বাংলার শিল্পকে বিশ্ব মঞ্চে নিয়ে যেতে চাই

সেই উদ্দেশ্য নিয়েই নিরন্তর কাজ করে চলেছেন টেক্সটাইল ডিজ়াইনার শ্রেয়া সামন্ত। তাঁর সঙ্গে আলাপচারিতায় সায়নী দাশশর্মা।

ছোট থেকে আঁকা, ডুডলিং-এর প্রতি অসম্ভব ঝোঁক। অসংখ্য পুরস্কার পেয়েছেন শৈশবে। একটু বড় হতেই আগ্রহ জন্মায় ফ্যাশনের প্রতি। শৈশবের কথা মনে করে শ্রেয়া বললেন, “আমার বাড়িতে কেবল ছিল না সেসময়। দিদার বাড়ি ছিল মুর্শিদাবাদে। মনে আছে, যখন দিদার বাড়িতে যেতাম, ফ্যাশন টিভি খুলে হাঁ করে মডেলদের দেখতাম। কী সুন্দর পোশাক পরে র‍্যাম্পে হেঁটে বেড়াতেন ওঁরা! আই বিকেম অবসেসড।” সল্টলেকে ছোটবেলা কেটেছে বাবা-মা এবং দিদির সঙ্গে। দিনরাত খেলাধুলো করতে করতে প্রকৃতির সঙ্গে এক অনন্য সম্পর্ক গড়ে ওঠে। অবশ্য তার বীজ বপন করা হয়ে গিয়েছিল অনেক আগেই। “আমার বাবার পৈতৃক বাড়ি বর্ধমানে। ঠাকুরদা চাষাবাদের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ছোট থেকেই তাই গ্রামের পরিবেশ দেখে বড় হয়েছি। গ্রামের মানুষদের সহজ-সরল জীবনযাপন, প্রকৃতি আমায় খুব টানত। পরবর্তীতে ওগুলোই আমার শিল্পসৃষ্টির অনুপ্রেরণায় পরিণত হয়।” কলকাতার ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজি (NIFT) থেকে পড়াশোনা করেছেন শ্রেয়া। ২০১৫ সালে মাত্র ২১ বছর বয়সে প্রথম ডিজ়াইনার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। “আমার প্রথম কাজ ছিল কাঁথার উপর।