স্টেশনের নাম বালুগাঁও। যেমন নাম, তেমনই সুন্দর শান্ত ছিমছাম বালুগাঁও স্টেশনের প্ল্যাটফে পা রাখলাম। মে মাসের শেষ সপ্তাহের সকালের রোদ্দুর তখনও মোলায়েম। ব্যাগপত্তর রেখে এ দিক ও দিক তাকাতেই মুখে হাসির ছোঁয়া লাগিয়ে এগিয়ে এলেন এক জন। নিজেকে অটো চালক বলে পরিচয় দিয়ে জিজ্ঞেস করলেন, “রস্তা?” “হ্যাঁ।” “পান্থনিবাস?” সম্মতিসূচক ঘাড় নাড়লাম। তার পর প্রশ্ন করলাম, “কী করে বুঝলেন?” আমাদের লাগেজ নিজের কাঁধে তুলে বললেন, “সেটাই তো মোর কাজ আছি।” “ভাড়া কত?”” “ছয়শো।” কথা বলার মধ্যেই চেন্নাই মেল চলে গেল বালুগাঁও স্টেশন ছেড়ে। মাত্র দু'মিনিটের স্টপেজ, তার মধ্যেই নামতে হবে, সে কথা জানা ছিল। স্টেশনের বাইরে এসে আরও অবাক হলাম, প্রবেশ-বাহির যাতায়াত পথের উপরিভাগে চমৎকার বাস-রিলিফের কাজ দেখে–চিলিকা লেকের সূর্যোদয়ের দৃশ্য, পাখিদের ওড়াউড়ি, লেকের জলে নৌকা ভাসছে— তোরণের উপরিভাগের প্যানেলে ওড়িয়া, ইংরেজি এবং হিন্দি ভাষায় লেখা, বালুগাঁও। বহির্ভাগের দেওয়াল হালকা ঘন নীল রঙের মোজাইক-সজ্জিত। সব ট্রেন এখানে থামে না, তবুও স্টেশনটি সুসজ্জিত। মনে রাখার মতো। যেতে হবে প্রায় ছত্রিশ কিলোমিটার পথ। দু'পাশের বাড়িঘর, দোকানপাট, সবুজ গাছগাছালির পথ পেরিয়ে কিছু ক্ষণ পরেই অটো হাইওয়ে ধরল। চমৎকার মসৃণ পিচ-পথ! দূরে সবুজাভ নীলচে পাহাড়ের সমাবেশ। কিছু ক্ষণ পরেই একটা পাহাড় পেরোতে হল। দূরে চিলিকা হ্রদ। দেখতে দেখতেই এসে গেল বরকুল, চিলিকার আর এক রম্য স্থল। বরকুলকে পিছনে ফেলে অপরূপ নিসর্গ-শোভা উপভোগ করতে করতে চলেছি আমাদের গন্তব্য রম্ভার দিকে। মাঝে মধ্যেই গ্রাম, ছোট ছোট জনপদ দেখা যাচ্ছে। এমন শান্ত সুন্দর পরিবেশের নীরবতা ভঙ্গ করছে অটোর যান্ত্রিক আওয়াজ আর হুস হাস শব্দে পাশ কাটানো যানবাহন। পান্থনিবাসে এসে পৌঁছতেই সাদর অভ্যর্থনা। রিসেপশনে নাম বলতেই ওটিডিসি-র ভারপ্রাপ্ত কর্মী বললেন, “ব্রেকফাস্ট করে নিন। রুম রেডি হচ্ছে।”
ডাইনিং হলের পরিবেশ ভাল লাগল। ধীরেসুস্থে ব্রেকফাস্ট সেরে রুমে পৌঁছেই সোজা ব্যালকনিতে। সামনেই পান্থনিবাসের লন। সুসজ্জিত বাগান, কটেজ, ইত্যাদির পাশেই গঞ্জাম জেলার চিলিকা হ্রদের বিস্তার। জলরাশির মধ্যে মাথা তুলেছে ধূসর পাহাড়।
This story is from the December 30, 2022 edition of SANANDA.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Sign In
This story is from the December 30, 2022 edition of SANANDA.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Sign In
স্কিবিডি টয়লেট: গেমিংয়ের নতুন ট্রেন্ড
জেন আলফা মেতে রয়েছে • এক নতুন 'বিজার' গেমে। নাম, ‘স্কিবিডি টয়লেট'। নেপথ্যের সম্ভাব্য কারণ কী? বিশদে জানাচ্ছেন পেরেন্টিং কনসালট্যান্ট পায়েল ঘোষ।
চ্যালেঞ্জ ছিল অবাঙালিদের বাঙালি খাবার খাওয়ানো, সেটা আমি পেরেছি
রাত আড়াইটের ফ্লাইট ধরে ভোর পাঁচটায় কলকাতায় এসে নেমেছেন এক ইভেন্টে যোগ দিতে, আবার সাড়ে ছ'টার ফ্লাইট ধরে ফিরে যাবেন মুম্বই। তারই ফাঁকে স্পেশ্যালিটি রেস্তরাঁর অধিকর্তা অঞ্জন চট্টোপাধ্যায়ের মুখোমুখি পারমিতা সাহা
শব্দ, আলোয় দূরে থাক পোষ্য
দীপাবলির ‘আনন্দ’ থেকে দূরে রাখুন পোষ্যেদের। জানাচ্ছেন বিশিষ্ট সার্জন ও পশু বিশেষজ্ঞ ডা. গৌতম মুখোপাধ্যায়।
দূষণ বনাম জীবন!
