নিস্তরঙ্গ ম্যাকলাস্কিগঞ্জ
Bhraman|November 2024
পথের ধারে বিস্তীর্ণ শালবন, জঙ্গলের মধ্য দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তিরতিরে নদী চাট্টি আর ডুগাডুগি, স্থানীয় মানুষের সরল জীবনযাত্রা, অ্যাংলো সাহেবদের ছেড়ে যাওয়া ঘরবাড়ি, সব মিলিয়ে শীতের ম্যাকলাস্কিগঞ্জে এক নিস্তরঙ্গ অবসর যাপন করতে ভালো লাগে।
লেখা ও ছবি: শ্রীকুমার লাহিড়ী
নিস্তরঙ্গ ম্যাকলাস্কিগঞ্জ

দুপাশে বিস্তীর্ণ শালবন। শালবনের বুক চিরে চলে গেছে এক-একটা রাঙামাটির পথ- হয়তো গিয়েছে কোনও গভীরতর অরণ্যের সন্ধানে কিংবা গিয়ে উঠেছে কোনও গাঁয়ে। জঙ্গল-পথে মাঝেমধ্যেই কিছু আদিবাসী নারী-পুরুষ কাঁধে কুড়ুল নিয়ে চলেছে কাঠ সংগ্রহে। কয়েক বছর আগে শীতের এক সকালের দৃশ্য। রাঁচি থেকে গাড়িতে চলেছি ৬৫ কিলোমিটার দূরে ম্যাকলাস্কিগঞ্জে। শহরের হেসালং রেল ক্রসিং পেরিয়ে বাঁদিকে বাঁক নিয়ে গাড়ি চলল গেস্ট হাউসের দিকে। শহরের এক প্রান্তে শালবনে ঘেরা আমাদের গেস্ট হাউস। নাম, রানা’জ কান্ট্রি কটেজ। শহর থেকে গেস্ট হাউস পর্যন্ত পথের দু'ধারে ওই ঘন শালবন।

ম্যাকলাস্কিগঞ্জ ছোট্ট শহর। বাসিন্দারা মূলত আদিবাসী। বাজার, দোকানপাট, ঘরবাড়ি, বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে অ্যাংলো ইন্ডিয়ানদের পুরনো পরিত্যক্ত অট্টালিকা— সবই আছে। কেবল নেই কোনও ব্যস্ততা। সারা শহর জুড়ে অদ্ভুত এক আলসেমি! শত নেই-এর মধ্যেও রয়েছে দিব্য নিশ্চিন্ত জীবনযাপন! অভাববোধ এখানকার বাসিন্দাদের মনকে আজও যেন স্পর্শ করেনি।

আদিবাসী অঞ্চল বলতেই মনে আসে হাট ও হাঁড়িয়ার কথা। এখান থেকে পঁচিশ কিলোমিটার দূরে লাতেহার জেলার টোড়ি শহর, সেখানে সপ্তাহের একটা দিন বেশ বড়সড় হাট বসে। আমরাও গিয়ে পড়লাম হাটের মাঝে। দূর-দূরান্ত থেকে গ্রামের মানুষ এসে হাজির হয়েছে। সে এক বিচিত্র মিশ্র বিকিকিনির পশরা মাছ ধরার জাল, মাটির হাঁড়ি, জামাকাপড়, শুঁটকি মাছ এমনকী ইটে বসিয়ে চুল কাটা। -

This story is from the November 2024 edition of Bhraman.

Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.

This story is from the November 2024 edition of Bhraman.

Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.

MORE STORIES FROM BHRAMANView All
শাতের মেলা-পার্বণ
Bhraman

শাতের মেলা-পার্বণ

গুজরাত পর্যটন বিভাগ প্রতি বছর রণ উৎসব বা হোয়াইট ডেজার্ট ফেস্টিভ্যালের আয়োজন করে। কচ্ছ জেলার ধরদো গ্রামে এই উৎসব হয়। বিশেষ করে পূর্ণিমার রাতে সাদা মরুভূমির অপরূপ সৌন্দর্য দেখার জন্য পর্যটকের ভিড় বেড়ে যায়। বিলাসবহুল তাঁবুতে থাকার ব্যবস্থা এবং গুজরাতি লোকনৃত্য, লোকসংগীত, চিত্রকলা ও প্রাদেশিক খাবারের সমারোহ এই উৎসবের বিশেষ আকর্ষণ।

time-read
2 mins  |
December 2024
শীতের দিনে সপ্তাশেষে
Bhraman

শীতের দিনে সপ্তাশেষে

/ গোবর্ধনপুর / গোপালপুর / আদিত্যপুর / পুরুলিয়ার টিকড়টাঁড়ের আড়াল কানালি /কুকি ড্যাম /জাজাহাতু /মাছকান্দা ঝরনা

time-read
10+ mins  |
December 2024
তুষারচিতার খোঁজে শীতের স্পিতি উপত্যকায়
Bhraman

