
লে থেকে সকাল আটটা নাগাদ রওনা হয়ে বরফাবৃত, দুর্গম খারদুংলা গিরিবা পেরিয়ে পৌঁছলাম খালসার। ঘড়িতে তখন বেলা বারোটা। অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে এসেছি লাদাখ ঘুরতে। গত বছরের কথা। পুরো লাদাখ জুড়েই জাঁকিয়ে ঠান্ডা পড়েছে। অধিক উচ্চতায় বরফ পড়াও শুরু হয়েছে। তবে আকাশ রোদঝলমলে। এখন পর্যটন মরশুম নয়। হাতেগোনা পর্যটক। বেশিরভাগ হোটেলের ঝাঁপ বন্ধ।
খালসারেই একটা ধাবায় দুপুরের খাওয়া সেরে খানিকটা এগোতেই পাহাড়ের উপর থেকে কারাকোরাম পর্বতমালা আর শিয়ক নদীর অপরূপ দৃশ্যপট চোখে পড়ল। পাহাড়ের
পাদদেশে নুব্রা উপত্যকা। গাড়ি পাহাড় গড়িয়ে নেমে এল সেখানে। ‘নুব্রা’ শব্দের অর্থ ফুলের বাগান। উপত্যকার অনেকটা অংশ জুড়ে প্রচুর গাছপালা। উইলো আর পপলারই বেশি। তাছাড়া আপেল আর অ্যাপ্রিকটের বাগান। গ্রীষ্মে পাহাড়ি ফুলও ফোটে। নুব্রা উপত্যকার আরেক অংশের প্রকৃতি একেবারেই এর বিপরীত। সেদিকে সাদা বালির ঢেউখেলানো বালিয়াড়ি। তাই একে শীতল মরুভূমিও বলা হয়। সেদিকে পাহাড়ি প্রকৃতি একেবারেই রুক্ষ, বৃক্ষহীন।
বাঁদিকে ডেসকিট গঞ্জের রাস্তায় না গিয়ে আমরা সোজা পথে চললাম সিয়াচেন। আমাদের গন্তব্য সিয়াচেন বেস ক্যাম্প। বছর দুয়েক হল সিয়াচেন বেস ক্যাম্পে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে পর্যটকদের। খালসার থেকে সুমুর পানামিক সাসোমা-ওয়ারসি হয়ে দূরত্ব প্রায় ১১০ কিলোমিটার। শিয়ক নদীর লোহার সেতু পেরিয়ে অপ্রশস্ত পথে গাড়ি এগোল। পথের অবস্থা কোথাও কোথাও বেশ খারাপ। ডান দিকে কারাকোরাম পর্বতমালা। এই রাস্তা অতীতে প্রাচীন রেশমপথের সঙ্গে যুক্ত ছিল। বাঁদিকে বয়ে চলেছে নুব্রা নদী। সিয়াচেন হিমবাহ থেকে দক্ষিণে বয়ে এসে শিয়ক নদীতে পড়েছে নুব্রা। নদীখাত খুবই চওড়া। তবে জল এখন বেশ কম। নদীর গায়ে সালতোরো পাহাড়শ্রেণির দীর্ঘ প্রাচীর। চোখে পড়ল সিয়া কাংড়ি হিমশৃঙ্গ।
Denne historien er fra April 2024-utgaven av Bhraman.
Start din 7-dagers gratis prøveperiode på Magzter GOLD for å få tilgang til tusenvis av utvalgte premiumhistorier og 9000+ magasiner og aviser.
Allerede abonnent ? Logg på
Denne historien er fra April 2024-utgaven av Bhraman.
Start din 7-dagers gratis prøveperiode på Magzter GOLD for å få tilgang til tusenvis av utvalgte premiumhistorier og 9000+ magasiner og aviser.
Allerede abonnent? Logg på

ইয়েলবং
গুহার মধ্যে রুমতি নদীর পাথুরে খাতে হাঁটুজলে বুকজলে হাঁটা, উপর থেকে ঝরে পড়া নদীর জলে ভিজে যাওয়াইয়েলবংয়ে নদীখাত পদযাত্রার সেরা সময় মার্চ-এপ্রিল।

