উত্তরপ্রদেশের এক নবাবশাসিত রাজ্য ছিল রামপুরি। রামপুরি রন্ধনপ্রণালী মূলত এক দরবারি রন্ধনপ্রণালী। এটি মোগলাই, আওয়াধি, আফগানি, রাজপুত-সহ নানা সংস্কৃতির মিশ্রণ। এমনকী ব্রিটিশদের রন্ধন-সংস্কৃতির প্রভাবও রয়েছে রামপুরি কুইজ়িনে। তবে আওয়াধি কুইজ়িনের মতোই, রামপুরি খাওয়াদাওয়াও কিন্তু মুঘল-ঘরানার। এধরনের পদের বিশেষত্ব হল এর স্বাদ...নানা মশলার সংমিশ্রণে স্বাদকোরককে তৃপ্ত করতে জুড়ি নেই কোর্মা থেকে টিক্কার। কেশর বা জায়ফল-জয়িত্রীর ব্যবহার এই রন্ধপ্রণালীর বিশেষত্ব। তাঁদের হেঁশেলে ছিল বিশেষ চঙ্গেজ়ি মশলাও। ২১রকম মশলা ও হার্বের সংমিশ্রণে সে আমলে তৈরি হত এই মশলা। রামপুরি রান্নায় গোটা মশলা দিয়ে রান্নার চল বরাবরই বেশি ছিল। দুধি, লোটাস স্টেম, কাঁঠাল, ডুমুর, আমলকির মতো সবজিও ব্যবহার হত বেশি। মুঘল যুগের খানসামাদের হাতেই একে একে প্রাণ পেত মুর্গ চঙ্গেজ়ি বা সবজ়-মখনা কালিয়ার মতো অসংখ্য পদ। যদিও এখন তুলনায় স্বল্পশ্রুত এই রন্ধনপ্রণালীতে এসেছে বহু বিবর্তন।
দম কা মুর্গ পুলাও উপকরণ: বাসমতী চাল (সেদ্ধ করে রাখা) ১০০ গ্রাম, বোনলেস চিকেন ১০০ গ্রাম (ছোট ছোট টুকরো করা), লবঙ্গ ৪-৫টা, এলাচ ২-৩টে, জায়ফল সামান্য, তেজপাতা ১টা, বেরেস্তা ১০ গ্রাম, মিঠা আতর ২ মিলি, কেওড়ার জল ২ মিলি, গরমমশলাগুঁড়ো ৩ গ্রাম, আদাবাটা ৫ গ্রাম, ঘি ২৫ মিলি, নুন ৫ গ্রাম, চিনি ১০ গ্রাম, কাঁচালঙ্কা ২টো, পুদিনাপাতাকুচি ৩ গ্রাম।
প্রণালী: প্যানে ঘি গরম করে তাতে আদারসুনবাটা ও তেজপাতা দিন। নেড়েচেড়ে নিন, সুগন্ধ বেরলে আগে থেকে সেদ্ধ করে রাখা চিকেন দিন। কিছুক্ষণ রান্না করুন। প্রয়োজনে অল্প জল দেবেন। এবার এতে একে একে বেরেস্তা, গরমমশলা ও নুন দিন। সেদ্ধ করে রাখা ভাত মিশিয়ে নিন। লবঙ্গ, এলাচ, সামান্য জায়ফল, কাঁচালঙ্কা দিন। কেওড়া জল, মিঠা আতর দিয়ে ঢেকে কয়েক মিনিট দমে সেদ্ধ হতে দিন। ভাত, চিকেন ও যাবতীয় মশলা মিশে গেলে বেরেস্তা ও পুদিনাপাতাকুচি ছড়িয়ে পরিবেশন করুন।
This story is from the July 15, 2022 edition of SANANDA.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Sign In
This story is from the July 15, 2022 edition of SANANDA.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Sign In
স্কিবিডি টয়লেট: গেমিংয়ের নতুন ট্রেন্ড
জেন আলফা মেতে রয়েছে • এক নতুন 'বিজার' গেমে। নাম, ‘স্কিবিডি টয়লেট'। নেপথ্যের সম্ভাব্য কারণ কী? বিশদে জানাচ্ছেন পেরেন্টিং কনসালট্যান্ট পায়েল ঘোষ।
চ্যালেঞ্জ ছিল অবাঙালিদের বাঙালি খাবার খাওয়ানো, সেটা আমি পেরেছি
রাত আড়াইটের ফ্লাইট ধরে ভোর পাঁচটায় কলকাতায় এসে নেমেছেন এক ইভেন্টে যোগ দিতে, আবার সাড়ে ছ'টার ফ্লাইট ধরে ফিরে যাবেন মুম্বই। তারই ফাঁকে স্পেশ্যালিটি রেস্তরাঁর অধিকর্তা অঞ্জন চট্টোপাধ্যায়ের মুখোমুখি পারমিতা সাহা
শব্দ, আলোয় দূরে থাক পোষ্য
দীপাবলির ‘আনন্দ’ থেকে দূরে রাখুন পোষ্যেদের। জানাচ্ছেন বিশিষ্ট সার্জন ও পশু বিশেষজ্ঞ ডা. গৌতম মুখোপাধ্যায়।
দূষণ বনাম জীবন!
