ম্যাচমেকিংয়ের নতুন সংজ্ঞা

নির্ধারিত সৌন্দর্য ও শর্তের বাইরের মানুষগুলি কি অ্যারেঞ্জড ম্যারেজে সত্যিই মনের মানুষ খুঁজে পান ? প্রেম ও বিয়ের পথ কি খুব সুগম হয় তাঁদের? উত্তর খোঁজার চেষ্টা করলেন পৃথা বসু।

পা ত্রী চাই! ঘরোয়া, সুশ্রী, ফর্সা— এই হল তার মিনিমাল ক্রাইটেরিয়া। প্রত্যেকটিই তার নির্ধারিত সংজ্ঞা অনুযায়ীই। অর্থাৎ টানা চোখ, ছিপছিপে গড়ন, ফর্সা গায়ের রং ইত্যাদি। কিন্তু যাঁরা এই নির্ধারিত সৌন্দর্যের আওতায় পড়েন না, যাঁরা গ্লাস সাইজ় বা যাঁরা বড্ড বেশি রোগা কিংবা যাঁদের শারীরিক গঠন সমাজের চোখে যথাযথ নয়, বা যাঁরা বিশেষভাবে সক্ষম, তারা

কি বিয়ের বাজারে নিতান্তই ফেলনা? ছেলেদেরও বাদ দিচ্ছি না। এই আকালেও পাত্র চাইয়ের বিজ্ঞাপন থেকে এক ইঞ্চিও সরে না ‘সঃ চাঃ', অর্থাৎ সরকারি চাকরির ট্যাগ। আসলে আমরা যতই একুশ শতকে এসে ‘উত্তর আধুনিক’ বলে লাফালাফি করি না কেন, এখনও নারীর জন্য তার দৈহিক সৌন্দর্য, ঘরোয়া মনোভাব এবং পুরুষের জন্য অর্থ-বিত্ত-প্রতিষ্ঠাই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পায়। আর ইনক্লুসিভ ম্যাচমেকিং

ঠিক এটিকেই তোয়াক্কা না করার কথা বলে। ভারতীয় সংস্কৃতি পরিবারকে ব্যক্তির চেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়। তাই ‘পারিবারিক মর্যাদারক্ষা’ গুরুত্বপূর্ণ। সেইজন্য পরিবার যতই ‘প্রোগ্রেসিভ' হোক না কেন, বিয়ের আগে জাত-কুলের পরিচয় রিচেক করতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। পাত্র-পাত্রীর মধ্যেকার কম্প্যাটিবিলিটির বিষয়টি গৌণ হয়ে যায়। শরীর যখন আমার, মনও যখন আমার, তখন ভালবাসার ব্যক্তি নির্বাচনের সিদ্ধান্তও হিসেব মতো আমার। এটাই আধুনিক ম্যাচমেকিংয়ের লক্ষ্য।