চোপতা তুঙ্গনাথ আউলি গরসন বুগিয়াল
হরিদ্বার থেকে দেবপ্রয়াগ, রুদ্রপ্রয়াগ, কুণ্ড হয়ে চোপতা। চোপতা থেকে তুঙ্গনাথ, চন্দ্রশিলা। তারপর যোশিমঠ থেকে বদ্রীনাথ, আউলি হয়ে গরসন বুগিয়াল। গাড়োয়ালের নিসর্গপথে বেড়ানোর সেরা সময় গ্রীষ্মকাল।

ভাগামনের চা-বাগানে
চা-বাগান, বুগিয়াল আর পাইনবনে ছাওয়া গাঢ় সবুজ ভাগামনে সারাবছর যাওয়া চলে। গ্রীষ্মে তাপমাত্রা ২০ থেকে ৩০ ডিগ্রির মধ্যে ওঠানামা করে। ভাগামনের বাড়তি পাওনা প্যারাগ্লাইডিং।

নতুন পথে গোকিও হ্রদ অভিযান
থোনাক লা (৫,৪১৬ মিটার) আর রেঞ্জো লা (৫,৪৩৫ মিটার)-য় দাঁড়িয়ে সোজা তাকালে আকাশের গায়ে ঝকঝক করে এভারেস্ট শৃঙ্গ, আর চোখ নামালে হিমালয়ের নীলকান্তমণি গোকিও হ্রদ। এভারেস্টের পাড়ায় দু'দিক থেকে গোকিও হ্রদ অভিযানের সেরা সময় গ্রীষ্মকাল।

একুশে ফেব্রুয়ারি
১৯৯৮ সালের একুশে ফেব্রুয়ারির রাতে, গাজী সাহাবুদ্দিনের বাড়িতে আনিসুজ্জামানের সঙ্গে গভীর আলোচনার পর, ঢাকা শহরের রাস্তায় বাঙালির একুশের মিছিলের অংশ হিসেবে মাতৃভাষার জন্য রক্তদান করা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে শহীদ মিনারে ফুলের পাহাড়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছিলাম।

রণথম্ভোরের রাজকাহিনি
রণথম্ভোর অরণ্যে যাওয়া চলে ১ অক্টোবর থেকে ৩০ জুন। তবে, গ্রীষ্মে প্রখর দাবদাহ সহ্য করে জলের ধারে অপেক্ষা করলে বাঘের দেখা পাওয়ারই কথা।

মেঘালয় ভ্রমণ
একের পর এক জলপ্রপাত, হ্রদ, নদী, রুট ব্রিজ, প্রাকৃতিক গুহা— সব কিছু নিয়ে মেঘালয় প্রাকৃতিক সম্পদের এক অফুরন্ত ভাণ্ডার। বেড়ানোর সেরা সময় মার্চ থেকে জুন। তাপমাত্রা এ-সময় ১৬ থেকে ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ঘোরাফেরা করে।

হাব্বা খাতুনের দেশে
কাশ্মীরের চেনাপথ ছেড়ে এক অচেনা কাশ্মীর ভ্রমণ। মারশেরি, বাঙ্গাস, লোলাব, মচ্ছল ও গুরেজ উপত্যকা। গুরেজ উপত্যকায় যেতে হলে যে গিরিবা পেরতে হয়, সেই রাজদান পাস শীতের মাসগুলোয় বরফে ঢাকা থাকে।

লিপুলেখ থেকে কৈলাস পর্বত দর্শন
কুমায়ুন হিমালয়ের লিপুলেখ গিরিবর্তে দাঁড়ালে দেখা যায় সুদূর তিব্বতের কৈলাস পর্বত। গাড়ি চলে যায় লিপুলেখ পাস পর্যন্ত। তবে, লিপুলেখ পাসে যেতে সেনাবাহিনীর তাৎক্ষণিক অনুমতি লাগে। নাবি থেকে নাভিধাং হয়ে লিপুলেখ পাস ৩০ কিলোমিটার । নাবি থেকে আরেক পথে জলিংকং হয়ে আদি কৈলাসও ৩০ কিলোমিটার। পার্বতী সরোবরের ধারে আকাশ আলো করে দাঁড়িয়ে আছে আদি কৈলাস।

আয়ারল্যান্ডের পথে-প্রান্তরে
সাগর, নদী, হ্রদ, আদিগন্ত ঢেউখেলানো সবুজ উপত্যকা, প্রাচীন সব দুর্গ, প্রাসাদ, আড্ডাখানা নিয়ে আয়ারল্যান্ড গ্রীষ্মে ভারি মনোরম।