বেঁচে থাকতে অপরিহার্য পরিষ্কার বাতাসে শ্বাস নেওয়ার অধিকারটুকু। বায়ুদূষণের নিরিখে কোথায় দাঁড়িয়ে আমরা? জানাচ্ছেন অধ্যাপক অনিরুদ্ধ মুখোপাধ্যায় ও পরিবেশ বিজ্ঞানী স্বাতী নন্দী চক্রবর্তী। লিখছেন অনিকেত গুহ ও মধুরিমা সিংহ রায়।
বায়ুদূষণ ও শ্বাসজনিত সমস্যা
বায়ুদূষণ আমাদের শ্বাসযন্ত্রে কী প্রভাব ফেলছে? বিশদে জানাচ্ছেন কনসালট্যান্ট পালমোনোলজিস্ট ডা. সুস্মিতা রায়চৌধুরী ও অ্যালার্জিস্ট ডা. কল্লোল পাল। লিখছেন উপমা মুখোপাধ্যায় ও পৃথা বসু।
সবুজ দীপাবলি: আদৌ সম্ভব?
দীপাবলিকে দূষণমুক্ত করার জন্য কী করা যেতে পারে? সবুজ বাজি এই লক্ষ্যে কতটা সফল? বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলে বোঝার চেষ্টা করলেন সংবেত্তা চক্রবর্তী।
স্লিপ ডিভোর্স:সম্পর্ক ও বিজ্ঞান
নিদ্রা-বিচ্ছেদ! বাংলা তর্জমা করলে খানিক এমনই দাঁড়ায় শব্দবন্ধটি। স্লিপ সাইকোলজির গহীনে কি লুকিয়ে ‘সুস্থ’ দাম্পত্যের সমীকরণ? সন্ধান করলেন অনিকেত গুহ।
বন্ধুদের অনুরোধে শুরু, আর পিছন ফিরে তাকাইনি
নানা ইভেন্টে, রেস্তরাঁয় বা বিয়েবাড়িতে সুদৃশ্য টেবল ডেকরেশন করেন অ্যামি কোঠারি। টেবল স্টাইলিস্ট হিসেবে ১০ বছরের কেরিয়ার। তাঁর জার্নির কথা শুনলেন মধুরিমা সিংহ রায়।
সতর্ক হোন মরসুমি জ্বরে...
শীত ও আর্দ্রতার মিশেলে, ভরা হেমন্তেও ঘরে ঘরে ‘সিজনাল ফিভার'। কী করবেন, কী নয়, জানালেন অধ্যাপক ও চিকিৎসক ডা.অরুণাংশু তালুকদার এবং বিশিষ্ট জেনারেল ফিজিশিয়ন ডা. সুবীর মণ্ডল। লিখছেন অনিকেতগুহ।
স্বাদ-এ শেফ
কাবাব, পাই বা সুইস রোল— চেনা পদে অচেনা স্বাদের টুইস্ট থাকলে মুখে তো হাসি ফুটবেই! কলকাতার রেস্তরাঁয় পাওয়া যাবে তেমনই স্বাদের সম্ভার। চারটি এক্সক্লুসিভ পদ সাজিয়ে দিলেন কাফে কোর্টইয়ার্ড-এর কর্ণধার সুদর্শনা দত্ত চাকলাদার।