কুমায়ুন হিমালয়ের সুন্দরডুঙ্গা ভ্যালির নাম অনেকেই শুনেছেন। গিয়েছেনও হয়তো কেউ কেউ। এই ভ্যালিরই দক্ষিণ দিকে একটি গিরিপথ, কানাকাটা বা পদাকি । একই পাসের দুই নাম! যে-পথে মাইকতোলি বেসিন, বালুনি বুগিয়াল, ভানোটি, থারকোট ইত্যাদি জনপ্রিয় সব ট্রেকে যায় লোকে, সেই অঞ্চলেই রয়েছে গিরিপথটি। তা সত্ত্বেও কানাকাটা পাস ট্রেক তেমন জনপ্রিয় হয়নি।
২০১১-য় কানাকাটা পাসে যাব বলে মনস্থ করেও বিশেষ কারণে বালুনি থেকে ফিরে আসি। ২০২৩-এর সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহে একেবারে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হয়ে বেরলাম। সেই মতো ট্রেনে বেরিলি পৌঁছে, সেখান থেকে গাড়ি নিয়ে, পাইনে ছাওয়া রাস্তা ধরে ওই দিনই রাত নটার সময় পৌঁছে গেলাম দাও।
প্রথম দিন পরদিন সকালে হাঁটা শুরু। গন্তব্য জাতোলি । সামান্য দূরে খাতি গ্রামে তখনও সূর্যের আলো পড়েনি। তাই ধীরে-সুস্থে হাঁটা। লোহার সেতু দিয়ে প্রথমে পিন্ডার নদী পার হলাম। একটু এগোতেই পিন্ডার ও সুন্দরডুঙ্গা ধারার সঙ্গম চোখে পড়ল। আরও একটু এগিয়ে সুন্দরডুঙ্গার ব্রিজ। সুন্দরডুঙ্গা উপত্যকা থেকে উৎপত্তি এই ধারাটির। ধারা পার করে রামদানা খেতের পাশ দিয়ে ওঠা শুরু। ততক্ষণে রোদে ঝলমল করছে আকাশ, প্রকৃতি, খেত-গাছপালা।
ঘণ্টা দেড়েক হেঁটে পৌঁছলাম রিটং গ্রাম। খুব বড় গ্রাম নয়। দশ-পনেরোটি পরিবারের বাস। প্রায় সবার পদবি, দানু। রিটং ছাড়িয়ে চড়াই শুরু। গাছের ছায়া দিয়ে চলা। রাস্তার কিছু কিছু বিপজ্জনক অংশে লোহার রেলিং।
আরও আড়াই ঘণ্টা হাটার পর পাওয়া গেল বনবাংলো। জাতোলি নালার পাশে। জাতোলি নালার ছোট্ট সেতু পার করে জাতোলি গ্রামের মূল ফটক। ৭,৯০০ ফুট উচ্চতায় জাতোলি গ্রাম, ট্রেকার ও পর্বতারোহীদের কাছে খুবই পরিচিত। অতীব বিশ্বস্ত ও কর্মঠ পোর্টার ও গাইডরা রয়েছেন জাতোলিতে। সরল মানুষজন এক লহমায় আপন করে নেন। তবে পাহাড়ি গ্রামে দিনের আলো নিভলে নিরবচ্ছিন্ন বিশ্রাম নেওয়া ছাড়া কিছু করার থাকে না।
Denne historien er fra November 2024-utgaven av Bhraman.
Start din 7-dagers gratis prøveperiode på Magzter GOLD for å få tilgang til tusenvis av utvalgte premiumhistorier og 9000+ magasiner og aviser.
Allerede abonnent ? Logg på
Denne historien er fra November 2024-utgaven av Bhraman.
Start din 7-dagers gratis prøveperiode på Magzter GOLD for å få tilgang til tusenvis av utvalgte premiumhistorier og 9000+ magasiner og aviser.