বেঁচে থাকতে অপরিহার্য পরিষ্কার বাতাসে শ্বাস নেওয়ার অধিকারটুকু। বায়ুদূষণের নিরিখে কোথায় দাঁড়িয়ে আমরা? জানাচ্ছেন অধ্যাপক অনিরুদ্ধ মুখোপাধ্যায় ও পরিবেশ বিজ্ঞানী স্বাতী নন্দী চক্রবর্তী। লিখছেন অনিকেত গুহ ও মধুরিমা সিংহ রায়।
বায়ুদূষণ ও শ্বাসজনিত সমস্যা
বায়ুদূষণ আমাদের শ্বাসযন্ত্রে কী প্রভাব ফেলছে? বিশদে জানাচ্ছেন কনসালট্যান্ট পালমোনোলজিস্ট ডা. সুস্মিতা রায়চৌধুরী ও অ্যালার্জিস্ট ডা. কল্লোল পাল। লিখছেন উপমা মুখোপাধ্যায় ও পৃথা বসু।
সবুজ দীপাবলি: আদৌ সম্ভব?
দীপাবলিকে দূষণমুক্ত করার জন্য কী করা যেতে পারে? সবুজ বাজি এই লক্ষ্যে কতটা সফল? বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলে বোঝার চেষ্টা করলেন সংবেত্তা চক্রবর্তী।
স্লিপ ডিভোর্স:সম্পর্ক ও বিজ্ঞান
নিদ্রা-বিচ্ছেদ! বাংলা তর্জমা করলে খানিক এমনই দাঁড়ায় শব্দবন্ধটি। স্লিপ সাইকোলজির গহীনে কি লুকিয়ে ‘সুস্থ’ দাম্পত্যের সমীকরণ? সন্ধান করলেন অনিকেত গুহ।
বন্ধুদের অনুরোধে শুরু, আর পিছন ফিরে তাকাইনি
নানা ইভেন্টে, রেস্তরাঁয় বা বিয়েবাড়িতে সুদৃশ্য টেবল ডেকরেশন করেন অ্যামি কোঠারি। টেবল স্টাইলিস্ট হিসেবে ১০ বছরের কেরিয়ার। তাঁর জার্নির কথা শুনলেন মধুরিমা সিংহ রায়।
সতর্ক হোন মরসুমি জ্বরে...
শীত ও আর্দ্রতার মিশেলে, ভরা হেমন্তেও ঘরে ঘরে ‘সিজনাল ফিভার'। কী করবেন, কী নয়, জানালেন অধ্যাপক ও চিকিৎসক ডা.অরুণাংশু তালুকদার এবং বিশিষ্ট জেনারেল ফিজিশিয়ন ডা. সুবীর মণ্ডল। লিখছেন অনিকেতগুহ।
স্বাদ-এ শেফ
কাবাব, পাই বা সুইস রোল— চেনা পদে অচেনা স্বাদের টুইস্ট থাকলে মুখে তো হাসি ফুটবেই! কলকাতার রেস্তরাঁয় পাওয়া যাবে তেমনই স্বাদের সম্ভার। চারটি এক্সক্লুসিভ পদ সাজিয়ে দিলেন কাফে কোর্টইয়ার্ড-এর কর্ণধার সুদর্শনা দত্ত চাকলাদার।