রোজকার জীবনটাই স্ট্রাগল হয়ে উঠেছিল

আর্থ্রাইটিস কেড়ে নিয়েছিল তাঁর চলার শক্তি। সেই প্রতিকূলতাকেই অস্ত্র করে তুলেছেন অন্ত্রপ্রনর সৌমিতা বসু। তাঁর জীবনযুদ্ধের সাক্ষী থাকলেন সায়নী দাশশর্মা।

আর-পাঁচজনের মতোই স্বাভাবিক ছিল সৌমিতার শৈশব এবং কৈশোর। চেন্নাই থেকে জার্নালিজম নিয়ে পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন শেষ করে মিডিয়ার পথে এগোচ্ছিলেন। ইচ্ছে ছিল মিডিয়া পলিসি এবং লোকাল ডেভেলপমেন্ট নিয়ে কাজ করার। সেই মতো দ্বিতীয় বার মাস্টার্স করেন ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ়ে। তখনও জানতেন না, ভাগ্য তাঁর জন্য অন্য এক জীবন পরিকল্পনা করছে। “প্রায় তিন বছর ধরে নানা পরীক্ষানিরীক্ষার পর, ২০১৪ সাল নাগাদ আমার সোরিয়াটিক আর্থ্রাইটিস ধরা পড়ে। প্রথম প্রথম পায়ে ব্যথা হত। ধীরে ধীরে বুঝলাম পা অসাড় হয়ে পড়ছে।

ভীষণ কনফিউজ়ড় লাগত। পরে সেটাই পরিণত হল বেদনায়। নিজের কিছু হারালে যেমন মানসিক কষ্ট হয়, ঠিক সেরকম। হুইল চেয়ার সম্বল হয়ে উঠল। এমনও হয়েছে যে, আগের দিন রাতে শরীরের কোনও একটা অঙ্গ হয়তো স্বাভাবিকভাবে কাজ করছিল, কিন্তু পরদিন সকালে উঠে বুঝলাম যে ওখানে আর কোনও সাড় নেই। মাঝেমাঝে মনে হত, এভাবে ধীরে ধীরে চলাফেরার শক্তি না হারিয়ে যদি একবারে পুরোটা ঘটত, হয়তো কষ্টের পরিমাণ কিছুটা কমত।” এরপর থেকে জীবনটা অনেকটাই বদলে যায় সৌমিতার। বন্ধুদের সঙ্গে কফি খেতে যাওয়ার মতো সাধারণ