Allerede abonnent? Logg på
শাতের মেলা-পার্বণ
গুজরাত পর্যটন বিভাগ প্রতি বছর রণ উৎসব বা হোয়াইট ডেজার্ট ফেস্টিভ্যালের আয়োজন করে। কচ্ছ জেলার ধরদো গ্রামে এই উৎসব হয়। বিশেষ করে পূর্ণিমার রাতে সাদা মরুভূমির অপরূপ সৌন্দর্য দেখার জন্য পর্যটকের ভিড় বেড়ে যায়। বিলাসবহুল তাঁবুতে থাকার ব্যবস্থা এবং গুজরাতি লোকনৃত্য, লোকসংগীত, চিত্রকলা ও প্রাদেশিক খাবারের সমারোহ এই উৎসবের বিশেষ আকর্ষণ।
শীতের দিনে সপ্তাশেষে
/ গোবর্ধনপুর / গোপালপুর / আদিত্যপুর / পুরুলিয়ার টিকড়টাঁড়ের আড়াল কানালি /কুকি ড্যাম /জাজাহাতু /মাছকান্দা ঝরনা
তুষারচিতার খোঁজে শীতের স্পিতি উপত্যকায়
শীতে খাবারের খোঁজে স্নো-লেপার্ডরা নেমে আসে হিমাচলের স্পিতি উপত্যকায়। বরফজমা উপত্যকায় এ-সময় আরও নানা বন্যপ্রাণীর দেখা মেলে। এবছরের ফেব্রুয়ারি মাসের অভিজ্ঞতা।
শীতে সাত সমুদ্রে
/কারোয়ার / দেববাগ / মাইপাড়ু /কোভালম / ভারকালা / লাক্ষাদ্বীপ / হ্যাভলক
ওরিয়া উৎসবে ওয়াক্কা
শীতের শেষে অরুণাচলের অচিন গ্রাম ওয়াক্কা মেতে ওঠে ওরিয়া উৎসবে। এবারের ওরিয়া উৎসব ১৬ ফেব্রুয়ারি।
শীতের কাজিরাঙা
কাজিরাঙার রোমাঞ্চময় জঙ্গলে মিঠে রোদে ঠান্ডা হাওয়ায় অপরূপ নিসর্গের মাঝে গন্ডার, হুলক গিবন, বাঘ, হাতি, বুনো মহিষ আর অসংখ্য পাখি দেখার আনন্দ পেতে চাইলে যেতে হবে শীতেই। মস্ত বড় এলিফ্যান্ট গ্রাসের আড়ালে হাতিও তখন ঢাকা পড়ে যায়।
শীতের কাশ্মীরে সাধনা টপ
শীতেই চলুন শীতের দেশে। শীতের আনন্দ সেখানেই। শীতের কাশ্মীরে চেনা পথে যদি বরফ না পান, চলে যেতে পারেন অল্পচেনা সাধনা টপে।
শীতের পাখি দেখতে কুমায়ুন থেকে গাড়োয়াল
গাড়োয়াল আর কুমায়ুন পাহাড় এমনিতেই হিমালয়ের পাখিদের স্বর্গরাজ্য। শীতে বেশি উচ্চতার পাখিরাও নেমে আসে সাততাল, মানিলা, মকুমঠ, চোপতা, তুঙ্গনাথে। শীতের পাহাড় পাখি-দেখিয়েদেরও স্বর্গ।
জিঞ্জি দুর্গ দেখে পিছাভরম
জেনে রাখুন পিছাভরমে সংকীর্ণ খাঁড়ির মধ্যে প্রবেশ করতে চাইলে এবং গহীন অরণ্যের স্বাদ নিতে হলে হাতে দাঁড় টানা ছোট নৌকা সবচেয়ে উপযোগী। এটি অনেকটা ভিতরে প্রবেশ করতে পারে। বড় নৌকার ক্ষেত্রে তা সম্ভব নয়। /৪৫ মিনিটের জন্য চারজনের ক্ষেত্রে ছোট দাঁড় টানা নৌকার খরচ ৪০০ টাকা এবং ৮ জনের মোটর বোটে টিকিট মূল্য ৮০০ টাকা। / কাদিয়াম্পালয়াম গ্রাম থেকে প্রাইভেট ফিশিং বোটে নৌসফর করতে চাইলে যোগাযোগ করতে পারেন: আনবো ৯৭৮৬৭-৬7287
জমাট শীতে উত্তরবঙ্গের গ্রামে গ্রামে
সবুজ চা-বাগানে ঘেরা নিস্তরঙ্গ গ্রাম, ফলে ভরা কমলালেবু বাগান, বৃষ্টি ধোয়া আকাশে হেসে ওঠা কাঞ্চনজঙ্ঘা, ডিসেম্বরের জমাট শীতে উত্তরবঙ্গের ভ্রমণকথা।