তুষারচিতার খোঁজে শীতের স্পিতি উপত্যকায়

শীতে খাবারের খোঁজে স্নো-লেপার্ডরা নেমে আসে হিমাচলের স্পিতি উপত্যকায়। বরফজমা উপত্যকায় এ-সময় আরও নানা বন্যপ্রাণীর দেখা মেলে। এবছরের ফেব্রুয়ারি মাসের অভিজ্ঞতা।

time-read
8 mins  |
December 2024
শীতে সাত সমুদ্রে
Bhraman

শীতে সাত সমুদ্রে

/কারোয়ার / দেববাগ / মাইপাড়ু /কোভালম / ভারকালা / লাক্ষাদ্বীপ / হ্যাভলক

time-read
8 mins  |
December 2024
ওরিয়া উৎসবে ওয়াক্কা
Bhraman

ওরিয়া উৎসবে ওয়াক্কা

শীতের শেষে অরুণাচলের অচিন গ্রাম ওয়াক্কা মেতে ওঠে ওরিয়া উৎসবে। এবারের ওরিয়া উৎসব ১৬ ফেব্রুয়ারি।

time-read
8 mins  |
December 2024
শীতের কাজিরাঙা
Bhraman

শীতের কাজিরাঙা

কাজিরাঙার রোমাঞ্চময় জঙ্গলে মিঠে রোদে ঠান্ডা হাওয়ায় অপরূপ নিসর্গের মাঝে গন্ডার, হুলক গিবন, বাঘ, হাতি, বুনো মহিষ আর অসংখ্য পাখি দেখার আনন্দ পেতে চাইলে যেতে হবে শীতেই। মস্ত বড় এলিফ্যান্ট গ্রাসের আড়ালে হাতিও তখন ঢাকা পড়ে যায়।

time-read
5 mins  |
December 2024
শীতের কাশ্মীরে সাধনা টপ
Bhraman

শীতের কাশ্মীরে সাধনা টপ

শীতেই চলুন শীতের দেশে। শীতের আনন্দ সেখানেই। শীতের কাশ্মীরে চেনা পথে যদি বরফ না পান, চলে যেতে পারেন অল্পচেনা সাধনা টপে।

time-read
3 mins  |
December 2024
শীতের পাখি দেখতে কুমায়ুন থেকে গাড়োয়াল
Bhraman

শীতের পাখি দেখতে কুমায়ুন থেকে গাড়োয়াল

গাড়োয়াল আর কুমায়ুন পাহাড় এমনিতেই হিমালয়ের পাখিদের স্বর্গরাজ্য। শীতে বেশি উচ্চতার পাখিরাও নেমে আসে সাততাল, মানিলা, মকুমঠ, চোপতা, তুঙ্গনাথে। শীতের পাহাড় পাখি-দেখিয়েদেরও স্বর্গ।

time-read
4 mins  |
December 2024
জিঞ্জি দুর্গ দেখে পিছাভরম
Bhraman

জিঞ্জি দুর্গ দেখে পিছাভরম

জেনে রাখুন পিছাভরমে সংকীর্ণ খাঁড়ির মধ্যে প্রবেশ করতে চাইলে এবং গহীন অরণ্যের স্বাদ নিতে হলে হাতে দাঁড় টানা ছোট নৌকা সবচেয়ে উপযোগী। এটি অনেকটা ভিতরে প্রবেশ করতে পারে। বড় নৌকার ক্ষেত্রে তা সম্ভব নয়। /৪৫ মিনিটের জন্য চারজনের ক্ষেত্রে ছোট দাঁড় টানা নৌকার খরচ ৪০০ টাকা এবং ৮ জনের মোটর বোটে টিকিট মূল্য ৮০০ টাকা। / কাদিয়াম্পালয়াম গ্রাম থেকে প্রাইভেট ফিশিং বোটে নৌসফর করতে চাইলে যোগাযোগ করতে পারেন: আনবো ৯৭৮৬৭-৬7287

time-read
10 mins  |
December 2024
জমাট শীতে উত্তরবঙ্গের গ্রামে গ্রামে
Bhraman

জমাট শীতে উত্তরবঙ্গের গ্রামে গ্রামে

সবুজ চা-বাগানে ঘেরা নিস্তরঙ্গ গ্রাম, ফলে ভরা কমলালেবু বাগান, বৃষ্টি ধোয়া আকাশে হেসে ওঠা কাঞ্চনজঙ্ঘা, ডিসেম্বরের জমাট শীতে উত্তরবঙ্গের ভ্রমণকথা।

time-read
10+ mins  |
December 2024