থান। জম্বুদ্বীপ ভ্রমণ, কার্গিল ও বকখালি সৈকতে সূর্যাস্ত উপভোগ এবং লালগঞ্জের নির্জন সৈকতের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করে শহরের কোলাহল থেকে মুক্তির এক অনন্য অভিজ্ঞতা।