বাংলাদেশের কথাকার ও কবি

দুই বাংলাতেই সমান সমাদৃত ভাষা ও সাহিত্যের এই কারিগররা। তাঁদের কথা লিখলেন এপার বাংলার কথাসাহিত্যিক প্রচেত গুপ্ত৷

লি খতে বসেছি বাংলাদেশের সাহিত্য নিয়ে। প্রথমে একটা গল্প বলি। বেশ কয়েক বছর আগের কথা। আমার বয়স তখন কিছুটা কম। খবর পেলাম, এক নিকটজন ঢাকা চলেছেন। সিনেমার গল্প বা ওই ধরনের কিছুর জন্য তিনি বাংলাদেশের জনপ্রিয় লেখক হুমায়ূন আহমেদের সঙ্গে দেখা করবেন। অ্যাপয়েন্টমেন্ট হয়েছে কলকাতা থেকে। সেই সময় শারদীয়া দেশ পত্রিকায় লেখকের উপন্যাস পড়ে আমার তো মাথা ঘুরে যাওয়ার অবস্থা! শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের পর এতটা চমকিত আমি কমই হয়েছি। পড়িমড়ি করে ছুটলাম সেই পরিচিতর কাছে।

‘‘দ্যাখো, তুমি দেশে বিদেশে কত ঘুরে বেড়াও, কোথাও থেকে আমার জন্য কিছু আনতে বলি না। বরং আনলে রাগ করি। কিন্তু এবার আনতে হবে।” পরিচিতজন গম্ভীর হয়ে বললেন,“বুঝেছি, চেষ্টা করব, এবার যাও।” হুমায়ূন আহমেদ ঢাকার ধানমন্ডির ফ্ল্যাটে বসে আমার আর ভাইয়ের নাম লিখে বইতে সই করে দিলেন। বাংলাদেশের লেখকের উপন্যাস ঢাকা থেকে কলকাতায় চলে এল পাঠকের নাম ও সই সহ! কলকাতার লেখকদের সই কষ্ট করে হলেও জোগাড় করা যায়, করেছি বিস্তর, কিন্তু বাংলাদেশের লেখকদের সই তো পাওয়া কঠিন। মনে এক রকম যুদ্ধ জয়ের আনন্দ! এ পর্যন্ত ঠিক ছিল, কিন্তু তারপর? তার পরই হল গোলমাল। পরিচিতদের বুক ফুলিয়ে জনপ্রিয় লেখকের