পায়ে পায়ে কল্পেশ্বর থেকে রুদ্রনাথ

আকাশের সঙ্গে পাহাড়, পাহাড়ের সঙ্গে ঝরনার হাত-ধরাধরি। চারপাশে সবুজের মেলা! কল্পেশ্বর থেকে রুদ্রনাথ ঘোরার অভিজ্ঞতা বর্ণনে ডা. অর্পণ রায়চৌধুরী।

কল্পনার কল্পেশ্বরে হরিদ্বার থেকে জিপে চড়ে হেলাং হয়ে উর্গমে নামামাত্র আকাশ কালো করে মেঘে ঢেকে এল। সঙ্গে ঘন ঘন বিদ্যুতের ঝলকানি। ত্রস্ত পায়ে হাঁটা লাগালাম কল্পেশ্বরের দিকে। ভীষণ প্রাচীন এই উর্গমক্ষেত্র। পুরাকালে এর উল্লেখ আছে। উর্ব ঋষি এই অঞ্চলে বহুকাল তপস্যা করেছিলেন। তাঁর নামেই এই জায়গার নাম হয় উর্গম। উর্গম আসলে কোনও বিশেষ গ্রামের নাম নয়। সালনা, লেয়ারি, মাল্লা, বরগিন্দা, দেবগ্রাম, গিরা আর বাঁসা— এই সাতটা গ্রাম নিয়ে উর্গমক্ষেত্র। পাহাড়ের গায়ে কাঠ আর পাথরের ঘরবাড়ির লাগোয়া শস্যখেত, ফলের বাগান। ধাপে ধাপে নামা চাষের খেতে সোনালি গম হাওয়ায় দুলছে। ডানদিকের খাদে বয়ে চলেছে রংনাগানি থেকে আসা কল্পগঙ্গা। দিনের শেষে আলু আর রামদানার খেতি করে মেয়েরা ফিরছে ঘরে। খুব উর্বর এ অঞ্চল। ফল ও সবজি ফলিয়ে বেশ কয়েকবার রাষ্ট্রপতি পুরস্কার প্রাপ্তি ঘটেছে এখানকার লোকেদের। গাঁয়ে কোনও দোকানপাট নেই। তার প্রয়োজনও নেই। প্রতিটা ঘর শস্য আর ফলে ভরা। সবাই যৌথভাবে চাষাবাদ করে। অভাব কারওর নেই। উর্গম বরগিন্দায় পৌঁছনো মাত্র টিপটিপ করে বৃষ্টি শুরু হল। রাস্তার একটু উপরে সপ্তবদ্রির অন্যতম ধ্যানবদ্রি মন্দির। দেবস্থপতি বিশ্বকর্মা নির্মিত বলে কথিত। নারায়ণকে প্রণাম করে আবার নেমে এলাম পথে। আমাদের পাশে পাশে